অবসর নেয়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২৫টি জেলায় দলের আহ্বায়ক করতে তার আশীর্বাদপুষ্ট নেতাদের নামের একটি তালিকা দলের হাইকমান্ডের কাছে পাঠিয়েছেন। আর এ তালিকা নিয়ে বিএনপিতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। বিএনপির হাইকমান্ড তারেকের এই তালিকার কারণে জেলা আহ্বায়কদের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে। এর ফলে শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। খবর ফোকাস বাংলার। দলের একজন সিনিয়র নেতা জানান, চেয়ারপারসনের বড় ছেলে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব (অবসর নেয়া) লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমান তার অনুসারী ও একসময়কার হাওয়া ভবনের প্রভাবশালী ২৫ নেতার নামের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। তাদেরকে ২৫ জেলায় আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিপাকে পড়েছেন। ইতোমধ্যে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ওই তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা প্রায় সবাই দলে নানা কারণে বিতর্কিত। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মূলত তারেক রহমানের এই তালিকার কারণেই খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে এখন আর তেমন মাথা ঘামাচ্ছেন না। এ নিয়ে চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তার কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমান মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মহাসচিব পদ নিয়েও তারেক রহমানের আপত্তি রয়েছে। তবে দলের সিনিয়র বেশ কিছু নেতা তারেকের এই ধরনের তদারকিকে ভাল ভাবে নিচ্ছেন না। তারেকের এ তালিকার ব্যাপারে কয়েক জন বিএনপি নেতার কাছে জানতে চাইলে তারা এ বিষয় পুরো অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয় আমরা জানি না। যদি তিনি (তারেক) তালিকা পাঠান সেটা আমাদের বিষয় নয়, এটা মা-ছেলের ব্যাপার। এ ব্যাপারে তার (তারেক) মতামত থাকতেই পারে। এটা তার রাজনৈতিক অধিকার। তারেক রহমানের তালিকা অনুসরণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে নেতারা বলেন, এটা দলের সিদ্ধান্ত। যদি পাঠায় তবে বিবেচনা করা হতে পারে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, দলের মধ্যে কিছু লোক আছে তারা নিজেদের সুবিধা ভোগ করার জন্য তাকে (তারেক) কান পড়া দিচ্ছে। তারেক যদি তালিকা দিয়ে থাকে তবে সে ঠিক করেনি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন