কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা কেটে গেছে। জটিলতা কেটে যাওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সকল বাধা দূর হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই প্রকল্প থেকে দৈনিক সাড়ে ১৩ কোটি ৬০ লাখ লিটার পানি পাওয় যাবে। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ গত মার্চে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ভূমি জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যায়নি। জাইকার ঋণ সহায়তা থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে প্রকল্পটি এত দিন অনিশ্চিত ছিল। জমি অধিগ্রহণের জন্য ঋণ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের জাইকা সরকারকে সময়সীমা বেধে দিয়েছিল। এই সময়সীমার মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করতে না পারলে জাইকা এই প্রকল্প বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য জাইকা ৯শ’৬৩ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তির শর্ত মোতাবেক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাইকা প্রতিনিধি দল রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় সাড়ে ৩১ একর খালি জমি নির্ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিজাইনও ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সয়েল টেস্ট এবং ডিজাইন ফাইনাল করার বাকি। জমি অধিগ্রহণ করতে যাওয়ার প্রাক্কালে বাধ সেধেছিলেন এলাকাবাসী। শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভূমি মালিকরা ভূমি ছেড়ে দিতে সম্মত হওয়ায় প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেছে। গত মার্চ পর্যন্ত ভূমি মালিকদের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় জাইকা সরকারকে গত এপ্রিলে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সমাধানের জন্য চূড়ান্ত চিঠি দেয়। জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের জাইকার সকল প্রকল্পের ব্যাপারে তারা পুর্নর্বিবেচনা করার ঘোষণা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সরকার ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ভূমি মালিকদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানাগেছে , মদুনা ঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য ইতালি , কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং মোহরা পানি শোধনাগারের জন্য জাপানের জাইকার সাথে সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরও শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পটি এত দিন আটকে ছিল। আইনগত সকল দিক শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে সাড়ে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিজাইনের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিজাইন শেষ হলে সয়েল টেস্টের কাজ শুরু হবে। তারপর টেন্ডার আহবান করা হবে। এই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে ভূমি মালিকদের জমি, ঘর এবং গাছপালার ক্ষতি বিবেচনা করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে ১২ লাখ মানুষের মাঝে মাত্র ৪ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করে আসছে। নগরবাসীর চাহিদা রয়েছে ১২ কোটি গ্যালনের । অন্যদিকে মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে করার কথা থাকলেও গত ৯ বছরে এই প্রকল্পের জন্য কোনো টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বেশ আশাবাদী।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পরও শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পটি এত দিন আটকে ছিল। আইনগত সকল দিক শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসককে সাড়ে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিজাইনের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিজাইন শেষ হলে সয়েল টেস্টের কাজ শুরু হবে। তারপর টেন্ডার আহবান করা হবে। এই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে ভূমি মালিকদের জমি, ঘর এবং গাছপালার ক্ষতি বিবেচনা করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে ১২ লাখ মানুষের মাঝে মাত্র ৪ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করে আসছে। নগরবাসীর চাহিদা রয়েছে ১২ কোটি গ্যালনের । অন্যদিকে মোহরা পানি শোধনাগার প্রকল্পটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে করার কথা থাকলেও গত ৯ বছরে এই প্রকল্পের জন্য কোনো টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বেশ আশাবাদী।