চলতি বছরেই শুরু হচ্ছে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কেটে গেছে

কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কেটে গেছে। জটিলতা কেটে যাওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সকল বাধা দূর হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই প্রকল্প থেকে দৈনিক সাড়ে ১৩ কোটি ৬০ লাখ লিটার পানি পাওয় যাবে। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ গত মার্চে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ভূমি জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যায়নি। জাইকার ঋণ সহায়তা থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে প্রকল্পটি এত দিন অনিশ্চিত ছিল। জমি অধিগ্রহণের জন্য ঋণ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের জাইকা সরকারকে সময়সীমা বেধে দিয়েছিল। এই সময়সীমার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করতে না পারলে জাইকা এই প্রকল্প বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য জাইকা ৯শ’৬৩ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তির শর্ত মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকা প্রতিনিধি দল রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় সাড়ে ৩১ একর খালি জমি নির্ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিজাইনও ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সয়েল টেস্ট এবং ডিজাইন ফাইনাল করার বাকি। জমি অধিগ্রহণ করতে যাওয়ার প্রাক্কালে বাধ সেধেছিলেন এলাকাবাসী। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভূমি মালিকরা ভূমি ছেড়ে দিতে সম্মত হওয়ায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেছে। গত মার্চ পর্যন্ত ভূমি মালিকদের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় জাইকা সরকারকে গত এপ্রিলে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সমাধানের জন্য চূড়ান্ত চিঠি দেয়। জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের জাইকার সকল প্রকল্পের ব্যাপারে তারা পুর্নর্বিবেচনা করার ঘোষণা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সরকার ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ভূমি মালিকদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানাগেছে , মদুনা ঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য ইতালি , কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং মোহরা পানি শোধনাগারের জন্য জাপানের জাইকার সাথে সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরও শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পটি এত দিন আটকে ছিল। আইনগত সকল দিক শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে সাড়ে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিজাইনের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিজাইন শেষ হলে সয়েল টেস্টের কাজ শুরু হবে। তারপর টেন্ডার আহবান করা হবে। এই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে ভূমি মালিকদের জমি, ঘর এবং গাছপালার ক্ষতি বিবেচনা করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে ১২ লাখ মানুষের মাঝে মাত্র ৪ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করে আসছে। নগরবাসীর চাহিদা রয়েছে ১২ কোটি গ্যালনের । অন্যদিকে মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে করার কথা থাকলেও গত ৯ বছরে এই প্রকল্পের জন্য কোনো টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বেশ আশাবাদী।

নমুনা পাঠানো হয়েছে থাইল্যান্ডে এবার লামায় বিস্কুট খেয়ে ৫০ শিশু অসুস্থ


বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বরাদ্দকৃত বিস্কুট খেয়ে এবার বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলায় কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার ২দিনে ৪৫টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ওই কর্মসূচিতে বিতরণকৃত বিস্কুট খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। লামা উপজেলা চেয়ারম্যান গতকাল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এসব বিস্কুট বিতরণ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেছেন গতকাল। এদিকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বিস্কুট খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হওয়ার কারণ জানার জন্য নমুনা থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, লামা উপজেলা সদরের নুনারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেয়ারম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লামা আদর্শ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে ওইসব বিদ্যালয়ে ১১জন ছাত্রছাত্রী ওই সংস্থার বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে তিনি সংবাদ পেয়েছেন। ওই ৩টি বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক। উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ হওয়া ছাত্রছাত্রীরা ডায়রিয়ার মতো পাতলা পায়খানা করে এবং মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হয়। ওইসব ছাত্রছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার খবর জানার পর গতকাল থেকে লামা উপজেলায় ওই সংস্থার বিস্কুট বিতরণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। অপরদিকে এ উপজেলার আরও ৪২টি বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩৯ জন ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ঢাকায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সিনিয়র কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, বিস্কুটগুলোর নমুনা পাঠানো হয়েছে থাইল্যান্ডে ২/৩ দিনের মধ্যেই আক্রান্ত হওয়ার কারণ জানা যাবে। তিনি জানান, বান্দরবানে বুধবার মেডিকেল টিম যাচ্ছে।ওই টিম খাগড়াছড়িতে রয়েছে বলে তিনি জানান। বান্দরবানে নিয়োজিত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কর্মকর্তা নে উইন ঘটনার বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি। লামা, আলীকদম, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইউনিসেফ পরিচালিত পাড়া কেন্দ্রগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রতি মাসে ২৩ দিন করে এইসব বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। ১ জুন থেকে এ জেলায় বিস্কুট বিতরণ শুরু হয়েছে। স'ানীয় এনজিও হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনকে বিস্কুট বিতরণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে রোয়াংছড়ি সফরকালে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাড়া কেন্দ্রের শিশুদের মধ্যে বিস্কুট বিতরণ করতে দেখা গেছে। জেলা সদরের একজন মেডিকেল অফিসার জানান, অধিক প্রোটিন থাকায় বিস্কুটগুলো খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উদ্যোগে এ ধরনের একটি কাজ হাতে নেয়ার ব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দকে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, প্রতিটি পলিথিন প্যাকে ৫০ গ্রাম ওজনের ৬টি করে বিস্কুট রয়েছে। প্যাকেটের দুই পাশে ইংরেজি ও বাংলা লেখা। এতে লেখা আছে- জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ডিএসএম এর অনুদান।

বিডিআরের ঘটনায় সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টু গ্রেপ্তার



বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ০৮ মিনিটের দিকে হাইকোর্ট মাজারের ফটকের সামনে থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন। পিন্টুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) নূর মোহাম্মদ। খবর বিডিনিউজের। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সময় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে মহানগর ডিবি সদরদপ্তরে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটির তদন্ত করছে, তাই পিন্টুকে কিছুক্ষণের মধ্যে সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হবে। পিন্টু গতকাল বিকেল ৩টায় বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি আজিজুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিটের শুনানি উপলক্ষে হাজির হন। পিলখানার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম আসায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ চেয়ে তিনি এই রিট আবেদন করেছিলেন।বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ওই বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত কোনো আদেশ দিতে না চাইলে পিন্টুর আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন রিটটি ওই আদালত থেকে ফেরত নিয়ে আসেন। এরপর বিকেল সোয় ৪টায় হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে যান পিন্টু।
বিএনপির নিন্দা সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। সেই সাথে বিএনপি অবিলম্বে পিন্টুর মুক্তি দাবি করেছে। গতকাল বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে খন্দকার দেলোয়ার বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পিলখানা ঘটনায় নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে জড়ানো হয়েছে। এটা বিরোধীদের দমনের সরকারি নীতি। তিনি অবিলম্বে পিন্টুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিরোধী দলের উপর আক্রমণ দমন নিপীড়ন আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্য। তারা তাদের পুরোনো চেহারা ফিরে এসেছে।

হকার্স মার্কেট থেকে মেয়রের নামে বছরে ৩০ লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি

পৌর জহুর হকার্স মার্কেটের ৭১টি দোকান থেকে সিটি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে বছরে ৩০ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে মার্কেটের কতিপয় ব্যবসায়ী। জহুর মার্কেটের পশ্চিম প্রান্তে উন্মুক্ত এলাকায় স'াপিত এইসব দোকান থেকে গত ১৩ বছরে আদায়কৃত কোটি কোটি টাকা সিটি কর্পোরেশনের তহবিলের বদলে গিয়েছে আদায়কারীদের পকেটে। গত ১৩ বছর ধরে নীরবে দোকান প্রতি বছরে ৩০-৬০ হাজার টাকা প্রদান করে আসছে ব্যবসায়ীরা। এবার উক্ত ভাড়া এক লাফে দশ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেয়ায় প্রতিবাদ করে বিপদে পড়েছে ৩৪ ব্যবসায়ী। গত সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত টাকা প্রদানের শেষ সময় ছিল। জহুর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আমিন এন্ড ব্রাদার্সের মালিক আমিন ও জহুর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মেয়র মহিউদ্দিনের নামে উক্ত টাকা দাবি করেছেন। জহুর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুস ও আমিন ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, নির্ধারিত সময় দোকান প্রতি তাদের দাবিকৃত টাকা প্রদান করা না হলে তাদের উচ্ছেদ করা হবে। এই ব্যাপারে আমিন বলেন, টাকা আদায় বা আল্টিমেটামের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এই টাকা কার জন্য আদায় করা হচ্ছে উক্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গত বছরের ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা প্রদান করতে অনাগ্রহী ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, আমিন মেয়রের বাসায় বসে ৩৫জন ব্যবসায়ী থেকে টাকা আদায় করছেন। আজকে আমরা টাকা না দিলে যে কোন সময় দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হবে। জেলা প্রশাসনের জায়গায় মেয়রের নামে জোর করে টাকা আদায় চাঁদাবাজি। এই অন্যায় আমরা মানি না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের দিকে হকারদের জন্য এ মার্কেট নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরী নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন পরীর পাহাড়ের নিচে কর্পোরেশনের জায়গায় দোকান বেঁধে হকারদের বরাদ্দ দেন নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে। এসব দোকান কেনা বেচা বা হস্তান্তর করতে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিতে হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে জহুর হকার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। জানা যায়, মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর জহুর হকার মার্কেটের পশ্চিম অংশে খালি মাঠ ও রাস্তার দু’পাশে ছোট ছোট ৭১টি দোকান নির্মাণ করেন। নির্ধারিত টাকা প্রদান পূর্বক দেড়শ টাকা স্ট্যাম্পে সই নিয়ে এইসব দোকান এক বছরের জন্য ভাড়া করা হয়। প্রথমে সভাপতি বরাবরে পে-অর্ডার মূলে এ টাকা প্রদান করা হতো। কিন' ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর পে-অর্ডারের পরিবর্তে নগদ টাকার মাধ্যমে দোকান লাগিয়ত শুরু হয়। জানা যায়, এসব দোকান থেকে আয়তন ভেদে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। দোকান পরিচালনাকারীদের দাবি মতো ভাড়া আদায় করা না হলে তাৎক্ষণিক উক্ত ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করা হয়।

কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ জাপানের আর্থিক সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণে জাপান সরকারের আর্থিক সহায়তা চাইলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাইউকী ইনোউ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাসান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ সহায়তার কথা বলেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ জোরদার করার জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অংশীদার হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে আগ্রহী। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ কাজের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। বৈদেশিক অর্থ সাহায্যে টানেলটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি এই প্রকল্পে অর্থ সাহায্য প্রদানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, তিনি তার সরকারের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রতিমন্ত্রী আসন্ন জাপান সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এক সরকারি সফরে জাপান যাবেন। জাপান সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সাথে আলোচনা করেন। এছাড়াও গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে সফররত থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোমিয়া’র ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস নীতি মানবতাবাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি দর্শন। প্রত্যেক ধর্মের মূল বক্তব্য মানবতাবাদ। বিশ্ববাসী মানবতাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী হলে সারা বিশ্বে অবশ্যই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে থাই-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশের শিশুদের জন্য থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোমিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপসি'ত থেকে বাংলাদেশের দুস' শিশুদের জন্য ৪শ’ ৬৫ টন চাল বিতরণ করেন।

পদত্যাগ নয়, সোহেল তাজ ছুটিতে আছেন ।। সাহারা খাতুন


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আগামী ৬ জুন থেকে ২৩ জুন ছুটিতে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রীর ছুটির দরখাস্তে সই করেছেন বলে জানালেও পদত্যাগপত্রের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী তার এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে সোহেল তাজকে ১৮ দিনের ছুটিতে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে নিজের বাসভবনেই আছেন। খবর ফোকাস বাংলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সোহেল তাজের সঙ্গে আরো আগেই আমার কথা হয়েছিল সে ছুটিতে যাবে। আমি তাকে বলেছিলাম আরো কিছুদিন পরে ছুটিতে যেতে। কিন্তু তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আগামী ৬ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটিতে যাচ্ছেন। আমি তার ছুটির দরখাস্তটি সই করেছি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকায় দেখেছি আমার সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বিরোধ থাকায় সে পদত্যাগ করছে। আশ্চর্য! আমার সাথে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কোন বিরোধ নেই। তার সঙ্গে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। সে আমাকে খালা বলে সম্বোধন করে। আমিও তাকে ছেলের মতো মায়া করি। তার সঙ্গে আমার বিরোধ থাকার কোন কারণই থাকতে পারে না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই।’ জানা গেছে, বৃহস্পতিবার শেষদিনের মতো অফিস করে বাসায় ফিরে আসার পরপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। শুক্রবার তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টি জানতে পারেন। তাদের কেউ কেউ তাকে পদত্যাগ করতে বারণ করেন। কিন' কারও কথা তিনি আমলে নেননি। রোববার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় দেখা করেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করেন এবং মন্ত্রিসভার সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য সোহেল তাজকে পদত্যাগ না করে কাজ করার পরামর্শ দেন।

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা টিএফআই সেলে রেজ্জাকুল ও লিয়াকতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু


ঢাকায় টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই) এনএসআইএর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবঃ) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও উপ-পরিচালক মেজর (অবঃ) লিয়াকত হোসেনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এই দুই আলোচিত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন টাস্কফোর্স বিশেষজ্ঞরা। ৬ দিনের রিমাণ্ডে থাকা এই দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিআইডি পুলিশ। এদিকে কারাগারে আটক এনএসআইএর পরিচালক (নিরাপত্তা) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহমেদের রিমাণ্ড শুনানী আজ বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত রোববার শাহাবুদ্দীনের ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে শাহাবুদ্দীনকে দুই দফা রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করে গত ১৫ মে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দীও গ্রহণ করা হয়েছে। জবানবন্দীর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রেজ্জাকুল হায়দার ও এনএসআইএর সাবেক আরেক ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবদুর রহিমকে। পরে দুইজনকে দুইদফা রিমাণ্ডে নেয়া হয় কিন' দ্বিতীয় দফায় আবদুর রহিমকে টিএফআই সেলে নিয়ে যাওয়া হলেও রেজ্জাকুলকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এ কারণে তাকে গতকাল ঢাকায় টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হল। এদিকে গত বুধবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মেজর (অবঃ) লিয়াকতকে প্রথম দফায় বৃহস্পতিবার থেকে ৪ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত সোমবার তাকে চট্টগ্রামের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত থেকে ৬ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয়। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- দশট্রাক অস্ত্র মামলার তদন্ত বর্তমানে এনএসআই এর উল্লেখিত কর্মকর্তাদের ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। একারণে প্রতিজনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখতে রেজ্জাকুল, রহিম ও লিয়াকতকে টিএফআই সেলে মুখোমুখি করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরীর আশাবাদ-এবার আলোচিত এই মামলার একটা কুলকিনারা হবে। প্রসঙ্গতঃ ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল আনোয়ারার সিইউএফএল জেটি ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল চালান আটক করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তৎকালীন ওসি আহাদুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আটক ও চোরাচালান সংক্রান্তে দুইটি মামলা দায়ের করেন।

পরীক্ষায় গ্রেডিং-বিভাগ সমতার নতুন মাপকাঠি

পরীক্ষায় গ্রেডিং ও বিভাগ পদ্ধতির সমতা বিধানে নতুন মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে সরকার। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালের এসএসসি ও সমমান ও ২০০৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের এবং ২০০৪ থেকে এর পরের শিক্ষার্থীদের জন্য আরেক রকম মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব ধারায় আগের প্রথম বিভাগকে বর্তমানের জিপিএ-৪ বা তদূর্ধ্ব জিপিএ’র সমমান করা হয়েছে। অর্থাৎ জিপিএ-৫ পর্যন্ত এই বিভাগ ধরা হবে। দ্বিতীয় বিভাগকে করা হয়েছে জিপিএ-৩ বা তদূর্ধ্ব কিন' জিপিএ-৪’র কম এবং তৃতীয় বিভাগকে করা হয়েছে জিপিএ এক বা তদূর্ধ্ব কিন' জিপিএ তিন এর কম। ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ এর এসএসসি ও সমমান এবং ২০০৩ সালের এইচএইসি ও সমমানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম বিভাগকে বর্তমান জিপিএ ৩ দশমিক ৫০ বা তদূর্ধ্ব জিপিএ-এর সমমান করা হয়। দ্বিতীয় বিভাগকে করা হয়েছে জিপিএ ২ দশমিক ৫০ বা তদূর্ধ্ব কিন' তিন দশমিক ৫০-এর কম জিপিএ এবং তৃতীয় বিভাগকে জিপিএ এক বা তদূর্ধ্ব কিন' দুই দশমিক ৫০ এর কম জিপিএ’র সমতুল্য করা হয়েছে। সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ২০০১ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ নাজমুল হোসেন গতকাল বলেন,“ সরকারের এ সিদ্ধান্তে দাবি পূরণ হলো। তবে সরকারের কাছে দাবি সরকারি ও বেসরকারি সব চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান যেন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাকরির যোগ্যতা নির্ধারণ করে তার ব্যবস্থা করা।”
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ’র ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বা তদূর্ধ্ব নম্বর প্রথম বিভাগ, ৪৫ বা তদূর্ধ্ব কিন' ৬০ শতাংশের কম নম্বর দ্বিতীয় বিভাগ এবং ৩৩ বা ততোধিক কিন' ৪৫ শতাংশের কম নম্বর তৃতীয় বিভাগের সমমান হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় যে স্কেলে (৪ থেকে ৫) সিজিপিএ প্রদান করে তাকে ৮০ শতাংশ এর সমান নম্বর ধরতে হবে। অর্থাৎ কোনো শিক্ষার্থী ৪ স্কেলে জিপিএ ৩ পেলে সেটি হবে প্রথম বিভাগের সমান এবং ৫ স্কেলে এই জিপিএ পেলে সেটা হবে দ্বিতীয় বিভাগের সমান। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১ এপ্রিল প্রথমবার আগের শ্রেণী বা বিভাগ পদ্ধতির সঙ্গে গ্রেডিং পদ্ধতির মধ্যে সমতা বিধানের উদ্যোগ নেয়। তখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব ধারায় আগের প্রথম বিভাগকে বর্তমানে জিপিএ ৪ (প্রাপ্ত নম্বর ৭০-৭৯) থেকে ৫ (৮০-১০০) এর সমমান করা হয়। দ্বিতীয় বিভাগকে করা হয় জিপিএ ৩ (৫০-৫৯) থেকে ৩ দশমিক ৫ (৬০-৬৯) পর্যন্ত এবং তৃতীয় বিভাগকে করা হয় জিপিএ এক (৩৩-৩৯) থেকে দুই (৪০-৪৯) এর সমতুল্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও ফলের সমতা আনা হয়। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে মাধ্যমিক ও ২০০৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা সরকারের ওই মান প্রমিতকরণ না মেনে এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এর ভিত্তিতে সরকার গত ১৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কলেজ) মাইনুদ্দীন খন্দকারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করে।

এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযুক্ত হওয়া প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। থাইল্যান্ডের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোমাইয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাতকালে থাইমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সদ্য প্রয়াত স্বামী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি ঘূর্ণিঝড় আয়লার আঘাতে ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ায় জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারছে। তিনি বাংলাদেশের কৃষি, যোগাযোগ, জ্বালানি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন জরুরি খাতে বিনিয়োগ করতে থাই সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। খবর এনএনবির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত না হলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের প্রিন্স বদর বিন আব্দুল্লাহ বিন ফারহান আল সৌদ। এ সময় তারা সৌদি আবর ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী দিনে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলে তারা দুজনেই আশা প্রকাশ করেন। ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর গত এপ্রিলে সৌদি আরব সফরের সময় আতিথেয়তার জন্য সে দেশের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। সৌদি প্রিন্স প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানান। এছাড়া ঘূর্র্ণিঝড় আয়লার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিও সমবেদনা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. জিয়াউদ্দিন ও সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ বিন নাসের আল বুসাইরি উপসি'ত ছিলেন।