গাড়ি নিয়ে জাহাজ বন্দরে ভিড়ার আগেই শুল্কায়নের প্রস্তুতি ।। জাহাজটি পৌঁছার সম্ভাবনা বাজেট ঘোষণার পর কিন্তু বর্তমান শুল্ক সুবিধা নেওয়ার তোড়জোড়

প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা দামের গাড়ি বোঝাই একটি জাহাজ বন্দরে নোঙর করার আগেই শুল্কায়ন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। গাড়িবাহী এম ভি লিলাক এইচ নামের এই জাহাজটি আজ বন্দরে ভিড়ার ঘোষণা দেয়া হলেও এটি আজ আসছে না। জানা গেছে, বাজেট ঘোষণার আগে গাড়িবাহী জাহাজটি বন্দরে ভিড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন' বন্দরে ভিড়ার আগেই বর্তমান শুল্ক হারে গাড়ির নোটিং সম্পন্ন করানোর জন্য তোড়জোড় চলছে।
আগামী ১১ জুন ২০০৯-২০১০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এবারকার বাজেটে গাড়িসহ বিলাসদ্রব্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধির খবরও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এই খবরের প্রেক্ষিতে বাজারে গাড়ি আমদানি অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বহু বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে গাড়ি বিক্রিও। বাজেট ঘোষণার পর গাড়ির শুল্ক বৃদ্ধি পাবে এই শংকা থেকে গাড়ি আমদানিকারকরা কোটি কোটি টাকার গাড়ি আমদানি করে রাখছেন। বাজেটে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাজারে গাড়ির দাম বাড়বে। এবং বাজেট পরবর্তী সময়ে বর্ধিত দামে গাড়ি বিক্রি হবে। বর্ধিত দামে গাড়ি বিক্রি করে বাড়তি লাভ করার মানসে আমদানিকারকরা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করেছেন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়ি রাখার স্থানাভাব দেখা দিয়েছে। মংলা বন্দর দিয়েও খালাস করা হচ্ছে গাড়ি।
সূত্র জানায়, বাজেট ঘোষণার আগে সর্বশেষ একটি গাড়ির চালান দেশে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২২০৩টি গাড়ির এলসি খোলা হয়। এসব গাড়ি এম ভি লিলাক এইচ নামের রো রো জাহাজে বোঝাই করা হয়। জাপান থেকে গত ২৯ মে এম ভি লিলাক এইচ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে। জাহাজটি আগামী ১২ জুন বাজেট ঘোষণার পরদিন চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পরদিন এই গাড়িবাহী জাহাজ বন্দরে আসলে আমদানিকারকরা যে সুবিধা লাভের জন্য এত চেষ্টা করছেন তা পাওয়া যাবে না। এতে করে বাজেট ঘোষণার আগেই চলতি শুল্ক সুবিধায় গাড়ি শুল্কায়ন করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জাহাজটি বন্দরে ভিড়ার আগেই ২২০৩টি গাড়ির নোটিং সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে বন্দরে জাহাজ ভিড়ার আগেই আমদানিকৃত রডের শুল্কায়ন করে চারদিকে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। চট্টগ্রামের গুটিকয়েক আমদানিকারককে শুল্ক সুবিধা দিতে গিয়ে জাহাজ ভিড়ার আগেই রডের শুল্কায়ন করে যে কেলেংকারির জন্ম দেয়া হয়েছিল তার সুরাহা আজো হয় নি। এই অবস্থায় নতুন করে গাড়ি কেলেংকারি জন্ম দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।এম ভি লিলাক এইচ নামের জাহাজটি আজ বন্দরে ভিড়বে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন' গতকাল এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে জাহাজটি সিংগাপুরে রয়েছে। জাহাজটি ১২ তারিখ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ একজন জাহাজের ক্যাপ্টেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাপান থেকে একটি জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগে। এর মধ্যে সিংগাপুরে কার্গো থাকলে কিংবা জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হলে এই সময় আরো বেশি লাগবে। তবে বাংলাদেশে গাড়ি নিয়ে বর্তমানে যে সব রো রো জাহাজ চলাচল করে সেগুলোর পক্ষে কোন অবস্থাতেই ১৫ দিনের আগে জাপান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছা সম্ভব নয়। এম ভি লিলাক এইচ জাহাজটি ২৯ মে জাপান থেকে যাত্রা করেছে। স্বাভাবিকভাবে আসলে এটির চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা ১২ জুন। সিংগাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছতে একটি জাহাজের পাঁচ দিন সময় লাগে। গত সন্ধ্যায়ও এমভি লিলাক এইচ জাহাজটি সিংগাপুরে অবস্থান করছিল বলে সূত্র জানিয়েছে। এই ব্যাপারে গতকাল জাহাজটির স্থানীয় এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলা হয় ১০ জুন জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছবে।
জাহাজটি ১০ জুন বন্দরে পৌঁছলেও এটি চলতি শুল্কহারে শুল্কায়ন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে একাধিক সিএন্ডএফ এজেন্ট। ১০ তারিখ জাহাজটি পৌঁছতে পৌঁছতে কাস্টমসে নোটিং-এর সময় পার হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবে সকাল নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত নোটিং চলে। এছাড়া ১০ তারিখ জাহাজটি ভিড়ার পর ১১ জুনের আগে আইজিএম দাখিল করা সম্ভব হবে না। আর বাজেট ঘোষণার কারণে ১১ জুন কাস্টমসের কম্পিউটার লক থাকবে। এই অবস্থায় ১২ জুন নতুন শুল্ক হারেই ২২০৩টি গাড়ি শুল্কায়ন করতে হবে। এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাহাজ ভিড়ার আগে পণ্যের শুল্কায়ন সম্পন্ন করার সুযোগ আর নেই। আগে অন লাইনে আইজিএম দাখিল করার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ ঘাপলা করেছেন। এখন এই ব্যাপারে কাস্টমস অনেক বেশি সতর্ক। তিনি জাহাজটি কবে আসছে বা কেউ কোন কেলেংকারি করতে চাচ্ছেন কিনা সেই ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত কর্মকর্তা বলেন, ফাইন্যাল এন্ট্রির আগে কোন নোটিং হবে না।

