একের পর এক প্রতিশ্রুতি প্রদান ও পরবর্তীতে সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকদের ক্ষেত্রে।অভিযান, মামলা, জরিমানা কোন কিছুই রুখতে পারছে না এ সব যানবাহন চালকদের। রাস্তায় নামলে ট্রাফিক আইন নয়, নিজের মনমতো চলাটাই হয়ে পড়ে তাদের কাছে আইন। ট্রাফিক নীতিমালা মানাতে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকদের নিয়ে চারদিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল ট্রাফিক বিভাগ। প্রশিক্ষণের ফল আশাব্যঞ্জক নয় বলে স্বীকার করলেন খোদ উপপুলিশ কমিশনার (যানবাহন) মোঃ মইনুল ইসলাম। তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এটি বিরাট এক সমস্যা। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি। যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, বলা যাবে না।
জানা গেছে যাত্রী সুবিধার কথা বলে ২০০২ সালে সিটি সার্ভিস বাসের যাত্রা শুরু হয়। অন্যদিকে হিউম্যান হলারের যাত্রা শুরু একই লক্ষ্যে ২০০১ সালে। বছরের পর বছর অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী সাধারণের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে রয়ে গেছে বিস্তর ব্যবধান। নিতান্ত বাধ্য হয়ে তবু সিটি বাস অথবা হিউম্যান হলারে উঠতে হচ্ছে নগরবাসীকে। যন্ত্রণাক্লিষ্ট নগরবাসীর কাছে এখন সিটি সার্ভিস হয়ে গেছে চিটিং সার্ভিস এবং হিউম্যান হলার পরিচিতি পেয়েছে হিউম্যান মার্ডারার হিসেবে। এমন কোন দিন নেই, যেদিন কোন না কোন স্থানে যাত্রীদের সাথে চালক-হেলপারের বচসা কিংবা হাতাহাতি হয় নি। এ ধরনের ঘটনা যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়, তখন উপপুলিশ কমিশনার (যানবাহন) কার্যালয়ে ডাক পড়ে সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের। অনুষ্ঠিত সভায় ডিসি ট্রাফিক, এসি ট্রাফিকদের দেয়া নির্দেশাবলীর সাথে একমত পোষণ করে নেতৃবৃন্দ। অভিযোগ রয়েছে, এসব নীতিমালা মেনে চলা হবে বলে নেতৃবৃন্দ বারে বারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সেসব প্রতিশ্রুতি রাস্তায় আর বাস্তবায়িত হয় না।
সূত্র মতে, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সিটি বাস সার্ভিস প্রসঙ্গে গত ৭ বছরে ৩১ বার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সময়েই সিদ্ধান্তের মূল বিষয় ছিল সুষ্ঠু ট্রাফিক নীতিমালা মেনে চলা প্রসঙ্গে। সর্বশেষ চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ট্রাফিক বিভাগ সিটি বাস ও হিউম্যান হলার নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে কতিপয় সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না, নির্দিষ্ট স্টপেজেই কেবল গাড়ি দাঁড়াবে। আবার একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছনে অন্য আরেকটি বাস এসে দাঁড়ালে, সাথে সাথেই প্রথম বাসটিকে চলে যেতে হবে। যখন তখন রুট পরিবর্তন করা যাবে না। ভুয়া লাইসেন্স কিংবা রুট পারমিট দিয়ে বাস/হিউম্যান হলার চালানো যাবে না। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিষয়ে চলতি মাসে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালক, বদলি চালক ও মালিকদের জন্য চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডিসি ট্রাফিক, এসি ট্রাফিক দ্বয়, মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালা ট্রাফিক সিস্টেম মেনে চলার ক্ষেত্রে চালকদের যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করা হলেও সে আশায় গুঁড়ে বালি। গত ২৭, ২৮, ২৯ মে তিনদিন নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় সরেজমিনে প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, আগের নিয়মেই আছে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকরা। ২৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পেছনে আটকে পড়া অন্যান্য যানবাহন একের পর এক হর্ণ বাজিয়ে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকা সিটি বাসের চালকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল একের পর এক বাঁশি বাজালে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাস স্টার্ট দেয় চালক। বাসটি টেরীবাজারের মুখ থেকে জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে আরো ছয় মিনিট ব্যয় করে। একই চিত্র আন্দরকিল্লা মোড়ে। ২৯ মে ছুটির দিন হলেও লালদীঘির পাড়ে যানজট বাঁধিয়ে বসে এলোপাথারি দাঁড়িয়ে থাকা সিটি বাস। গত ২৮ মে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিউমার্কেট মোড় থেকে স্টেশন রোডে যেতে তীব্র যানজট পরিলক্ষিত হয়। রাস্তা দখল করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে দুটি বাস। যাত্রী উঠানোর আশায় একটি হিউম্যান হলারের মুখ দুই বাসের মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে চালক। শুরু হয়ে গেছে বচসা। পেছনে শত শত যানবাহন হর্ণ বাজিয়েই চলেছে। একই অবস্থা নিউমার্কেট থেকে রেয়াজউদ্দিন বাজারের দিকে আসা সড়কটিতেও। সিটি বাস সার্ভিস ও হিউম্যান হলারের চালকের বিরুদ্ধে গত এক সপ্তাহে ৩০০টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (উত্তর) অভিজিৎ চাকমা। আরো কঠোর শাস্তির চিন্তা ভাবনাও চলছে বলে জানালেন তিনি।উপ পুলিশ কমিশনার (যানবাহন) মইনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এ সমস্যাটার ব্যাপকতা এতটাই যে, ট্রাফিক পুলিশের একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখন শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আগামী আরটিসি মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের ইচ্ছা আছে রুট পারমিটেই নিয়মগুলো বেঁধে দেয়ার। এভাবে চলতে পারে না। জানি সবাইকে নিয়মে আনা যাবে না। তবে যতোটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাবো।
