ঘটনা জানার পর জেলা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. খলিলুর রহমান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সুইথি কারবারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস'লে ছুটে যান।ডব্লিউএফপি পার্বত্য অঞ্চলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রীতা চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান জেলার ৬টি উপজেলায় সাড়ে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ‘ইমার্জেন্সি স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ২১ টি এবং মহালছড়ি উপজেলায় ৫৫টি বিদ্যালয়ে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়।তিনি জানান, দরপত্রের মাধ্যমে বিস্কুটগুলো কেনা হয়েছিল। কোম্পানিগুলোর নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে এসব বিস্কুট পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।রীতা চাকমা আরও জানান, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি ও দিঘীনালা উপজেলায় বিতরণকৃত বিস্কুট সরবরাহ করেছে নাবিস্কো বিস্কুট কোম্পানি। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে কাবিদাং নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বিতরণ করা বিস্কুট কেনা হয়েছে রেস্কো কোম্পানি থেকে। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে স্থানীয় এনজিও টংগ্যা। আর বান্দরবানের জন্য বিস্কুট কেনা হয়েছে সিএমসি কোম্পানি থেকে। সেখানেও একটি এনজিও বিস্কুট বিতরণের দায়িত্বে আছে। কাবিদাং এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা জানান, শুধুমাত্র বিস্কুট সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে তাদের সংস'া। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ২৮ মে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছিল। সোমবার প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট খাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে অসুস'তার ঘটনা ঘটায় অন্যান্য স্কুলে বিস্কুট বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।বিস্কুট খেয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খলিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আবু তাহের, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদ তালুকদার ও ডা. রাজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা লক্ষীছড়িতে যান।লক্ষ্মীছড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক সানুমং মারমা জানান, বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য জরুরিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কান্তি নাথ জানান, বিস্কুট খাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে আনা পানি পান করে। এর ২০ মিনিটের মধ্যে তাদের পেট ব্যথা ও বমি শুরু হয়। এ সময় চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে যায়। সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রধান শিক্ষক জানান, প্রথম দিকে রিকশা ভ্যান, ঠেলাগাড়িতে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়িতে ডব্লিউএফপি’র বিস্কুট খেয়ে চারশ’ শিক্ষার্থী অসুস্থ।।বিস্কুট বিতরণ বন্ধের নির্দেশ :তদন্ত কমিটি গঠন
ঘটনা জানার পর জেলা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. খলিলুর রহমান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সুইথি কারবারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস'লে ছুটে যান।ডব্লিউএফপি পার্বত্য অঞ্চলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রীতা চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান জেলার ৬টি উপজেলায় সাড়ে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ‘ইমার্জেন্সি স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ২১ টি এবং মহালছড়ি উপজেলায় ৫৫টি বিদ্যালয়ে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়।তিনি জানান, দরপত্রের মাধ্যমে বিস্কুটগুলো কেনা হয়েছিল। কোম্পানিগুলোর নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে এসব বিস্কুট পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।রীতা চাকমা আরও জানান, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি ও দিঘীনালা উপজেলায় বিতরণকৃত বিস্কুট সরবরাহ করেছে নাবিস্কো বিস্কুট কোম্পানি। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে কাবিদাং নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বিতরণ করা বিস্কুট কেনা হয়েছে রেস্কো কোম্পানি থেকে। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে স্থানীয় এনজিও টংগ্যা। আর বান্দরবানের জন্য বিস্কুট কেনা হয়েছে সিএমসি কোম্পানি থেকে। সেখানেও একটি এনজিও বিস্কুট বিতরণের দায়িত্বে আছে। কাবিদাং এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা জানান, শুধুমাত্র বিস্কুট সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে তাদের সংস'া। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ২৮ মে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছিল। সোমবার প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট খাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে অসুস'তার ঘটনা ঘটায় অন্যান্য স্কুলে বিস্কুট বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।বিস্কুট খেয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খলিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আবু তাহের, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদ তালুকদার ও ডা. রাজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা লক্ষীছড়িতে যান।লক্ষ্মীছড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক সানুমং মারমা জানান, বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য জরুরিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কান্তি নাথ জানান, বিস্কুট খাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে আনা পানি পান করে। এর ২০ মিনিটের মধ্যে তাদের পেট ব্যথা ও বমি শুরু হয়। এ সময় চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে যায়। সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রধান শিক্ষক জানান, প্রথম দিকে রিকশা ভ্যান, ঠেলাগাড়িতে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ট্রেড জালিয়াতির মাধ্যমে রড আমদানিতে একশ’ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি।।কাস্টমস ও বিএসটিআই’র অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খালাস
প্রচলিত শুল্ক আইনের তোয়াক্কা না করে ট্রেড জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রামের হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে এম এস রড আমদানির আড়ালে একশ’ কোটিরও বেশি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। নিজেদের চট্টগ্রামস্থ কারখানার নামে বিদেশ থেকে সিল মেরে রড আমদানি করা হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনে যা নিষিদ্ধ। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস এবং বিএসটিআই’র এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে একের পর এক সেই নিষিদ্ধ রডের চালান খালাস করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের মুখোমুখি করে ফাঁকি দেয়া শুল্ক আদায়ের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ১৫(ই) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের বাইরে তৈরী বা প্রস্তুতকৃত পণ্য এবং ঐ মালে এমন নাম বা ট্রেড মার্ক ব্যবহৃত হয়েছে যেগুলি বাংলাদেশী প্রস্তুতকারক, ডিলার বা ব্যবসায়ীর নাম বা ট্রেড মার্ক অথবা ঐগুলি দেখতে ঐ রূপ প্রতীয়মান হয়”, যদি না (১) প্রতিটি আবেদনপত্রে নাম ও পণ্য চিহ্নের সাথে বাংলাদেশের বাইরে কোন স্থানে পণ্যটি তৈরী বা প্রস্তুত হয়েছে এরূপ সুনির্দিষ্ট চিহ্ন থাকে ; এবং (২) যে দেশে ঐ সস্থানটি অবস্থিত তা ঐ নাম বা ট্রেড মার্কের মত বড় অক্ষরে এবং স্পষ্টভাবে এবং ঐ নাম বা ট্রেড মার্ক যে ভাষায় এবং যেভাবে লেখা হয়েছে সেভাবে ঐ চিহ্ন দেখান হয়।’ চট্টগ্রামের রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম, কেএসআরএম, জিপিএইচ, জিরি সুবেদার, নাহার স্টিল, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের এখানে স্থাপিত কারখানার নামাঙ্কিত করে বিদেশ থেকে রড আমদানি করেছে। এসব রডে বিএসআরএম বা কেএসআরএম কিংবা জিপিএইচ’ এর লোগো ছাড়া কোন দেশে তৈরি হয়েছে বা কোনস্থানে তৈরী হয়েছে সেই সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই। প্রচলিত শুল্ক আইনের ১৫ (ই) ধারা লংঘন করে রডগুলো আমদানি করা হয়েছে। উক্ত ধারা লংঘনের দায়ে রডগুলো জব্দ করার বিধান থাকলেও কাস্টমস এবং বিএসটিআই’র সংঘবদ্ধ একটি অসাধু চক্রকে ম্যানেজ করে চালানগুলো খালাস করে নেয়া হয়েছে। প্রচলিত শুল্ক আইনে আমদানিকৃত রডের কপার এর পরিমাণ ০.৪ শতাংশ ও তার অধিক হয় তাহলে উক্ত পণ্য এইচ এস কোড - ৭২২৮.৩০.০০ এ শ্রেণীবিন্যাসকৃত। এই শ্রেণীর পণ্যের আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ, মূসক ১৫ শতাংশ, পিএসআই ১ শতাংশ এবং এটিভি ১.৫ শতাংশ হারে প্রযোজ্য। অর্থাৎ প্রতিটন রডের মূল্য ৫০০ ডলার হলেও এক্ষেত্রে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে ২৯.৫ শতাংশ বা ১৪৭.৫ ডলার। কিন্তু কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট চালানটি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে যথাযথ এইচ এস কোড অনুসরণ করেনি। এতে প্রায় এক লাখ টন রড আমদানির ক্ষেত্রে বিএসআরএম, কেএসআরএম, জিপিএইচ, জিরি সুবেদার, নাহার স্টিল, একশ’ কোটিরও বেশি টাকার শুল্ক পরিশোধ না করেই পণ্য খালাস করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে স্থাপিত কারখানার নামাঙ্কিত করে বিদেশ থেকে রড আমদানির বিষয়টি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্তের মাধ্যমে শত কোটি টাকা উদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা টিএফআই সেলে লিয়াকত
চবির অভিযুক্ত ছাত্র রাজুর ছাত্রত্ব বাতিল : আজীবনের জন্য বহিষ্কার।।ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় ছাত্রী আহতের ঘটনা
গ্যাসে ময়লা, বিপর্যয়ের মুখে রাউজান বিদ্যুত কেন্দ্র
বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যে কোনো সময় এ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে বাখরাবাদ থেকে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে তার সাথে প্রচুর পরিমাণ ময়লা মিশ্রিত থাকায় কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা এই আশঙ্কা করছেন। প্রতিদিন এসব ময়লা পরিষ্কার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিক রাখতে প্রকৌশলীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত দুই মাস থেকে গ্যাসের সাথে ময়লা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। গ্যাসের সাথে আসা ময়লা অপসারণ করে দৈনিক উৎপাদন ঠিক রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকৌশলীদের প্রচেষ্টার কারণে এখনো উৎপাদন ঠিক রয়েছে এবং প্রতিদিন ২৩০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা জানান, গত দুই মাস থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহকৃত গ্যাসের সাথে প্রচুর পরিমাণ তেল এবং জ জাতীয় পদার্থও আসছে। এই ব্যাপারে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের গতকাল দৈনিক আজাদীকে জানান, গ্যাসের সাথে যে পরিমাণ ময়লা পাওয়া যাচ্ছে তা পরিষ্কার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঠিক রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন গ্যাসের সাথে তেল এবং জ জাতীয় পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে ফিল্ড থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে সেই ফিল্ডের গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। গ্যাস ফুরিয়ে আসলে গ্যাসের সাথে ময়লা আসে। বাখরাবাদও এই কথা স্বীকার করেছে। এখন সরবরাহকৃত গ্যাস পরিষ্কার করে উৎপাদন ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এত কষ্ট করে মেশিন চালু রাখা যায় না। রাউজান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে পুরো দেশ তাকিয়ে আছে। তারপরও আমি রাউজান থেকে প্রতিদিন ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছি। বাখরাবাদ যদি আমাকে মানসম্পন্ন আরো ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দিতে পারতো তাহলে আমি আরো ৮০ মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারতাম। রাউজান বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঠিক থাকাতেই চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ পরিসস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। গ্যাসের সাথে ময়লা আসার ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন বিভাগের এক প্রকৌশলী জানান, গ্যাস ফিল্ডে গ্যাসের মজুদ কমে আসলে গ্যাসের সাথে গ্যাস ফিল্ডের বিভিন্ন ময়লাও চলে আসে। এটা গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার লক্ষণ।চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বর্তমানে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রই একমাত্র ভরসা। পানি কমে যাওয়াতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবগুলো ইউনিট এক সাথে চালানো যাচ্ছে না। সারাদিন বন্ধ রেখে সন্ধ্যার সময় চালানো হয়। গতকাল এবং গত পরশু সন্ধ্যায় চারটি ইউনিট চালানো হয়েছে। গতকাল রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ২৫০ মেগাওয়াট এবং কাপ্তাই চারটি ইউনিট থেকে ১০৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
১৯ জুন মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১ ঘণ্টা এগিয়ে যাবে
সাকার শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য চেয়ে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন
সোহেল তাজের পদত্যাগ নিয়ে ধূম্রজাল
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছেন বলে গতকাল দিনভর রাজধানীতে গুজবের সৃষ্টি হয়। রবি ও সোমবার পরপর দু’দিন সোহেল তাজ অফিস না করায় এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে তার পদত্যাগের বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করতে পারেন নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহেল তাজকে ডেকে পাঠিয়েছেনণ্ড এ খবরে রাজধানী জুড়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছেন। রাত ১টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে তিনি কিছু দিনের ছুটিতে গেছেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুপুর থেকেই সোহেল তাজের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লেও সরকারি কোনো দায়িত্বশীল সূত্র তার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করে নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে সোহেল তাজ ব্যক্তিগত সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেন। সূত্র জানায়, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় নি। বরং প্রধানমন্ত্রী ও সোহেল তাজের পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে পদত্যাগ থেকে নিরস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোহেল তাজের নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মীরাও তার পদত্যাগের খবর পেয়ে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক শহীদ তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল তাজ বিগত ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে গাজীপুর ৪ আসন থেকে নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিনবদলের সরকারে তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৫ মাসের মাথায় তার পদত্যাগের খবর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলকে বিস্মিত করেছে।
২২৮ জন আরোহী নিয়ে আটলান্টিকে এয়ার ফ্রান্সের বিমান নিখোঁজ
উখিয়ায় জামায়াত প্রার্থী শাহজালাল চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫০০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৩৫ ভোট। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে বিএনপি প্রার্থী শাহ আলম মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭৫০ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের এডভোকেট অনীল বড়ণ্ডয়া চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির শাহীন আকতার। হাঁস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫৮৯ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খুরশিদা করীম প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪০৮ ভোট। সকাল থেকে উপজেলার ৩৫টি কেন্দ্রে নি্নিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন ছোটখাটো ঘটনা ছাড়াই কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। রোববার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত র্যা ব ও পুলিশ জামায়াত শিবিরের ও স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল যুবকসহ কমপক্ষে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৩৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অপেক্ষাকৃত কম। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হলেও নারী-পুরুষ ভোটাররা শৃংখলার সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট প্রদান করেছেন। ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক র্যাখব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন। উখিয়ার রাস্তায় রাস্তায় সার্বক্ষণিক টহল দিয়েছে র্যারব সদস্যরা। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট ছিল। এ ছাড়াও ৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোট কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরধারী করেছেন নির্বাচনে প্রায় ৭১ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে।