বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যাপক এলাকায় প্লাবন, হাজার হাজার লোক পানিবন্দি ।।চকরিয়া রামু উখিয়া পেকুয়া নাইক্ষ্যংছড়িতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, চিংড়ি ঘের নষ্ট



টানা প্রবল বর্ষণ ও বিভিন্ন ছড়া-খাল দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে চকরিয়া, রামু, উখিয়া, পেকুয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বহু চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে। আজাদীর নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি মাঈনুদ্দিন খালেদ জানান, পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুতে মাত্র ৬ ঘণ্টা টানা বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে কোটি টাকার ১টি ব্রিজ এবং কালর্ভাট, ১০টি বসতঘরসহ শতাধিক গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, ধান, চাল, বাঁশসহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল ভেসে যায়। বজ্রপাতে নিহত হয় নারীসহ ২ জন, আহত হয় ৮ জন। পাহাড়ি এ ঢলে দু’উপজেলার সাথে সংযুক্ত ৪টি সড়কের সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় ২০ ঘণ্টা। পৃথক ঘটনায় কচ্ছপিয়ার মৌলভীরকাটায় ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী মারা যায়। তার নাম আক্তার বেগম (১০), তার মৃত্যু কারণ জানা যায় নি। সব মিলে এলাকায় হঠাৎ নেমে আসে এক অরাজক পরিসি'তি। ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ খবর প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও দায়িত্বশীল সূত্রের। সূত্র জানায়, সীমান্ত উপজেলাদ্বয়ে গত ৭ জুন রাত ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত টানা বর্ষণে হঠাৎ করে পানি পূর্ণ হয়ে যায় স'ানীয় নদী ও খালগুলো। পাহাড়ি এ ঢলে সৃষ্টি হয় বন্যার। এরই সাথে বজ্রপাতের গর্জন ও আঘাত। অরাজক এ পরিস্থিতে লোকজন জীবন বাঁচাতে মরিয়া ছিল তখন। এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী সংযোগ সড়কের থোয়াংগাকাটা নামক স্থানে গর্জনছড়াতে নির্মাণাধীন ুইচ গেটের জমা পানিতে ১০টি বসতবাড়ি, ৬টি গরু, ২টি ছাগলসহ শতাধিক হাঁসমুরগি ভেসে যায়। এ স্লুইচ গেটের পানিতে বন্দি হয়ে পড়ে বাইশারী ইউনিয়নের নাজির বুনিয়াসহ ৫ গ্রামের ৮ হাজার মানুষ। এভাবে উপজেলার বাইশারীতে ভেসে যায় পুনর্বাসন পাড়া সংযোগ সড়কের ২ কিলোমিটার চলাচল পথ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাইশারী-ঈদগাঁও সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালা সড়ক, ঘুমধুম-রেজু সংযোগ সড়ক ও বাইশারী-গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। উপজেলায় অন্তত অর্ধশত কালভার্ট ভেঙে যায়। এখানকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। কোন পড়ালেখা হয়নি। কচ্ছপিয়া কে.জি স্কুল এন্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। একই সময়ে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছড়ি খালে নবনির্মিত কোটি টাকার ব্রিজটি নির্মাণ ত্রুটির কারণে ভেসে যায়। এতে করে ১০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি বাজার সংলগ্ন খালে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণের ২ মাসের মাথায় গতকালের পানিতে ভেসে যায়। একই ইউনিয়নের জাউচপাড়ায় বিয়ে বাড়িতে ব্রজপাতে নিহত হয় ২ জন, আহত হয় ২ জন। এছাড়াও ব্রজপাতে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে স্কুলশিক্ষকসহ আহত হয় আরো ৬ জন। নিহতরা হলো- খতিজা বেগম (৫৫), নূরনবী (৩০)। এরা বিয়ে বাড়ির সদস্য। আহতরা হলো- ছায়েরা খাতুন (২৮), জসিম উদ্দিন (১৯), কে.জি স্কুল শিক্ষক আবু নাসের (৪৫), মনছুর (১৮), আবুল কালাম (২০), সেলিম (১৬), নূরনবী (১৯) ও মোঃ নাজের। উপর্যুপরি ব্রজপাতে হতাহতের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়িসহ আশপাশের ২শ গ্রামের ৪ লক্ষাধিক মানুষ চরম আতংকে রয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রজপাতে এই এলাকায় গত ৫ বছরে ২১ জন নিহত, আহত হয় অর্ধশত। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএও নওয়াব আসলাম হাবিব জানান- পাহাড়ি ঢলের অনেক জায়গায় ক্ষতি হয়েছে।