জানা গেছে যাত্রী সুবিধার কথা বলে ২০০২ সালে সিটি সার্ভিস বাসের যাত্রা শুরু হয়। অন্যদিকে হিউম্যান হলারের যাত্রা শুরু একই লক্ষ্যে ২০০১ সালে। বছরের পর বছর অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু যাত্রী সাধারণের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে রয়ে গেছে বিস্তর ব্যবধান। নিতান্ত বাধ্য হয়ে তবু সিটি বাস অথবা হিউম্যান হলারে উঠতে হচ্ছে নগরবাসীকে। যন্ত্রণাক্লিষ্ট নগরবাসীর কাছে এখন সিটি সার্ভিস হয়ে গেছে চিটিং সার্ভিস এবং হিউম্যান হলার পরিচিতি পেয়েছে হিউম্যান মার্ডারার হিসেবে। এমন কোন দিন নেই, যেদিন কোন না কোন স্থানে যাত্রীদের সাথে চালক-হেলপারের বচসা কিংবা হাতাহাতি হয় নি। এ ধরনের ঘটনা যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়, তখন উপপুলিশ কমিশনার (যানবাহন) কার্যালয়ে ডাক পড়ে সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের। অনুষ্ঠিত সভায় ডিসি ট্রাফিক, এসি ট্রাফিকদের দেয়া নির্দেশাবলীর সাথে একমত পোষণ করে নেতৃবৃন্দ। অভিযোগ রয়েছে, এসব নীতিমালা মেনে চলা হবে বলে নেতৃবৃন্দ বারে বারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সেসব প্রতিশ্রুতি রাস্তায় আর বাস্তবায়িত হয় না।
সূত্র মতে, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সিটি বাস সার্ভিস প্রসঙ্গে গত ৭ বছরে ৩১ বার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সময়েই সিদ্ধান্তের মূল বিষয় ছিল সুষ্ঠু ট্রাফিক নীতিমালা মেনে চলা প্রসঙ্গে। সর্বশেষ চলতি মে মাসের প্রথম দিকে ট্রাফিক বিভাগ সিটি বাস ও হিউম্যান হলার নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে কতিপয় সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না, নির্দিষ্ট স্টপেজেই কেবল গাড়ি দাঁড়াবে। আবার একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছনে অন্য আরেকটি বাস এসে দাঁড়ালে, সাথে সাথেই প্রথম বাসটিকে চলে যেতে হবে। যখন তখন রুট পরিবর্তন করা যাবে না। ভুয়া লাইসেন্স কিংবা রুট পারমিট দিয়ে বাস/হিউম্যান হলার চালানো যাবে না। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিষয়ে চলতি মাসে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালক, বদলি চালক ও মালিকদের জন্য চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডিসি ট্রাফিক, এসি ট্রাফিক দ্বয়, মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালা ট্রাফিক সিস্টেম মেনে চলার ক্ষেত্রে চালকদের যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করা হলেও সে আশায় গুঁড়ে বালি। গত ২৭, ২৮, ২৯ মে তিনদিন নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় সরেজমিনে প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, আগের নিয়মেই আছে সিটি বাস ও হিউম্যান হলার চালকরা। ২৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় বক্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পেছনে আটকে পড়া অন্যান্য যানবাহন একের পর এক হর্ণ বাজিয়ে গেলেও দাঁড়িয়ে থাকা সিটি বাসের চালকের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল একের পর এক বাঁশি বাজালে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাস স্টার্ট দেয় চালক। বাসটি টেরীবাজারের মুখ থেকে জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে আরো ছয় মিনিট ব্যয় করে। একই চিত্র আন্দরকিল্লা মোড়ে। ২৯ মে ছুটির দিন হলেও লালদীঘির পাড়ে যানজট বাঁধিয়ে বসে এলোপাথারি দাঁড়িয়ে থাকা সিটি বাস। গত ২৮ মে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিউমার্কেট মোড় থেকে স্টেশন রোডে যেতে তীব্র যানজট পরিলক্ষিত হয়। রাস্তা দখল করে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে দুটি বাস। যাত্রী উঠানোর আশায় একটি হিউম্যান হলারের মুখ দুই বাসের মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে চালক। শুরু হয়ে গেছে বচসা। পেছনে শত শত যানবাহন হর্ণ বাজিয়েই চলেছে। একই অবস্থা নিউমার্কেট থেকে রেয়াজউদ্দিন বাজারের দিকে আসা সড়কটিতেও। সিটি বাস সার্ভিস ও হিউম্যান হলারের চালকের বিরুদ্ধে গত এক সপ্তাহে ৩০০টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (উত্তর) অভিজিৎ চাকমা। আরো কঠোর শাস্তির চিন্তা ভাবনাও চলছে বলে জানালেন তিনি।উপ পুলিশ কমিশনার (যানবাহন) মইনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এ সমস্যাটার ব্যাপকতা এতটাই যে, ট্রাফিক পুলিশের একার পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখন শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আগামী আরটিসি মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের ইচ্ছা আছে রুট পারমিটেই নিয়মগুলো বেঁধে দেয়ার। এভাবে চলতে পারে না। জানি সবাইকে নিয়মে আনা যাবে না। তবে যতোটা সম্ভব আমরা চেষ্টা করে যাবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন