পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন জনসচেতনামূলক অনুষ্ঠান, র্যা লী, আলোচনা সভা ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সকাল আটটায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সমাবেশ শেষে মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে এসে শেষ হয়। র্যা লীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, স্কাউট, রোভার, গালর্স গাইড এবং বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। সকাল নয়টা থেকে মুসলিম হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে হুমকীর সম্মুখীন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিই পরিবেশ বিপর্যয়ে অন্যতম কারণ। এটার এখন আর কোন অনুমান নির্ভর বিষয় নয়। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য তিনি পরিবেশবিদদের প্রতি আহবান জানান। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল্লাহ। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তোমার পৃথিবী তোমাকেই চায়’ বিষয়ের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভূগোল বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হক। পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর তাপমাত্রা দেড় হতে আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির ৩০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে এশিয়ায় গ্রীস্ম অঞ্চলে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ বড় ধরণের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়া অঞ্চলের অনেক দেশে ভয়াবহ বন্যা খরা, খাদ্যাভাব ও পানি সংকট সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর তাপমাত্র ১ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৭.৫ শতাংশ উপকূলীয় ভূমি তলিয়ে যাবে। যে কারণে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ঘরবাড়ি, জমি হারিয়ে নিঃস্ব পরিণত হবে। আলোচনা সভায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশদিবস পালিত
পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন জনসচেতনামূলক অনুষ্ঠান, র্যা লী, আলোচনা সভা ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সকাল আটটায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সমাবেশ শেষে মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে এসে শেষ হয়। র্যা লীতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, স্কাউট, রোভার, গালর্স গাইড এবং বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। সকাল নয়টা থেকে মুসলিম হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সারা পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে হুমকীর সম্মুখীন। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিই পরিবেশ বিপর্যয়ে অন্যতম কারণ। এটার এখন আর কোন অনুমান নির্ভর বিষয় নয়। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য তিনি পরিবেশবিদদের প্রতি আহবান জানান। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল্লাহ। এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তোমার পৃথিবী তোমাকেই চায়’ বিষয়ের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভূগোল বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হক। পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর তাপমাত্রা দেড় হতে আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির ৩০ শতাংশ হুমকির মুখে পড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে এশিয়ায় গ্রীস্ম অঞ্চলে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ বড় ধরণের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়া অঞ্চলের অনেক দেশে ভয়াবহ বন্যা খরা, খাদ্যাভাব ও পানি সংকট সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর তাপমাত্র ১ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৭.৫ শতাংশ উপকূলীয় ভূমি তলিয়ে যাবে। যে কারণে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ঘরবাড়ি, জমি হারিয়ে নিঃস্ব পরিণত হবে। আলোচনা সভায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন