স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এ দেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে। দেশে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ সর্বোপরি সন্ত্রাস আমাদের সর্বত্র বিচরণ করছে। এদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের সুশাসন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে আমাদের সব প্রচেষ্টা সার্থক হবে।তিনি গতকাল ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূজপুর থানার নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও ফটিকছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় ফায়ার স্টেশনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কবির আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, মোছলেহ উদ্দিন, এম.এ. ছালাম, অধ্যাপক হুমায়ুন উদ্দিন আহাম্মদ, মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, ড. মাহমুদ হাসান, ইঞ্জিনিয়ার হারুন, মুজিবুল হক, এহছানুল হায়দার বাবুল, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, চেয়ারম্যান হাছান সরওয়ার আজম চৌধুরী, এম শাহ আলম সিকদার, মোঃ ইব্রাহীম, মাহাবুবুল আলম, গোলাফর রহমান, আবু তৈয়ব, ফজল আহাম্মদ, মোঃ লোকমান ইব্রাহীম মেম্বার প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, নিজের জীবনবাজি রেখে পিলখানায় গিয়েছি। সেদিন আমার মরণ হতে পারতো। কিন্তু আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার একটাই শপথ যে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আরো বলেন, দেশে কাউকে বিশৃংখলার সুযোগ দেওয়া হবে না। যদি কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি করে এবং সন্ত্রাস করে সে আমার দলের হলেও তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে মন্ত্রী নাজিরহাট ঝংকার মোড় ও মাইজভান্ডার দরবার শরিফ এলাকায় পৃথক কয়েকটি পথসভায় যোগ দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে নগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদ নির্মূল করে আগামীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারলে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ মহানগর কমিটির সভাপতি এম.আর আজিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, এস.এম. আলম, সাখাওয়াত হোসেন বাবুল, জামালউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম উদ্দিন, আরশেদুল আলম বাচ্চু, খোরশেদ আহমেদ জুয়েল, ফজলুল কবির সোহেল, জসিম উদ্দিন আহমেদ, এনামুল হক মিলন, জামালউদ্দিন, নাসির উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন শান্ত, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, মেসবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, কফিলউদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন শিবলী, রফিকুল মান্নান জুয়েল, আজিজুর রহমান প্রমুখ।

চট্টগ্রামে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ১০ হাজার কোটি টাকার জমি বেদখল


বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা দামের জায়গা ভূমিদস্যুদের দখলে আটকে আছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়েকশ’ কোটি টাকার ভূমি বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ভূমিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু আবারো বেদখল হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের মতো অভিযান চালাতে পারে নি অন্যান্য সংস্থা। এতে করে সরকারি অন্য সংস্থার মালিকাধীন শত শত কোটি টাকার ভূমি দিনে দিনে বেহাত হয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হচ্ছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বেশি ভূ-সম্পত্তির মালিক। এক সময় দুইটি প্রতিষ্ঠান একই সংস্থার অধীনে থাকলেও পৃথক হয়ে যাওয়ার পর এদের ভূ-সম্পত্তিও পৃথক হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানায় বেশি ভূমি রয়েছে। এই দুইটি সরকারি সংস্থার বাইরে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বন বিভাগ বহু ভূসম্পত্তির মালিক। নিজেদের প্রয়োজন মিটানোর পরও বহু ভূমি এদের রয়েছে। বর্তমানে ব্যবহার না হলেও ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য অনেক ভূমি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু ভূমি গত কবছরের মধ্যে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের আওতায় নিয়ে আসা হলেও অন্যান্য সংস্থার সম্পত্তিগুলোর কোন উন্নয়ন কাজে লাগে নি। রেলওয়ের জমি আগের মতোই পড়ে আছে। এরমধ্যে বহু ভূমি ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে। বৈধতার আড়ালে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড চলেছে। শত শত কোটি টাকার ভূসম্পত্তি নানা পন্থায় হজম করে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট নানা শর্তে ইজারা দেয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি।বাংলাদেশ রেলওয়ের বহু সম্পত্তি সিএনজি স্টেশনসহ নানা প্রতিষ্ঠানের নিকট ইজারা দেয়া হয়। অনেক সময় কোন ধরনের আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে ভূমি ইজারা দেয়া হয়েছে। ক্ষমতার জোরে সম্পত্তি ইজারা নেয়ার বহু ঘটনাও ঘটেছে। কেবল রেলওয়েরই নয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট ইজারা দেয়া হয়েছে। বন্দর সহায়ক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নিমিত্তে কেবল বিভিন্ন ব্যক্তিই নয় সরকারি এবং আধা সরকারি সংস্থার কাছে ভূুমি বরাদ্দ দেয়া হয়। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকটও বন্দর কর্তৃপক্ষের বিপুল পরিমান ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই সব ভূমি ইজারার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ থাকলেও অনেকেই বন্দর সহায়ক প্রতিষ্ঠান না করে অন্য লাভজনক প্রতিষ্ঠান করেছে। বিশেষ করে মূল্যবান ভূমিগুলোতে নানা ধরনের বাণিজ্যিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভূমিদস্যুরা প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় দিনের পর দিন ভূমি দখল করে রেখেছে। ভূমি ইজারার নামে উক্ত ভূমি দখল করে রাখার বাইরে একেবারে অবৈধভাবেও বন্দরের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে রাখা হয়েছে। এক কাজের জন্য ভূমি বরাদ্দ নিয়ে অন্য কাজ করছে এমন ব্যক্তির তালিকায় প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপিও রয়েছেন। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের দখলে রয়েছে শত শত কোটি টাকার ভূমি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করলেও আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে এখনো বিপুল পরিমান ভূমি অবৈধ দখলদারদের কবজায় রয়েছে।
ভূমি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের অবস্থা শোচনীয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও রেলওয়ের ভূমি অনেকটা লাওয়ারিশভাবে বেদখল হয়ে রয়েছে। রেলওয়ের শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে হরিলুট চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিরও কোন মা-বাপ নেই। বন বিভাগের ভূমির ক্ষেত্রেও চলছে একই ধরনের বেহাল অবস্থা। যে যেদিকে পেরেছে ভূমি দখল করে রেখেছে। ভূমিদস্যুদের দাপট ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র মন্তব্য করেছে।

কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার বেলাল হোসাইনকে বদলি ॥ অন্যদের শোকজ ।। রড আমদানিতে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা

ফিনিশড রড আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি ও এসআরও ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। কাস্টমস কমিশনার শাহ আলম খানকে বদলির ১২ দিন পর তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হলো। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্য কর্মকর্তাদের শুধুমাত্র শোকজ নোটিশ জারি করেই ক্ষান্ত কাস্টমস।ফিনিশড রড আমদানিতে সরকারের জারি করা এসআরও কে ধামাচাপা দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে কাস্টমস কমিশনার শাহ আলম খানকে বদলি করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট প্রশিক্ষণ একাডেমীতে এখন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। শাহ আলম খান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে শুল্ক ফাঁকি দেয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ছিলেন বলে জানা যায়। এছাড়া ৩১০ মার্কিন ডলারের ফিনিশড রডকে ২৭৪ ডলারে শুল্কায়ন করে ২০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকিতে সহায়তা দেয়ার অভিযোগে তাকে এই বদলি করা হয়। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন সেলের যুগ্ম পরিচালক মুবিনুল করিমকে দিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তিমূলক বদলি করা হচ্ছে বলে জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক কর্মকর্তা। এরই অংশ হিসেবে যুগ্ম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে বদলি করে ঢাকার শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে। এই স'লে নতুন যুগ্ম কমিশনার হচ্ছেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমীর পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। আগামীকালের মধ্যেই তিনি যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।অটোমেশন কার্যক্রম চালুর প্রথমভাগ থেকে যুগ্ম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী নেপথ্যে থেকে এর বিরুদ্ধে নানা কলকাঠি নাড়েন বলে অভিযোগ আছে। তার বিশাল সম্পদের খোঁজে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তিনি এখনো অভিযুক্ত।গত ১৫মে দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত শুল্ক ফাঁকি ও এসআরও ধামাচাপা দেয়ার ঘটনার প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই সূত্র ধরে তদন্ত কমিটি গঠন, প্রতিবেদন প্রদান ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়। তবে বাকি সব অভিযুক্তদের শুধুমাত্র নোটিশ জারিতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে কাস্টমস।

আট দিনের রিমান্ডে দাউদ মার্চেন্ট ।। ‘পুলিশের এনকাউন্টারের ভয়ে ভারত থেকে পালিয়ে আসি’



