আইপিএলের উপেক্ষার জবাব দিতে প্রস্তুত মাশরাফি


দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন মাশরাফি। আর মাঠের বাইরে থাকতে রাজি নন বাংলাদেশী সহ-অধিনায়ক। তার দৃষ্টিতে এখন শুধুই আইসিসি-২০০৯ টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাঠে নেমে দলের জন্য ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছেন দেশসেরা ফাস্ট বোলার মাশরাফি মর্তুজা। সদ্য সমাপ্ত দ্বিতীয় আইপিএলে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান মাশরাফি। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্স দল তাকে নিলামে ৬ লাখ ডলার দিয়ে এক প্রকার লড়াই করেই কিনে নেয়। কোচ জন বুকাননের উদাসীনতায় মাত্র এক ম্যাচে মাশরাফিকে খেলতে নামানো হয়। ম্যাচটিতে ৫৮ রান খরচ করলেও একটি উইকেটও পাননি মাশরাফি। তবে বিভিন্ন দলের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকায় দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আপাতত এটাই মনে করছেন মাশরাফি।
আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে মাশরাফি বলেছেন, আমি মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। আমার মাথায় শুধু এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরে অষ্টম স্থান পায় বাংলাদেশ। ওই অবস্থান থেকে উন্নতি করতে হলে মাশরাফির পারফরমেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আশরাফুল বলেন, মাশরাফি এমন এক খেলোয়াড় যিনি দলের বিপদের সময় জ্বলে ওঠেন। ব্যাট কিংবা বল হাতে উভয় ক্ষেত্রেই তিনি দলের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন। পুরো দলই তার ওপর আস্থা রাখে। তিনিই আমাদের দলের সুপারস্টার। অধিনায়কের মতো কোচ জেমি সিডন্সও আস্থা রাখছেন এই ফাস্ট বোলারের ওপর। তার মতে, ইংল্যান্ডের কন্ডিশন মাশরাফির বোলিংয়ের জন্য ফেভারিট। সিডন্স বলেন, মাশরাফি আমাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ৬ জুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিরুদ্ধে টেন্টব্রিজে টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে দু’দিন পর আয়ারল্যান্ডকে মোকাবেলা করবে টাইগাররা। ইতিমধ্যে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জয়লাভ করেছে টাইগাররা। নেদারল্যান্ডসকে ৬৪ রানে এবং স্কটল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারালেও নিউজিল্যান্ডের কাছে চার উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলোতে মাশরাফি ৫৪ রান খরচ করে তুলে নেন তিন উইকেট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন