চট্টগ্রাম কন্টেনার টার্মিনাল পরিচালনায় উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এতে করে সরকারের বিগত তিন বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন। গতকাল চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় সংবাদকর্মীদের সাথে তিনি এই কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যমূলক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ওয়ান ইলেভেনের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে এবং লুটপাটের রাজস্ব কায়েম করতে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। এই চক্রটি বন্দরের সব অর্জন বানচাল করতে চাচ্ছে এবং এরাই আমাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিদায়ের পর এই প্রথম কোন উপদেষ্টা তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করলেন। উপদেষ্টা এম. এ. মতিন খুবই করুণ সুরে বলেন, আমার চাকরিজীবন এবং উপদেষ্টা থাকাকালীন সর্বত্রই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে কেন জানি মনে হচ্ছে সব অর্জন হারাতে বসেছি। সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আজ আমার একটিই উপলব্ধি- এদেশ ভালো মানুষের জন্য নয়। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পিপিআর এর সকল নিয়মনীতি পুরোপুরি অনুসরণ করে উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে এছাক ব্রাদার্স। তারপরও টেন্ডারের মধ্যে কিছু ত্রুটি থাকায় পর পর দুবার টেন্ডার আহ্বান করা হয় যাতেও এছাক ব্রাদার্স নির্বাচিত হয়। এরপরই টেন্ডার কমিটি তাকে কার্যাদেশ প্রদান করে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত তাড়াহুড়ো করে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে শীর্ষক অভিযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, টেন্ডার শর্তাবলী অনুযায়ী দরদাতার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন এবং রেসপনসিভ বা নন রেসপনসিভ করার দায়িত্ব মূলত এবং প্রধানত টেন্ডার কমিটির। টেন্ডার কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পর তার কার্যাদেশ দেয়া হয়। তড়িঘড়ি করে ফাইল স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তড়িঘড়ি করে নয়, স্বাভাবিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই পিপিআর এর সকল নিয়মনীতি মেনে, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দরে বর্তমানে কর্মরত সাইফ পাওয়ার টেকেরও কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাদের ফ্লিটে ছিল না কোন ভারি যন্ত্রপাতি। বন্দরের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তারা কাজ চালিয়েছে। এছাক ব্রাদার্স অফডক পরিচালনাকারী শীর্ষস্থানীয় পুরনো প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ প্রদানে তৎকালীন উপদেষ্টার প্রভাব খাটানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। ৬ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জেনেও একজন উপদেষ্টার কোন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত আদেশ মন্ত্রণালয়ের বা বন্দরের কোন কর্মকর্তা সজ্ঞানে সুবোধ বালকের মত তামিল করবেন ণ্ডতা কি সম্ভব? সাবেক এই উপদেষ্টা বন্দরের এইসব ঘটনা তদন্তে সংসদীয় কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তারা ডাকলে আমি অবশ্যই যাব, তারা তদন্তে করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন বন্দর সংস্কারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
‘আজ আমার একটিই উপলব্ধি-এদেশ ভালো মানুষের জন্য নয়’
চট্টগ্রাম কন্টেনার টার্মিনাল পরিচালনায় উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এতে করে সরকারের বিগত তিন বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন। গতকাল চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় সংবাদকর্মীদের সাথে তিনি এই কথা বলেন। তার বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যমূলক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ওয়ান ইলেভেনের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে এবং লুটপাটের রাজস্ব কায়েম করতে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। এই চক্রটি বন্দরের সব অর্জন বানচাল করতে চাচ্ছে এবং এরাই আমাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিদায়ের পর এই প্রথম কোন উপদেষ্টা তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করলেন। উপদেষ্টা এম. এ. মতিন খুবই করুণ সুরে বলেন, আমার চাকরিজীবন এবং উপদেষ্টা থাকাকালীন সর্বত্রই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে কেন জানি মনে হচ্ছে সব অর্জন হারাতে বসেছি। সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আজ আমার একটিই উপলব্ধি- এদেশ ভালো মানুষের জন্য নয়। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পিপিআর এর সকল নিয়মনীতি পুরোপুরি অনুসরণ করে উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে এছাক ব্রাদার্স। তারপরও টেন্ডারের মধ্যে কিছু ত্রুটি থাকায় পর পর দুবার টেন্ডার আহ্বান করা হয় যাতেও এছাক ব্রাদার্স নির্বাচিত হয়। এরপরই টেন্ডার কমিটি তাকে কার্যাদেশ প্রদান করে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত তাড়াহুড়ো করে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে শীর্ষক অভিযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, টেন্ডার শর্তাবলী অনুযায়ী দরদাতার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন এবং রেসপনসিভ বা নন রেসপনসিভ করার দায়িত্ব মূলত এবং প্রধানত টেন্ডার কমিটির। টেন্ডার কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পর তার কার্যাদেশ দেয়া হয়। তড়িঘড়ি করে ফাইল স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তড়িঘড়ি করে নয়, স্বাভাবিক পদ্ধতি অনুসরণ করেই পিপিআর এর সকল নিয়মনীতি মেনে, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দরে বর্তমানে কর্মরত সাইফ পাওয়ার টেকেরও কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাদের ফ্লিটে ছিল না কোন ভারি যন্ত্রপাতি। বন্দরের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তারা কাজ চালিয়েছে। এছাক ব্রাদার্স অফডক পরিচালনাকারী শীর্ষস্থানীয় পুরনো প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ প্রদানে তৎকালীন উপদেষ্টার প্রভাব খাটানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। ৬ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে জেনেও একজন উপদেষ্টার কোন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত আদেশ মন্ত্রণালয়ের বা বন্দরের কোন কর্মকর্তা সজ্ঞানে সুবোধ বালকের মত তামিল করবেন ণ্ডতা কি সম্ভব? সাবেক এই উপদেষ্টা বন্দরের এইসব ঘটনা তদন্তে সংসদীয় কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তারা ডাকলে আমি অবশ্যই যাব, তারা তদন্তে করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দেশবাসীকে জানিয়ে দিক। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন বন্দর সংস্কারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।
সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে পাঁচ গরু চোর নিহত ।। এলজি, গুলি ও চোরাই গরুর মাংস উদ্ধার
সাতক্ষীরায় শিবিরের রেডিও ট্রান্সমিশন সেন্টারের সন্ধান সরঞ্জামসহ দুই শিবির কর্মী আটক
সাতক্ষীরা জেলা শহরের শিবির নিয়ন্ত্রিত এক ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি মিনি রেডিও ট্রান্সমিশন সেন্টারের সন্ধান পেয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ওই রেডিও ট্রান্সমিশন সেন্টার থেকে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করার সময় হাতেনাতে কামরুল হাসান সুমন নামের এক ছাত্রশিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় আরো একজনকে। খবর ইউএনবির। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের জিয়া হলের সামনে আলম ছাত্রাবাসে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই ছাত্রাবাসের ১৪ নং কক্ষে একটি রেডিও ট্রান্সমিশন সেন্টারের সন্ধান পায় তারা। ওই ট্রান্সমিটার দিয়ে ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এফএম সম্প্রচার চালানো হতো। এ সময় ট্রান্সমিটারের যন্ত্রপাতি ছাড়াও বেশ কিছু জেহাদি বইপত্র, শিবিরের রাজনৈতিক প্রকাশনা ও সিডি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত কামরুল হাসান সুমন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় রেডিও ট্রান্সমিশন স্টেশনটি জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রোকনুজ্জামান চালিয়ে আসছে। পরে সুমনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী শিবির নেতা জাহিদুল ইসলামকেও আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরা পুলিশের ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস'া বিগড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়েই ধরা পড়ে এই অবৈধ এফএম রেডিও স্টেশনের কার্যক্রম। সিগন্যালের উৎস খুঁজে রাত ২টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের জিয়া হলের সামনে আলম ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র কামরুল হাসান সুমনকে (২২) প্রথমে গ্রেপ্তার করে। এ সময় এই ছাত্রাবাস থেকে একটি রেডিও ট্রান্সমিটার ছাড়াও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের বই, কম্পিউটার সরঞ্জাম, একটি কম্পিউটার মনিটর, একটি বৈদ্যুতিক মিটার উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুমন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের ডা. এম. এ. সবুরের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছে সে শিবিরকর্মী এবং ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনার করে। সে এক কিলোমিটারের মধ্যে গান শোনা যাবে- এ রকম যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন বলেও পুলিশকে জানায়। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনির-উজ-জামান জানান, গ্রেফতারকৃত কামরুল হাসান সুমন জঙ্গি কানেকশনে জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ এসব তথ্য খতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে সুমন জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা তার নেতাদেরকে সাপ্লাই দিয়ে থাকে। সে যে এলাকায় রেডিও সেন্টারটি স'াপন করেছে সে এলাকায় ওয়ারলেস এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না। ওই রেডিও সেন্টারটি বেশ শক্তিশালী। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ।। লিয়াকত ও শাহাবুদ্দিনকে আবারো রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে
ইভটিজিং-এর ঘটনা অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতারে র্যাব-পুলিশকে চবি কর্তৃপক্ষের অনুরোধ
রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা ।। হাসিনার মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ : খালেদার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে ৬৬৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এগুলোসহ বিএনপি জোট সরকারের সময় দায়ের করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রত্যেক জেলায় ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সরকার। এ সুবিধা পেতে দু’নেত্রীসহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা আবেদন করেছেন। ঢাকা মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে কমিটি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সে মামলাগুলোর কাগজপত্র আমি দেখেছি। সেগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে ও হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে। তাতে সুপারিশ করেছি প্রত্যাহার করার জন্য। তবে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার মামলার ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি শুনেছি মামলাগুলো এখানে এসেছে। আমার এখানে এলে অবশ্যই সেগুলো দেখব।
পিন্টুকে গ্রেপ্তার না করতে রিট ।। সাঈদ ইস্কান্দারকে বিদেশ যেতে বাধা না দেয়ার নির্দেশ
রিটের শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, সাঈদ ইস্কান্দারকে এর আগে বিদেশ যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়েছে। আবারও বিদেশ যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হবে। তাই আদালতের আদেশ প্রয়োজন।এছাড়া হাইকোর্টের একই বেঞ্চ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে বিদেশ যেতে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য সরকারের প্রতি রুলনিশি জারি করেছে। আলতাফ হোসেনের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। তার পক্ষেও শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। সরকার পক্ষে আবেদন দুটির বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার খুরশিদ আলম সরকার।অন্যদিকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চে রোববার বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশ চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদনে পিন্টুর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের পালাতে সহায়তা করেছেন বলে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হতে পারে। আজ সোমবার এ রিটটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশিদ আলম সরকার।
৪ জুন চট্টগ্রাম ক্লাবে আদিত্য ও আসমার মিউজিক্যাল নাইট
পাহাড়তলী আবদুপাড়া পাঁচদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন
অর্থ ফেরত দেয়া প্রশ্নে কয়েক মিনিটের মধ্যে মত পাল্টালেন আব্দুস শহীদ
বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি অর্থ ফেরত দেবেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে শহীদ বলেন, প্রয়োজনে আমি অবশ্যই টাকা ফেরত দেবো।কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে চিফ হুইপ দৃশ্যত তার মত পাল্টে ফেলেন।সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই তিনি বিডিনিউজকে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, না, আমি টাকা ফেরত দেবো না। আর কেনই বা আমি টাকা ফেরত দেবো? আমার প্রাপ্ত সুবিধাগুলোর মধ্যে এটি একটি। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল কথার কথা মাত্র, বলেন তিনি।অনেক সংসদ সদস্যই ক্লাবের কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ নিয়েছেন বলে জানিয়ে চিফ হুইপ শহীদ বলেন, আমি তহবিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। আর ক্লাব কমিটি তা মঞ্জুর করেছে।আগের সংসদের চিফ হুইপ পদাধিকার বলে ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন চিকিৎসার জন্য ১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া ক্লাবের সম্পাদক বিএনপি হুইপ ওয়াহিদুল আলম নিয়েছেন ৪ লাখ টাকা। দুজনেই হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় এই অর্থ নিয়েছেন।সাবেক স্পিকার বিএনপি নেতা জমিরউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নিয়োজিত একটি সংসদীয় প্যানেল গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে যে, শহীদও ক্লাব থেকে টাকা নিয়েছেন।প্যানেল জানায়, ক্লাবের পুরো আয় ৬৪ লাখেরও বেশি টাকা বিদায়ী কমিটি খরচ করে ফেলেছে।