মুম্বাইয়ের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীমের ‘সহযোগী’ আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্ট ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া অপর দু’জনকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।গতকাল গতকাল শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান সিদ্দিকের আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়। আদালত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। খবর বিডিনিউজের।
রিমান্ড আবেদনের শুনানির সময় দাউদ মার্চেন্ট ও অন্য দুজনের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।রিমান্ড মঞ্জুর শেষে বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিটে গোয়েন্দা পুলিশ একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে তাদের নিয়ে চলে যায়।এর আগে দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদেরকে আনা হয় এবং কোর্ট হাজতে রাখা হয়।ওই আদালতের পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারি কমিশনার আনিসুর রহমান ও পুলিশের জেনারেল রেকর্ডিং কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক আখের উজ জামান বলেন, দাউদ মার্চেন্ট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তারকৃত তার বাড়িওয়ালা কামাল মিয়া ও জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় পাসপোর্ট অ্যাক্ট ও ফরেনার’স অ্যাক্ট এ একটি মামলা হয়েছে।মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর দাউদ মার্চেন্টকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। দাউদকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার বাড়িওয়ালা কামাল মিয়া এবং মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক থেকে জাহিদ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। জাহিদ ভারতের নাগরিক বলে পুলিশের সন্দেহ। জাহিদের কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র ও শেখেরটেকের ওই ভাড়া বাসা থেকে মোবাইল ফোন সেট, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ভারতীয় মোবাইল অপারেটর এয়ারটেলের দুটি সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আশরাফ হোসেন রিমান্ড আবেদনে বলেন, “প্রথমোক্ত দু’জন (দাউদ মার্চেন্ট ও জাহিদ শেখ) নিজেদের ভারতীয় নাগরিকের পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশী নাগরিক কামাল মিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশে ভুয়া ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। দাউদ মার্চেন্ট ভারতীয় মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীম ও ছোট্টা শাকিলের সহযোগী।”ওই আবেদনে আরও বলা হয়, “ দাউদ মার্চেন্ট ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক গুলশান কুমার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ওই মামলায় সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত। ওই মামলায় মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গবাদ কারাগারে আট বছর চারমাস কারাভোগের পর এ বছরের এপ্রিলে ১৪ দিন প্যারোলে মুক্তি পায় দাউদ। ওই সময় সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।”দাউদ মার্চেন্ট বাংলাদেশে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।গ্রেফতারের তিনদিন পর শনিবার আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনও করে।
দাউদ মার্চেন্ট সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এনকাউন্টারের ভয়ে তিনি ভারত থেকে পালিয়ে আসেন। গুলশান কুমার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। শনিবার গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার এএসএম শহীদুল হক বলেন, “দাউদ মার্চেন্টকে মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার ঝুমুর হোটেলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তিনি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক সমির শেখ বলে পরিচয় দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে নিজের আসল পরিচয় স্বীকার করেন।”দাউদ মার্চেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, “অসুস' মাকে দেখতে আমি প্যারোলে মুক্তি পাই। কিন' মুম্বাই পুলিশ আমাকে এনকাউন্টারে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, এমন খবর পেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসি।” ভারতীয় মিউজিক কোম্পানি টি-সিরিজের মালিক গুলশান কুমার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দাউদ মার্চেন্ট।

হাসিনাসহ আ’লীগ নেতাকর্মীদের ১৫০ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা ১৫০ হামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা কমিটি। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা পড়া রাজনৈতিকভাবে হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের ২৪৩২টি আবেদনের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮০০ আবেদনের ওপর মতামত চেয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)’র কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা যাবে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, ১৫০টি মামলা আমরা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছি। আমাদের সুপারিশ বিবেচনার জন্য কাগজপত্রসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। রিপোর্টে বলা হয়, সুপারিশের ১৫০টি মামলার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৩টি মামলা ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর, ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবীর নানকসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আবেদন রয়েছে। তবে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ২ ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০টি মামলার আবেদন যাচাই-বাছাই করা হয় নি। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের মামলাগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, মামলা যাচাই-বাছাইয়ের সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করা হচ্ছে না।

বাজেটের পর দাম বাড়ার আশঙ্কায় গাড়ি কেনার হিড়িক

বাজেটের পর দাম বাড়ার আশঙ্কায় গাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে বলে দাম ও মডেল ও সিসি ভেদে গত কয়েকদিনে ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা বেড়ে গেছে।গাড়ি ব্যবসায়ী ও কাস্টম কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্দরের শেডগুলোতে গাড়ি পছন্দ করতে সম্ভাব্য ক্রেতার ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। কাস্টম হাউজে গাড়ি শুল্কায়নের জন্য দলিলপত্র দাখিলেরও চাপ বেড়েছে। কিছুদিন ধরেই বলাবলি হলেও গত ২৬ মে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) নেতাদের সাক্ষাতের পর বিলাস সামগ্রী হিসেবে আসন্ন বাজেটে প্রাইভেট কারের ওপর অধিক হারে শুল্ক বা করারোপের গুঞ্জন বেড়ে যায়। সেদিন অর্থমন্ত্রী বিলাস দ্রব্যে শুল্ক বাড়ার ইঙ্গিত দিলে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন গাড়ির শুল্ক বাড়বে কিনা। সরাসরি জবাব না দিয়ে মন্ত্রী তাদের গাড়ি বিলাসদ্রব্য কিনা ভেবে দেখতে বলেন।খবর বিডিনিউজের।
বারভিডার সদ্য প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও গাড়ি ব্যবসায়ী এস এম শরিফ বলেন, বাজেট ঘোষণার পর প্রতিটি রিকন্ডিশন্ড প্রাইভেট কারের দাম মডেল ও সিসিভেদে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এতে আগামীতে গাড়ির ব্যবসা মার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরিফ বলেন, গ্যাট চুক্তির কারণে সরকার সরাসরি গাড়ির ট্যাক্স বাড়াতে পারবেন না। তবে সম্পূরক শুল্ক বর্তমান ২০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যবর্তী যেকোন স্তরে উন্নীত করতে পারেন। ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এরূপ একটি আশঙ্কা থেকে এখন বাজারে গাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে। শরিফ জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত তার ৮০টি গাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। বারভিডা নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীর কাছ থেকে আমদানিকৃত গাড়ির শুল্ক কমানোর আশ্বাস আদায় করতে না পারায় সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্বের ‘দুর্বলতা ও অদক্ষতা’-কে দায়ী করেন শরিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বারভিডার নতুন নেতৃত্ব দুর্বল ও অদক্ষ। তারা গাড়ির বাজার পরিসি'তি সম্পর্কে প্রথমে গণমাধ্যমের কাছে না গিয়ে সরাসরি সরকারের কাছে চলে যান এবং এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে ব্যর্থ হন। এতে বর্তমানে গাড়ির বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে।”
চট্টগ্রামের শাহরিয়ার শিপিং এজেন্সির মালিক মোশাররফ হোসেন বাহার জানান, প্রচুর গাড়ি বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিদিনই দেড় থেকে দুই হাজার লোক গেট পাশ নিয়ে বন্দরে গাড়ি দেখতে যাচ্ছে। গাড়ি খালাসও হচ্ছে প্রচুর। এসবই বাজেটে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।গাড়ির মূল্য প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০০৩ সালে জাপানে তৈরি একটি ১৫শ সিসি’র করোলা এক্স রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সাড়ে ৯ লাখ এবং ২০০৪ সালে সাড়ে দশ লাখ টাকায় বিক্রি হত। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরণের গাড়ির দাম বেড়ে গেছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এ ব্যবসায়ীর ধারণা, বাজেটে সম্পূরক কর বাড়লেও প্রাইভেট কারের দাম এখনকার চাইতে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হবে না। সম্পূরক শুল্ক বর্তমানের চাইতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন। এ প্রসঙ্গে বারভিডার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর এর সঙ্গে আলাপকালে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কোন বিলাসী দ্রব্যের বিবেচনায় পড়ে না বলে দাবি করেন। তার মতে, এজন্য ট্যাক্স বাড়ানোরও কোন সুযোগ নেই। তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বারভিডার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অর্থমন্ত্রীও সরাসরি গাড়িকে বিলাসী দ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত করেন নি এবং গাড়ির ওপর অধিক শুল্ক আরোপের কথা বলেন নি। গাড়ির দাম এখনই বাড়িয়ে দেওয়ার সমালোচনা করে মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, এমনটি হলে বাজেটের পরবর্তী তিনমাস গাড়ি বিক্রেতারা কোন ক্রেতা খুঁজে পাবে না।
বারভিডা সম্পাদক অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ১৫শ’ সিসি ও ২ হাজার সিসি’র গাড়ির সমন্বয় করার কথা বলেছি। এটি করা হলে সরকারের কমপক্ষে ৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বাড়বে। তাছাড়া গাড়ির জন্য শুল্কায়ন বিধিমালা স্থির ও দীর্ঘমেয়াদী করার দাবি জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বারভিডার এ প্রস্তাবে সায় দিয়ে আগামীতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। বারভিডার বর্তমান নেতৃত্বের অদক্ষতার সমালোচনা প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, এ কমিটি প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণও হয় কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে যা আগে কখনো ছিল না। এদিকে, বাজেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ির ঢল নেমেছে। কাস্টম সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি বিভিন্ন শেডে রয়েছে। আরও দুইটি জাহাজ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় দুই হাজার গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভিড়বে। গত শুক্রবার এমভি স্টেট ভেঞ্চার নামে একটি গাড়ির জাহাজ (রো রো ভেসেল) সাড়ে নয়শ’ গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভেড়ে। জাহাজটি থেকে এখন গাড়ি খালাস করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার ফজলুল হক শনিবার বলেন, প্রতিটি বাজেটের আগে আগে গাড়ি আমদানি বেড়ে যায়। এখনো তাই হচ্ছে।নতুন যে দুটি জাহাজ গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভিড়ছে তার প্রতিটিতে এক হাজার ইউনিট বা তার বেশি গাড়ি রয়েছে বলে সহকারী কমিশনার জানান। তিনি জানান, এ মুহূর্তে বন্দর থেকে গাড়ি খালাসের জন্য অন্য সময়ের চাইতে অনেক বেশি হারে ডকুমেন্ট দাখিল ও গাড়ি খালাস হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিসংখ্যান দিতে পারেননি ফজলুল হক ।

ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় বিয়ে বাড়িতে এক মেহমানকে গুলি করে হত্যা ।। আরও দুই মহিলা গুলিবিদ্ধ ॥ আটক ২

ভূজপুরে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় ডাকাতরা বিয়ে বাড়িতে আগত এক মেহমানকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আরো দুই মহিলা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তন্মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন পশ্চিম ভূজপুর গ্রামের চৌকিদার টিলার রজি আহম্মদের ঘরে ৮/১০ জনের সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতরা ঘরে ঢুকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা মেহমানদের স্বর্ণালংকার ও সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে ব্যাপক লুটতরাজ শুরু করে। এতে মেহমান জসিম (২৩) ডাকাতদের লুটপাটে বাধা দেয়। এ সময় ডাকাতরা তার ওপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। ডাকাতদের ছোঁড়া গুলিতে নূর নাহার বেগম (৩৫) ও বিবি জয়নব নামে অপর দুই মহিলা গুরুতর আহত হয়। তন্মধ্যে এলাকাবাসী নুর নাহার বেগমকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। সে বোয়ালখালী থেকে উক্ত বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তার স্বামীর নাম জহির আহাম্মদ। নিহত জসিম উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের রোসাইংগা ঘোনা গ্রামের জনৈক মোহাম্মদ শাহ আলমের পুত্র। এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দেহভাজন হিসেবে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। পুলিশ তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।

ঢাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আব্বাস-খোকা গ্রুপে সংঘর্ষ ।। খালেদার প্রেস সচিবসহ আহত ২৫

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ২৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন দিনব্যাপী আয়োজন করে নানা কর্মসূচি। এর মধ্যে দেশব্যাপী গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এদিকে খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানসহ প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত ও বেশ কয়েকজন লাঞ্ছিত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে, নগরীসহ ঢাকার বাইরে খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে রাস্তায় টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ সরকার সমর্থকরা ভেঙ্গে ফেলেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মির্জা আব্বাস ও ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে আব্বাস ও খোকা গ্রুপের সমর্থরা উত্তপ্ত বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপরই শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এসময় বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে মির্জা আব্বাস ও খোকা তাদের নিজ সমর্থিত উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করেন।

ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায়

ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায় মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে জুনিয়র এক ছাত্র। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ওই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রীর নাম রায়হান মার্জান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাজু বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র। জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া হলের ছাত্রী রায়হান মার্জান গতকাল সন্ধ্যার পর হল থেকে বের হয়ে পার্শ্ববতী ঝুপড়ির দোকানে যাচ্ছিলেন। এমন সময় রাজু নামের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ওই শিক্ষার্থী তাকে টিজ করে। এর প্রতিবাদ করলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটির ওপর চড়াও হয়। তাকে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে চুল টেনে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পরে সেখানে উপসি'ত হন সহকারী প্রক্টর চন্দন কুমার পোদ্দার। তার কাছে গতকাল রাত ৯টায় জানতে চাইলে ওই ব্যাপারে তিনি বলেনণ্ড মেয়েটিকে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছি। অভিযুক্ত ছেলেটির ব্যাপারে তিনি বলেন, সে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১ম বা ২য় বর্ষের ছাত্র। তাকে রাতের ভেতরে আটক করতে র্যাবব, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই একাডেমিক্যালি শাস্তির ব্যবস্থাসহ অন্যান্য শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, ছেলেটির বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।

বিশ্ব মন্দার মধ্যেও দেশে সাড়ে ৯শ’ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসবে - গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও চলতি বছর ৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৯৫০ কোটি ডলার রেমিটেন্স দেশে আসবে। তিনি আশা প্রকাশ করে আরো বলেন,আমাদের প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স সময়ে খুবই কাজে আসবে। বিশেষ করে বিশ্বমন্দার এই সময়ে এটা খুব কাজ দেবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো এই অর্থ লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষাসহ বিশ্বমন্দা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে বেশ সহায়তা করবে। বিশ্বমন্দার প্রেক্ষাপটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) দেশে বিনিয়োগ করারও আহবান জানিয়েছেন গভর্নর। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্বমন্দার ওপর আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ সব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশ (আইসিসি-বি) এ সংলাপের আয়োজন করে। আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর এখনও তেমন পড়েনি। উন্নত দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত বিশ্বমন্দার প্রভাবে তছনছ হয়ে হয়ে গেলেও বাংলাদেশে এর কোনো ধরনের ছোঁয়া লাগেনি। আমাদের ব্যাংক ও আর্থিক খাত এখনও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সের ওপরও এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, গত বছর ৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। মন্দা সত্ত্বেও চলতি বছর এই রেমিটেন্স ৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।

মামলা জরিমানা কোনো কিছুই রুখতে পারছে না সিটিবাস ও হিউম্যান হলার চালকদের ।। বেপরোয়া গাড়ি চালনা বৃদ্ধি, ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা

একের পর এক প্রতিশ্রুতি প্রদান ও পরবর্তীতে সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকদের ক্ষেত্রে।অভিযান, মামলা, জরিমানা কোন কিছুই রুখতে পারছে না এ সব যানবাহন চালকদের। রাস্তায় নামলে ট্রাফিক আইন নয়, নিজের মনমতো চলাটাই হয়ে পড়ে তাদের কাছে আইন। ট্রাফিক নীতিমালা মানাতে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকদের নিয়ে চারদিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল ট্রাফিক বিভাগ। প্রশিক্ষণের ফল আশাব্যঞ্জক নয় বলে স্বীকার করলেন খোদ উপপুলিশ কমিশনার (যানবাহন) মোঃ মইনুল ইসলাম। তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এটি বিরাট এক সমস্যা। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি। যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, বলা যাবে না।
জানা গেছে যাত্রী সুবিধার কথা বলে ২০০২ সালে সিটি সার্ভিস বাসের যাত্রা শুরু হয়। অন্যদিকে হিউম্যান হলারের যাত্রা শুরু একই লক্ষ্যে ২০০১ সালে। বছরের পর বছর অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী সাধারণের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে রয়ে গেছে বিস্তর ব্যবধান। নিতান্ত বাধ্য হয়ে তবু সিটি বাস অথবা হিউম্যান হলারে উঠতে হচ্ছে নগরবাসীকে। যন্ত্রণাক্লিষ্ট নগরবাসীর কাছে এখন সিটি সার্ভিস হয়ে গেছে চিটিং সার্ভিস এবং হিউম্যান হলার পরিচিতি পেয়েছে হিউম্যান মার্ডারার হিসেবে। এমন কোন দিন নেই, যেদিন কোন না কোন স্থানে যাত্রীদের সাথে চালক-হেলপারের বচসা কিংবা হাতাহাতি হয় নি। এ ধরনের ঘটনা যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়, তখন উপপুলিশ কমিশনার (যানবাহন) কার্যালয়ে ডাক পড়ে সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের। অনুষ্ঠিত সভায় ডিসি ট্রাফিক, এসি ট্রাফিকদের দেয়া নির্দেশাবলীর সাথে একমত পোষণ করে নেতৃবৃন্দ। অভিযোগ রয়েছে, এসব নীতিমালা মেনে চলা হবে বলে নেতৃবৃন্দ বারে বারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সেসব প্রতিশ্রুতি রাস্তায় আর বাস্তবায়িত হয় না।
সূত্র মতে, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সিটি বাস সার্ভিস প্রসঙ্গে গত ৭ বছরে ৩১ বার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সময়েই সিদ্ধান্তের মূল বিষয় ছিল সুষ্ঠু ট্রাফিক নীতিমালা মেনে চলা প্রসঙ্গে। সর্বশেষ চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ট্রাফিক বিভাগ সিটি বাস ও হিউম্যান হলার নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে কতিপয় সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না, নির্দিষ্ট স্টপেজেই কেবল গাড়ি দাঁড়াবে। আবার একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছনে অন্য আরেকটি বাস এসে দাঁড়ালে, সাথে সাথেই প্রথম বাসটিকে চলে যেতে হবে। যখন তখন রুট পরিবর্তন করা যাবে না। ভুয়া লাইসেন্স কিংবা রুট পারমিট দিয়ে বাস/হিউম্যান হলার চালানো যাবে না। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিষয়ে চলতি মাসে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালক, বদলি চালক ও মালিকদের জন্য চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডিসি ট্রাফিক, এসি ট্রাফিক দ্বয়, মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালা ট্রাফিক সিস্টেম মেনে চলার ক্ষেত্রে চালকদের যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করা হলেও সে আশায় গুঁড়ে বালি। গত ২৭, ২৮, ২৯ মে তিনদিন নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় সরেজমিনে প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, আগের নিয়মেই আছে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকরা। ২৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পেছনে আটকে পড়া অন্যান্য যানবাহন একের পর এক হর্ণ বাজিয়ে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকা সিটি বাসের চালকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল একের পর এক বাঁশি বাজালে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাস স্টার্ট দেয় চালক। বাসটি টেরীবাজারের মুখ থেকে জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে আরো ছয় মিনিট ব্যয় করে। একই চিত্র আন্দরকিল্লা মোড়ে। ২৯ মে ছুটির দিন হলেও লালদীঘির পাড়ে যানজট বাঁধিয়ে বসে এলোপাথারি দাঁড়িয়ে থাকা সিটি বাস। গত ২৮ মে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিউমার্কেট মোড় থেকে স্টেশন রোডে যেতে তীব্র যানজট পরিলক্ষিত হয়। রাস্তা দখল করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে দুটি বাস। যাত্রী উঠানোর আশায় একটি হিউম্যান হলারের মুখ দুই বাসের মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে চালক। শুরু হয়ে গেছে বচসা। পেছনে শত শত যানবাহন হর্ণ বাজিয়েই চলেছে। একই অবস্থা নিউমার্কেট থেকে রেয়াজউদ্দিন বাজারের দিকে আসা সড়কটিতেও। সিটি বাস সার্ভিস ও হিউম্যান হলারের চালকের বিরুদ্ধে গত এক সপ্তাহে ৩০০টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (উত্তর) অভিজিৎ চাকমা। আরো কঠোর শাস্তির চিন্তা ভাবনাও চলছে বলে জানালেন তিনি।উপ পুলিশ কমিশনার (যানবাহন) মইনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এ সমস্যাটার ব্যাপকতা এতটাই যে, ট্রাফিক পুলিশের একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখন শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আগামী আরটিসি মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের ইচ্ছা আছে রুট পারমিটেই নিয়মগুলো বেঁধে দেয়ার। এভাবে চলতে পারে না। জানি সবাইকে নিয়মে আনা যাবে না। তবে যতোটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাবো।

টিকুরিয়াকে দেশের প্রথম বায়োগ্যাস ভিলেজ ঘোষণা


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত টিকুরিয়া গ্রামকে দেশের প্রথম ‘বায়োগ্যাস ভিলেজ’ ঘোষণা করা হয়েছে।শুক্রবার টিকুরিয়ার কুতিকুড়া করুয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ‘বায়োগ্যাস সপ্তাহ-২০০৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।বায়োগ্যাসের প্রতি গ্রামাঞ্চলের মানুষের আগ্রহ আরো বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এখন থেকে প্লা্যন্ট প্রতি সরকারিভাবে ৯ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের জ্বালানি চাহিদা মেটানো, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ‘জাতীয় বায়োগ্যাস ও জৈবসার কর্মসূচি’ তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২৯ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত ‘বায়োগ্যাস সপ্তাহ-২০০৯’ পালন করা হচ্ছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) দেশের বিভিন্ন জেলার ১২ টি গ্রামের প্রতিটিতে ২০টিরও বেশি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব্যব্যাংক ও এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থায়নে ‘সোলার হোম সিস্টেম’ প্রকল্পের আওতায় ৩ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন এবং পৃথক অপর একটি প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার বায়োগ্যাস প্ল্যান্টে অর্থায়ন করেছে। এছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রায় ৬০ হাজার বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ইডকল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ প্রমোদ মানকিন, ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ইসলাম শরীফ, গ্রামীণ শক্তির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া এবং ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এএন সামছুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। ইডকল চেয়ারম্যান ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশারফ হোসেন ভূইঞা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

কপিরাইট: ২০০৮, দৈনিক আজাদী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

চট্টগ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের নয়া সময়সূচি শীঘ্রই কার্যকর হচ্ছে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সরকার ঘোষিত সময়সূচি চট্টগ্রাম অঞ্চলে শীঘ্রই কার্যকর হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা এ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের সময়সূচি হবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেবেশ চন্দ্র সরকার।
গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরকার ঘোষিত সময়সূচি এখনো কার্যকর হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা বৈঠকে বসে সময়সূচি কার্যকর করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।উল্লেখ্য, দেশের সরকারি, রেজিষ্টার্ড বেসরকারি ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের জন্য সরকার গত ৩ মে হতে পাঠদানের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে। আঞ্চলিক পরিবেশ ও জলবায়ু, স'ানীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনগণের জীবন-জীবিকা ও কৃষ্টির সাথে সঙ্গতি রেখেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়সূচি নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জিয়া হাসান ইবনে আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সম্মতিক্রমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পাঠদানের অন্য কোন সময়সূচি প্রণয়ন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সময়সূচি সমগ্র উপজেলার জন্য প্রযোজ্য হতে হবে।

সিআইডির রিপোর্ট পেলেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হবে : আইনমন্ত্রী ।। বিএনপির সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি নাকচ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।তিনি বলেন, “বিডিআরের ঘটনা তদন্তে সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি অযৌক্তিক। কারণ, বিডিআরের এ ঘটনাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)ও পুলিশ তদন্ত করছে। তাদের ওপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। তাদের তদন্ত রিপোর্ট পেলেই এর বিচার শুরু হবে। এ অবস্থায় অন্য কোন ধরনের সন্দেহ থাকা উচিত হবে না।”শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন লটারির ড্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, বিডিআরের ঘটনার যথাযথ তদন্ত হচ্ছে। সিআইডি ও পুলিশ এর তদন্ত করছে। শিগগিরই এ তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এরপরই সরকার এ ঘটনার বিচার শুরু করবে। কোন আইনে এর বিচার হবে, তা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত করা হবে। তবে সত্যিকার অর্থে যারা এ নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।এ তদন্ত রিপোর্ট জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে শফিক আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে সংসদ চাইলে প্রতিবেদনটি সেখানে উপস্থাপন ও এ নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। পুরো ঘটনাটিই এখন তদন্তাধীন। তাই এ নিয়ে আর কোন সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে সঠিক বলি না। কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডই সরকার সমর্থন করে না। প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ই মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ ব্যাপারে মতামত দেয়া উচিত হবে না।”এর আগে লটারির ড্র’য়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. এম আর খান, এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহফুজা আহমেদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারি।
ড্র’তে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে, জ-০২৫৭৩০২ নম্বরের টিকেট। এছাড়া ঞ-০১৮৫৬৬৬ নম্বর টিকেট দ্বিতীয়, জ-০১০২৯৫৬ নম্বর টিকেট তৃতীয় এবং ঞ-০২০১১২৬ ও গ-০৪৭১০৬৫ নম্বর টিকেট দুটি চতুর্থ পুরস্কার পেয়েছে।

হাটহাজারীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।। পঁচাত্তরের পর এদেশে সন্ত্রাসের শুরু, জঙ্গিবাদ তারই ধারাবাহিকতা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ দমন এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের জন্য সকলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারণ দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মন্ত্রী গতকাল শনিবার সকালে ফটিকছড়ি যাওয়ার পথে হাটহাজারী বাস স্টেশন চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার পর এদেশে যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাধীনতা বিরাধী চক্র এদেশী পাকিস্তানী এজেন্টগণ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। এরপর থেকে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিসি'তির অবনতি হতে থাকে। হত্যা, খুন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়তে থাকে। সবশেষ শুরু হয় জঙ্গি তৎপরতা। সকাল সাড়ে আটটায় সভা শুরু হলে শত শত লোকজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনার জন্য বাসস্টেশন চত্বরে জমা হতে থাকে। ২৯ ডিসেম্বর মহাজোট সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম হাটহাজারীতে কোন মন্ত্রীর পথ জনসভা। থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ সালাম, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইসমাইল। প্রধান অতিথি বলেন, একটি মহল পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমিত সংখ্যক পুলিশ দিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা দুরুহ কাজ বলে উল্লেখ করেন।

আইপিএলের উপেক্ষার জবাব দিতে প্রস্তুত মাশরাফি


দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন মাশরাফি। আর মাঠের বাইরে থাকতে রাজি নন বাংলাদেশী সহ-অধিনায়ক। তার দৃষ্টিতে এখন শুধুই আইসিসি-২০০৯ টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাঠে নেমে দলের জন্য ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছেন দেশসেরা ফাস্ট বোলার মাশরাফি মর্তুজা। সদ্য সমাপ্ত দ্বিতীয় আইপিএলে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান মাশরাফি। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্স দল তাকে নিলামে ৬ লাখ ডলার দিয়ে এক প্রকার লড়াই করেই কিনে নেয়। কোচ জন বুকাননের উদাসীনতায় মাত্র এক ম্যাচে মাশরাফিকে খেলতে নামানো হয়। ম্যাচটিতে ৫৮ রান খরচ করলেও একটি উইকেটও পাননি মাশরাফি। তবে বিভিন্ন দলের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকায় দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আপাতত এটাই মনে করছেন মাশরাফি।
আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে মাশরাফি বলেছেন, আমি মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। আমার মাথায় শুধু এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরে অষ্টম স্থান পায় বাংলাদেশ। ওই অবস্থান থেকে উন্নতি করতে হলে মাশরাফির পারফরমেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আশরাফুল বলেন, মাশরাফি এমন এক খেলোয়াড় যিনি দলের বিপদের সময় জ্বলে ওঠেন। ব্যাট কিংবা বল হাতে উভয় ক্ষেত্রেই তিনি দলের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন। পুরো দলই তার ওপর আস্থা রাখে। তিনিই আমাদের দলের সুপারস্টার। অধিনায়কের মতো কোচ জেমি সিডন্সও আস্থা রাখছেন এই ফাস্ট বোলারের ওপর। তার মতে, ইংল্যান্ডের কন্ডিশন মাশরাফির বোলিংয়ের জন্য ফেভারিট। সিডন্স বলেন, মাশরাফি আমাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ৬ জুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিরুদ্ধে টেন্টব্রিজে টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে দু’দিন পর আয়ারল্যান্ডকে মোকাবেলা করবে টাইগাররা। ইতিমধ্যে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জয়লাভ করেছে টাইগাররা। নেদারল্যান্ডসকে ৬৪ রানে এবং স্কটল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারালেও নিউজিল্যান্ডের কাছে চার উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলোতে মাশরাফি ৫৪ রান খরচ করে তুলে নেন তিন উইকেট।