২০ জুন থেকে নামাজের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হবে - তৌফিক-ই-এলাহী

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা এগিয়ে আসার কারণে আগামী ২০ জুন থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সমন্বয় করবে আবহাওয়া অফিস।গতকাল রোববার সচিবালয়ে ডে-লাইট সেভিংস পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, নামাজের সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী ২০ জুন থেকে নামাজের সময়সূচি এক ঘন্টা করে এগিয়ে আনা হবে। ডে-লাইট সেভিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পরে নামাজের সময়সূচি নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর এনএনবির।
তিনি আরো জানান, বৈঠকে ২০ জুন থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়সূচি জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসকে। এছাড়া গ্রিনিচমান সময় অনুসরণ করে এয়ারলাইন্সগুলো চলবে। সে কারণে উড়োজাহাজের সময় নিয়ে জটিলতা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে দুপুরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা। বৈঠকে গণমাধ্যমে ডে-লাইট সেভিং পদ্ধতির ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতনতার আহ্বান জানানো হয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দু’দেশের সম্পর্ক শীতল করতে পারে : পাকিস্তান

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে বাংলাদেশ সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সতর্ক করে বলেছে, এ প্রক্রিয়া ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক শীতল করতে পারে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। গত শনিবার ইসলামাবাদে সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাকিস্তানের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মাসুদ খালিদ এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে পাকিস্তানের মতামত জানতে চাইলে খালিদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। আমরা আশা করছি, আমাদের সম্পর্ক শীতল করে দেওয়ার মতো কিছু করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার বিষয়টিকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ’ বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংস ঘটনাকে খালিদ ‘দুখজনক অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেন। দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ে খালিদ বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক দুটি অন্তরায় হলো দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল না থাকা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা। এক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও সহায়তার ওপর জোর দেন তিনি।আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে খালিদ বলেন, সামনে এগোতে হলে পাকিস্তানের জন্য শান্তি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রে পড়ে। এর ফলে দেশটি একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন সুবিধার মধ্যেও রয়েছে।এ অঞ্চল এখন ক্ষমতার ব্যবহারের জন্য উত্তপ্ত এলাকা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।খালেদ আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সি'তিশীলতা পাকিস্তানের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, পারস্পরিক সমতার ভিত্তিতে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি আমরা। গত এক বছরে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে জানিয়ে পাকিস্তানি এ কর্মকর্র্তা বলেন, অবকাঠামো বিষয়ক বিনিয়োগের জন্য আমরা একটি চুক্তি করেছি।
খালিদ বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ প্রসারের কারণ আফগান যুদ্ধ। আল কায়দা, তালেবানসহ এ ধরনের সংগঠনগুলোর বিপজ্জনকহারে উত্থান পাকিস্তানের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোয়াতে সামরিক অভিযানের বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সন্ত্রাস দমনে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে খালিদ বলেন, ২০০৫ সালে প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

নগরীর পাহাড়ে এখনো ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করছে ৩০ হাজার পরিবার ।। ৫ হাজার পরিবার সরিয়ে নিতে রেলওয়েকে পরিবেশ অধিদপ্তরের চিঠি

চট্টগ্রাম মহানগরীর ন্যাড়া পাহাড়গুলোতে এখনও অবৈধভাবে বসবাস করে ত্রিশ হাজার পরিবার। ২০০৬ সালের ১১ জুন পাহাড় ধসে ১২৬ ব্যক্তি নিহত হওয়ার পরও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে পরিবারগুলোকে সরানো সম্ভব হয়নি। নগরীর উত্তর খুলশী ফয়’স লেক সংলগ্ন রেলওয়ে পাহাড় থেকে ৫ হাজার পরিবারকে সরিয়ে নিতে তিন সপ্তাহ আগে রেলওয়েকে চিঠি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর। অথচ এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জি এম নুর মোহাম্মদ বলেছেন, ২০০৬ সালে গঠিত ‘শক্তিশালী পাহাড় শাসন কমিটি’ প্রদত্ত সুপারিশ অনুযায়ী পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরানোর পাশাপাশি পাহাড় রক্ষায় গত দেড় বছর আগে করা ৩৩টি সুপারিশের একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে চট্টগ্রামের পাহাড় রক্ষায় গত দুইমাস ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে উক্ত সমীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ পাহাড়ের মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও বন বিভাগ। রেলওয়ের মালিকানাধীন উত্তর খুলশী এলাকার পাহাড় এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ট্যাঙ্কির পাহাড়ে ১০ হাজারের অধিক পরিবার চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। এছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন লেবু বাগান, কাচিয়া ঘোনা ও ডেবার পাড় এলাকার কুসুমবাগ এলাকায় দশ হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে। প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড় ধসে শত শত লোক নিহত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এখন থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, পুরোদমে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই পাহাড়গুলো ঝুঁকিমুক্ত করা জরুরি। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াসাসহ অন্যান্য পাহাড়মালিকদের লিখিতভাবে জানানো হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জেনারেল ম্যানেজার বলেছেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে উক্ত কমিটির অন্যতম সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শক্তিশালী পাহাড় শাসন কমিটি পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে এক বছর পূর্বে ৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রদান করে। এইসব সুপারিশমালার অন্যতম হচ্ছে, প্রত্যেকটি পাহাড়ের জিওলজিক্যাল ও জিও মর্ফোলজিক্যাল সার্ভে করে পাহাড়ের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হওয়া। দ্বিতীয়ত, সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদের বিষয়টি তদারকি করার পাশাপাশি এ বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা, ন্যাড়া পাহাড়ে বনায়ন, সরকারি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে সেখানে উপযুক্ত বনায়ন করা। ব্যক্তিমালিকানাধীন ও সরকারি পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। তিনি বলেন, কমিটি প্রদত্ত সুপারিশ যথাযথ বাস্তবায়িত হলে মহানগরীর পাহাড় ঝুঁকিমুক্ত হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ের গঠন ও এর অবস্থান নির্ণয় করতে গত দুইমাস থেকে ‘ল্যান্ড াইড রিকস এসিসমেন্ট অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সিটি’ শীর্ষক সার্ভে শুরু করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে উক্ত সার্ভে কমিটির প্রধান হচ্ছেন, চুয়েট পরিচালিত ভূমিকম্প প্রকৌশল ও গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. জাহাঙ্গীর আলম। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলতান মোহাম্মদ ফারুক ও প্রভাষক দিপুল চন্দ্র মন্ডল। কমিটি আগামী ডিসেম্বরে সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রদান করবে।

হৃদয় হত্যা ঘটনা দোষ স্বীকার করে আদালতে শুভ ও ফরহাদের জবানবন্দী

কিশোর হৃদয় হত্যার লোমহর্ষক ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আদালতিক জবানবন্দী দিয়েছে অপর দুই কিশোর ফরহাদ ও শুভ। হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক কিশোর পারভেজের জবানবন্দী নেয়া হয় নি। গতকাল সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির সামনে দুইজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে এই জবানবন্দী দেয়। সকাল ১০ টায় তাদেরকে আদালতে নেয়া হলেও জবানবন্দী শেষ হয় বিকেল ৪টায়। জবানবন্দী শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ম অনুযায়ী দুইজনকে তিনঘণ্টা চিন্তা করার সুযোগ দেন। আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, শুভ চার পৃষ্ঠার এবং ফরহাদ তিন পৃষ্ঠার জবানবন্দী দিয়েছে। মোস্তফা হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হৃদয়কে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিতে দুই সহপাঠী ফরহাদ ও শুভ বলেছেন, হত্যার আগে ফরহাদ, পারভেজ ও শুভ ঘটনাটি ঘটানোর নিখুঁত পরিকল্পনা আঁটে। হৃদয়কে হত্যার পর লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তদাতা পারভেজ। তাদের ধারণা পানিতে লাশ ভেসে গেলে কোন দিন এই ঘটনা প্রকাশ হবে না। আর তারাও হত্যার দায় থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। হত্যাকাণ্ডের আগে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ঘটনা তিনজনের কারো মুখ থেকে কোনভাবেই প্রকাশ না করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তিনজন। এই কারণে গত ৯ মে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও এর ২৬ দিন পর্যন্ত এ ঘটনা চেপে রাখতে সক্ষম হয় তারা। অথচ গত ১০ মে ঘটনার একদিন পরই কাট্টলীস' সমুদ্রের পাড় এলাকা থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ওই সময় মামলাও দায়ের করে। এদিকে মূল অভিযুক্ত পারভেজকে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর বাইরে রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাহাড়তলী থানার এসআই বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনার নায়ক হিসেবে পারভেজ অতিমাত্রায় ধূর্ত। তা ছাড়া ফরহাদ ও শুভ এর জবানবন্দীই যথেষ্ট। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার হৃদয় হত্যার নায়ক তারই সহপাঠী পারভেজ, ফরহাদ ও শুভর কথা প্রকাশ হলে চাঞ্চল্য ছড়ায় সর্বত্র।

অস্ত্রের চালান ধরিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শাহাবুদ্দীন : সিআইডি ।। আজ জবানবন্দী দেবেন লিয়াকত হোসেন


আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আজ আদালতিক জবানবন্দী দেবেন এনএসআই এর সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন। আজ সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে। একই সাথে মামলার আরেক আলোচিত আসামী এনএসআই এর সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকেও আদালতে তোলা হবে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রেজ্জাকুল হায়দারকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দানে সিআইডি রাজি করাতে পারেনি বলে জানা গেছে।সিআইডি জানায় ৬ দিনের রিমান্ডে ঢাকায় টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উল্লেখিত দুই কর্মকর্তাকে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় দামপাড়াস' সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।এদিকে টিএফআই সেলে গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে রেজ্জাকুল অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য না দিলেও লিয়াকত হোসেন দুষেছেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশেষ করে আবদুর রহিম ও এনএসআইএর পরিচালক (নিরাপত্তা) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহাম্মদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন তিনি।সিআইডির নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী অস্ত্রের চালান ধরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা এই শাহাবুদ্দীন আহাম্মদের। রহিমের কারণে এই ঘটনা ঘটায় শাহাবুদ্দীন।জানা গেছে দুবাইভিত্তিক পাকিস্তান প্রবাসীদের একটি গ্রুপ (এআরওয়াই) আবদুর রহিমকে মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম নামে একটি ডিভাইস দিয়েছিলেন। ব্রিফকেইস সাইজের এই যন্ত্রটির দাম আড়াই কোটি টাকা। এআরওয়াই গ্রুপ (আগা রহমান ইউসুফ) এটি বিনামূল্যে সরবরাহ করলেও আবদুর রহিম এটার জন্য এনএসআই এর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ নেয়। পরবর্তীতে এই টাকা তিনি নিজেই সরিয়ে নেন বলে জানা যায়।এই ঘটনায় নিজের অংশ না পাওয়াতে ক্ষুব্ধ শাহাবুদ্দীন অস্ত্র ধরিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। প্রসঙ্গতঃ গত ২ জুন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় দ্বিতীয় দফায় দুই কর্মকর্তা রেজ্জাকুল ও লিয়াকতকে ৬ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে আনোয়ারার সিইউএফএল ঘাট থেকে দশ ট্রাক অস্ত্রের বিশাল চালান আটক করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শত শত শিশু অসুস্থ : রাজবাড়িতে ১ জনের মৃত্যু ।। আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ সরকারের

শনিবার সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর বিভিন্ন জেলায় বহু শিশু অসুস' হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবরে অসুস্থ শিশুর সংখ্যা শত শত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়িতে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবরে অনেক স্থানেই আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবরে আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, মাদারীপুর, কক্সবাজার, নাটোর, সুনামগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও নড়াইল প্রায় দুশ’ শিশুর অসুস' হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকের বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয়ের এক বক্তব্যে বলা হয়েছে, সার্বিক পরিসি'তি বিবেচনা করে মনে হয়েছে শিশুদের অসুস'তা কেবল ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেই ঘটেনি। এর সঙ্গে অপুষ্টি, অত্যধিক গরম ও পরিবেশগত অন্যান্য কারণও জড়িত।ওষুধের মান ও মেয়াদ নিয়ে কোনও প্রশ্ন বা সংশয় নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিষয়টি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজ ও ফোকাস বাংলার।গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক পারভীন ফাতেমা চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কৃমির ওষুধ খেলে বমি বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।ফাতেমা পারভীন জানান, পেটে অতিরিক্ত কৃমি থাকলে ওষুধ খাওয়ার পর বমি বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।শনিবার সারাদেশে ২ কোটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসূচি পালন করা হয়। জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, কৃমির ওষুধ খেয়েই শিশুরা বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। শনিবার ইউনিসেফের সরবরাহ করা কৃমির ওষুধ ‘এলবেনডাজল’ খাওয়ানো হয়। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা এলবেনডাজল এর উৎপাদক। অন্যদিকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল সরবরাহ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক পারভীন চৌধুরী জানান, ইনসেপ্টার সরবরাহ করা ওই এলবেনডাজল এর মেয়াদ আছে ২০১০ সালের মে মাস পর্যন্ত।তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেকেই ভয় পেয়ে শিশুকে পরীক্ষা করতে আনছে।ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে রাজবাড়ীতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অসুস'তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। গত ২ দিনে অন্তত ৩ শতাধিক শিশু অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও শতাধিক শিশু ভর্তি রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রবিবার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠান হয়েছে।
এদিকে, সকালে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বাহিরচর দৌলতদিয়ায় হাবিব নামে ৮ বছরের এক শিশু মারা গেছে। তার পিতার নাম নিজাম ফকীর। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে বয়সসীমা না মেনে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর থেকেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও রবিবার নিজ বাড়িতে সে মারা যায়।এদিকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিয়ে আতংকিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার পর শিশুদের পাতলা পায়খানা হতে পারে। এটি মারাত্মক কিছু নয়। এ ক্যাপসুল খেয়ে শিশু মৃত্যুর নজির বিশ্বের কোথাও নেই। গতকাল রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসে জেলার স্বাস্ত্য ও পরিবার কল্যাণ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের বলেন, প্রচারণার অভাবে ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এ ক্যাপসুল খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ব্যর্থতার দায় আমাদের। প্রচারণার গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।