চকরিয়া প্রতিনিধি ছোটন কান্তি নাথ জানান, টানা ১০ ঘন্টার প্রবল বর্ষণ ও বিভিন্ন ছড়া খাল দিয়ে দ্রুত নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি কাঁচা বসতবাড়ি বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গেছে। এছাড়া সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ভূট্টা ও সবজি ক্ষেতসহ কয়েক’শ একর জমির সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। অপরদিকে সামুদ্রিক জোয়ারের অস্বাভাবিক পানির তোড়ে উপকূলীয় এলাকার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ চিংড়ি ঘেরেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন। এদিকে, টানা প্রবল বর্ষণ ও ভয়াবহ বজ্রপাতের কারণে রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চকরিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। রামু প্রতিনিধি নীল অপূর্ব জানান, কক্সবাজারের রামু উপজেলায় প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত রোববার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছড়ি খালের উপর নির্মিত সেতু ও ফাক্রিকাটা এলাকায় দু’টি সেতু ভেঙ্গে গেছে। এতে রামু সদরের সাথে ওই এলাকার পঞ্চাশ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্লাবনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ কয়েক’শ ঘরবাড়ি পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একাধিক স'ানে বাঁকখালী নদীর পানি প্রবেশ করায় নতুন নতুন ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। বাঁকখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় স্রোতে ভেসে গেছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বাঁশ ও গাছ। পেকুয়া প্রতিনিধি মো. ছফওয়ানুল করিম জানান, অতিবৃষ্টির কারণে জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পেকুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ফসলি জমি চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, অতিবৃষ্টির কারণে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়ন, রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া ও টৈটং এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শীলখালী ও টইটং ইউনিয়ন পাহাড়ি ঢলের পানিতে এবং রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়ন ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে শীলখালী ইউনিয়নের জারুল বনিয়া সড়ক সহ কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এদিকে মগনামা উজানটিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙ্গা বেড়ী বাঁধের অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কমপক্ষে ১৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। টইটং ইউনিয়নের কৃষক আবু তালেব, সৈয়দ আলী, আবুল কাশেম, শীলখালীর জব্বর মিয়া, পেকুয়া সদরের রমিজ উদ্দিন ও জহিরুল ইসলাম জানান, পেকুয়া উপজেলার প্রায় সবকটি বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি না নামলে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তারা জানান।
উখিয়া প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নে চার গ্রামে অর্ধশত বসতঘর, গাছপালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ছ’টার দিকে এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে উখিয়ার সর্বত্র গ্রামীণ রাস্তাঘাট, চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল হুদা চৌধুরী, ৩নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ নুরুল আলম জানান, পশ্চিম পালংখালী, গয়াল মারা, পুটি বনিয়া ও রাহমতের বিল গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে অর্ধশত বসত ঘর, শত শত গাছপালা উপড়ে ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী বায়োচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে গত ২/৩ দিন দরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে অনেক গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অনেক গ্রামীণ রাস্তা-কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে, নাফ নদী ও সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল ও ৩০টির মত চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে চিংড়ি মাছ ভেসে গেছে।

ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ভর্তি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী এ বছর কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে কেবলমাত্র শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমবে এবং ভর্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান দুর্নীতি হ্রাস পাবে বলে মনে করে মন্ত্রনালয়। ভর্তির এ নিয়মে বিভাগীয় সদর ও জেলা সদরের কলেজগুলোতে শতকরা ৮৮ ভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ১২ ভাগ আসন বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তাছাড়াও ঘোষিত নীতিমালায় যাই থাকনা কেন, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। এইচএসসি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে আগামী ১২ জুলাই থেকে। খবর এনএনবির। গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৩ পয়েন্ট ধরে ক্রমান্বয়ে ৪০ পয়েন্ট প্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দিতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ৪০ পয়েন্টপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে সমান পয়েন্ট অর্জনের বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে ০৫ পয়েন্টপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এত করে সমস্যার সমাধান না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। তাতেও সমস্যার সমাধান না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার কেন্দ্রের সভাপতির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের পারস্পরিক মেধাক্রম সংগ্রহপূর্বক প্রার্থী বাছাই করা হবে। সমমেধাসম্পন্ন প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/পোষ্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে আরো বলা হয়েছে, ২০০৭, ’০৮ ও ’০৯ সালে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির যোগ্য হবে। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়, মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার যে কোন একটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখা নির্বাচন করতে পারবেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র ফরমের মূল্য বাবদ ১০ টাকা এবং ভর্তি ব্যবস'াপনা ব্যয় নির্বাহের জন্য ৫০ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৬০ টাকা রশিদ প্রদানসহ গ্রহণ করবে। এ ছাড়া ভর্তির সময় বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য ফিসহ রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি ২৫ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১০ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, শাখা /বিষয় পরিবর্তন ফি ২৫ টাকা, পাঠ বিরতি ফি ১০০ টাকা, বিলম্ব ভর্তি ফি ৫০ টাকা গ্রহণ করা যাবে। কলেজসমূহ তাদের ভৌত অবকাঠামো ও শিক্ষক সংখ্যা অনুসারে স্ব স্ব কলেজের আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির আগেই শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবে এবং বোর্ডগুলো স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবসি'ত কলেজগুলো এ বিধানের ব্যত্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস'া গ্রহণ করবে। বোর্ড নির্ধারিত ফিসহ সব ফি, আসন সংখ্যা, ভর্তির যোগ্যতা ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের নোটিশ বোর্ডসহ যথাযথ প্রচারের ব্যবস'া করবে। আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর কোন কলেজ এ নীতিমালা অনুযায়ী আসন সংখ্যার সমানসংখ্যক ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের একটি মেধাক্রম তালিকা এবং মোট আসন সংখ্যার নূন্যতম ২৫ শতাংশ অপেক্ষমাণ মেধাক্রম প্রকাশ করবে। ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্র দাখিল করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ৭ জুলাই। ক্লাস শুরু হবে ১২ জুলাই। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি ও মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট বোর্ডে জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ জুলাই। বিলম্ব ফিসহ রেজিস্ট্রেশন ফি ও মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বোর্ডে জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুলাই। ব্যবহারিক ক্লাস শুরু করতে হবে ৩ আগস্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক শিক্ষার্থীর শাখা/বিষয় পরিবর্তনের ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ১১ আগস্ট। শাখা/বিষয় পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থীর ব্যাংক ড্রাফটসহ তালিকা বোর্ডে প্রেরণের শেষ তারিখ ১৭ আগস্ট ও পূরণকৃত এসআইএফ শিক্ষা বোর্ডে জমা দানের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর।

শেষ মুহূর্তে জবানবন্দি দিতে লেয়াকতের অস্বীকৃতি ভেস্তে গেল সিআইডির উদ্যোগ ।। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা


ঢাকায় টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদকালে ১৬৪ ধারায় আদালতিক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছিলেন মেজর (অব.) লেয়াকত হোসেন। ৬ দিনের রিমান্ড শেষে টিএফআই সেল থেকে এ উপলক্ষে গত পরশু রোববার তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে সিআইডি। গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় তাকে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গণির আদালতে নেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিচারক এনএসআই’র সাবেক এই উপ-পরিচালককে (টেকনিক্যাল) জবানবন্দি নেয়ার আগে তিন ঘণ্টা সময়ও দেন। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আলোচিত এই আসামিকে মনসি'র করার জন্য দেয়া এই তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যেও জবানবন্দি দিতে রাজি লেয়াকত। সবকিছু ঠিকঠাক। বিকেল ৩টায় ওসমান গণির খাস কামরায় ঢুকলেন লেয়াকত। জবানবন্দি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু। বিচারক ১৬৪-এ জবানবন্দি নেয়ার বিধিবদ্ধ ফরমে উদ্ধৃত প্রশ্নের আলোকে লেয়াকতকে বললেন, আপনার নাম লেয়াকত হোসেন। আপনি দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি আপনাকে গত ২৬ মে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপনাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এসব কথার উত্তরে লেয়াকত হ্যাঁ সূচক উত্তর দেন। এর পরের প্রশ্নগুলো ছিলণ্ড আমি পুলিশ নই আমি বিচারক জানেন নাকি। লেয়াকতের উত্তর হ্যাঁ। এরপর বিধিবদ্ধ ফরমের আওতায় বিচারক লেয়াকতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রিমান্ডে আপনাকে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা। করলে আমাকে স্পটগুলো দেখাতে পারেন। এ সময় লেয়াকত নির্যাতনের শিকার হন নি বলে বিচারককে জানান। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক। উপরের প্রশ্নোত্তরগুলোয় ১৫ মিনিট সময়ও অতিবাহিত হয়। কিন্তু “আপনি ১৬৪ ধারায় নিজের দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দিবেন কিনা” বিচারকের এই প্রশ্নেই বেঁকে বসেন লেয়াকত। অথচ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়াতেই তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থাপন করে সিআইডি। আদালত সূত্র জানায়, বিধিবদ্ধ ফরমের ৬ নম্বর কলামের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ এর একটি প্রশ্নের জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন লেয়াকত। এই ঘটনায় লেয়াকতকে নিয়ে সিআইডির প্রচেষ্টা প্রথম দফায় ভেস্তে গেল বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে মামলার অপর আসামি মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট ফজলুল বারী। গতকাল সোমবার তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান। প্রসঙ্গত, রেজ্জাকুল হায়দারকেও ৬ দিনের রিমান্ডে ঢাকায় টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এদিকে আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, লেয়াকত জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করায় তাকে জবানবন্দি না নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। জবানবন্দি ফরমে যে প্রশ্নোত্তরগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো হুবহু রেকর্ডে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। সর্বশেষ লেয়াকতকে আদালত থেকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয় বিকেল সাড়ে ৩টায়। এ ব্যাপারে তার আইনজীবী আবুল হাসান বলেন, তিনি ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানেন না। তিনি অসুস্থ। এ কারণে জবানবন্দি দেন নি। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী, লেয়াকত রাজি ছিলেন বলেই এই পর্যন্ত আনা হয়েছে। জবানবন্দি না দেয়াটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। প্রসঙ্গত, উল্লেখিত দুইজনকে গত পরশু রোববার টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চট্টগ্রামে আনা হয়। এর আগে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের (টিএফআই) জন্য ৬ দিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি পুলিশ।

মাঝিরঘাটে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামে অগ্নিকাণ্ড : ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ।। দুই ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ১০ জন আহত


নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় গতকাল সোমবার সকালে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামে আগুনে প্রায় ১৫০ টন রাসায়নিক সামগ্রী পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৮ ঘণ্টা স্থায়ী এ অগ্নিকাণ্ডে রাসায়নিক পদার্থের পোড়া ধোঁয়া এবং গ্যাসে মাঝিরঘাট ও এর আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু জন কর্মীসহ কমপক্ষে ১০জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- দেওয়ান গাজী, তোফাজ্জেল, চাঁন মিয়া এবং আবদুর রউফ। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগুনে কয়েক কোটি টাকার সোডিয়াম সালফেটসহ রাসায়নিক সামগ্রী ভস্মীভূত হয়। অগ্নিকাণ্ডে রাসায়নিক দ্রব্যের গুদামের পাশে রিপাবলিক সল্ট নামে একটি লবণ মিলও ভস্মীভূত হয়। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানাতে পারে নি। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী শাহিদুর রহমান দৈনিক আজাদীকে জানান, মাঝিরঘাটের এভারগ্রিন এন্টারপ্রাইজের গুদাম সংলগ্ন শাহজালাল ট্রেডিংয়ের একটি গুদামে সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ নির্ধারণ করা যায় নি। এসব গুদামে সোডিয়াম সালফেট, কস্টিক সোডাসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ছিল বলে জানান শাহিদ। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ১২টি গাড়ি ঘটনাস'লে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে দুপুর ২টা নাগাদ বাইরের দিকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত ভেতরে আগুন জ্বলতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এসকল গুদামে মোস্তফা গ্রুপের শাহজালাল ট্রেডিং ও ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজের কয়েক কোটি টাকার প্রায় ১৫০ টন সোডিয়াম সালফেট, কস্টিক সোডাসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সামগ্রী ছিল। ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে ১২ হাজার ব্যাগ সোডিয়াম সালফেট ও কস্টিক সোডা পুড়ে গেছে। এসব কেমিক্যালের দাম প্রায় ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

কর্ণফুলী কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প লালফিতায় বন্দী

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্ণফুলী কন্টেনার টার্মিনাল (কেসিটি) নির্মাণের প্রকল্প যথারীতি লালফিতার কবলে পড়েছে। বিদ্যমান তিনটি জেটিকে ভেঙে প্রায় সাড়ে আটশ’কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে একটি কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও কার্যত কিছু হয় নি। বছরে সাড়ে তিন লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই টার্মিনালটি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। লালফিতার কবলে পড়ায় কবে নাগাদ প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে তা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি রপ্তানি পণ্য বোঝাই ১০ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৫ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা হয়। আগামী ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে এই সংখ্যা বিশ লাখ টিইইউএস ছেড়ে যাবে। প্রতিবেশি দেশকে ট্রানজিট দেয়ার যে প্রস্তাবনা রয়েছে তা কার্যকর হলে কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর পরিমাণ আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে দুইটি বিশেষায়িত কন্টেনার টার্মিনাল রয়েছে। এরমধ্যে চিটাগাং কন্টেনার টার্মিনালে (সিসিটি) ৪৫০ মিটার দীর্ঘ জেটিসহ পশ্চাদসুবিধা রয়েছে। সিসিটিতে একই সাথে তিনটি কন্টেনার জাহাজ বার্থিং দেয়া যায়। এই টার্মিনালে বছরে তিন লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যায়। অপরদিকে ১০০০ মিটার দীর্ঘ জেটিসহ পশ্চাদসুবিধার নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনালও বন্দরের কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই টার্মিনালে একই সাথে পাঁচটি জাহাজ বার্থিং দেয়ার সুবিধা রয়েছে। এই টার্মিনালে বছরে ৫ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর সুবিধা রয়েছে। দুইটি বিশেষায়িত কন্টেনার টার্মিনালে ৮ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর পাশাপাশি বন্দরের কয়েকটি সাধারণ জেটিতেও কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা হয়। কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর জন্য বিশেষায়িত জেটিগুলোতে হ্যান্ডলিং চালানোর পাশাপাশি বাড়তি চাপ সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সাধারণ জাহাজ ভিড়ানোর উপযোগী করে নির্মিত ১১, ১২ এবং ১৩ নম্বর জেটিতেও কন্টেনার হ্যান্ডলিং করে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। তবে ১৯৫৪ সালে নির্মিত জেটিগুলোতে কন্টেনার হ্যান্ডলিং এর বিল্ডইন সুবিধা না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষকে নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। বিশেষ করে দীর্ঘ ৫৫ বছরের পুরানো জেটিগুলোর অবস'াও অনেকটা নাজুক। এই অবস'ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ১১, ১২ এবং ১৩ নম্বর জেটি ভেঙে কর্ণফুলী কন্টেনার টার্মিনাল (কেসিটি) নামের অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই টার্মিনালে ৬০০ মিটার দীর্ঘ জেটিতে একই সাথে তিনটি মাদার ভ্যাসেলের বার্থিং সুবিধা থাকবে। ৪৫ একর পশ্চাদসুবিধা সম্বলিত এই কন্টেনার টার্মিনালে বছরে সাড়ে তিন লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। প্রকল্পটির সর্বমোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮২০ কোটি টাকা। কনসালটেন্ট নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে তিন বছর সময় লাগবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প সারপত্র তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। উল্লেখ্য, বন্দর কর্তৃপক্ষের তহবিলে প্রায় ২৭শ’ কোটি টাকা জমা রয়েছে। প্রকল্পটির ডিপিপি (ড্রাফট প্রজেক্ট প্রোফাইল) মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মন্ত্রণালয়ের কোন সাড়া মিলেনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ানাধীন প্রকল্পটির ব্যাপারে কবে নাগাদ অনুমোদন মিলবে তাও বলতে পারছে না কেউ। লালফিতার কবলে পড়া প্রকল্পটির ব্যয় প্রতিদিনই বাড়বে। ৮২০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে আগামী এক বছর পরে সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা লাগবে। তখন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আবারো মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। কেসিটি প্রকল্পের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীদের অনেকেই। তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব টাকা খরচ করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখন পর্যন্ত একটি প্রকল্পও লালফিতার দৌরাত্ম্যমুক্ত হয়ে বাস্তবায়িত হয়নি। নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল বাস্তবায়নেও বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পও ঝুলে আছে। এখন কেসিটিও ঝুলে গেল।

সংসদে দুটি বিল উত্থাপন, বিএনপি গতকালও যায়নি

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় কার্যদিবসের অধিবেশন শুরু হয়েছে গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায়। আগের দুই কার্যদিবসের মতো এ দিবসের অধিবেশনেও অংশ নেয়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। স্পিকার আব্দুল হামিদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রথমে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপসি'ত রয়েছেন। দিনের কার্যসূচিতে আইন সংক্রান্ত দুটি বিল উত্থাপনের কথা রয়েছে। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি সংশোধনের প্রস্তাবও অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে। খবর বিডিনিউজের।বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক রোববার বলেন, “আমরা অধিবেশনে যোগ দেবো কি না তা নিয়ে আগামী সপ্তাহে সংসদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সামনের সারিতে বিএনপির আসন সংখ্যা বর্তমান পরিসি'তিতে আর বাড়ানো সম্ভব নয় বলে এরই মধ্যে স্পিকার আব্দুল হামিদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। স্পিকারের চেয়ারের বাঁ পাশে সামনের সারির নয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি বর্তমানের বিএনপির জন্য বরাদ্দ রয়েছে। বিএনপি সামনের সারিতে সাতটি আসন দাবি করলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করছে। সরকারি দলের ভাষ্য, আসনসংখ্যার অনুপাতে তাদের নায্য আসনই দিয়েছেন স্পিকার।

সারাদেশে আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের নিরাপত্তা জোরদার

জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কায় সারা দেশে আদালত অঙ্গনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল সোমবার বলেন, “আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।”এদিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সারাদেশে সব সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ওয়াজেদ মিয়ার নামে রংপুরে ৪০ গরুর মেজবান দিচ্ছেন মেয়র

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে ৪০ গরুর মেজবান আয়োজন করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আগামী ১৫ জুন প্রয়াত ওয়াজেদ মিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে উক্ত মেজবান অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মেজবানের প্রস্তুতি নিতে আগামী ১২জুন চট্টগ্রাম থেকে একটি প্রতিনিধিদল রংপুর যাবেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া মারা যাওয়ার পর নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী রংপুরের পীরগঞ্জে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর একমত পোষণ করায় সিটি মেয়র উক্ত মেজবান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই বিষয়ে শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী বাবু বলেন, নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রংপুরে মেজবানের আয়োজন করা হবে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান রান্না করতে চট্টগ্রাম থেকে নেয়া হবে কিনা উক্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাবুর্চি চট্টগ্রাম থেকে নেয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।