বাজেটের পর দাম বাড়ার আশঙ্কায় গাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে বলে দাম ও মডেল ও সিসি ভেদে গত কয়েকদিনে ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা বেড়ে গেছে।গাড়ি ব্যবসায়ী ও কাস্টম কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্দরের শেডগুলোতে গাড়ি পছন্দ করতে সম্ভাব্য ক্রেতার ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। কাস্টম হাউজে গাড়ি শুল্কায়নের জন্য দলিলপত্র দাখিলেরও চাপ বেড়েছে। কিছুদিন ধরেই বলাবলি হলেও গত ২৬ মে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) নেতাদের সাক্ষাতের পর বিলাস সামগ্রী হিসেবে আসন্ন বাজেটে প্রাইভেট কারের ওপর অধিক হারে শুল্ক বা করারোপের গুঞ্জন বেড়ে যায়। সেদিন অর্থমন্ত্রী বিলাস দ্রব্যে শুল্ক বাড়ার ইঙ্গিত দিলে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন গাড়ির শুল্ক বাড়বে কিনা। সরাসরি জবাব না দিয়ে মন্ত্রী তাদের গাড়ি বিলাসদ্রব্য কিনা ভেবে দেখতে বলেন।খবর বিডিনিউজের।
বারভিডার সদ্য প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও গাড়ি ব্যবসায়ী এস এম শরিফ বলেন, বাজেট ঘোষণার পর প্রতিটি রিকন্ডিশন্ড প্রাইভেট কারের দাম মডেল ও সিসিভেদে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এতে আগামীতে গাড়ির ব্যবসা মার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরিফ বলেন, গ্যাট চুক্তির কারণে সরকার সরাসরি গাড়ির ট্যাক্স বাড়াতে পারবেন না। তবে সম্পূরক শুল্ক বর্তমান ২০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যবর্তী যেকোন স্তরে উন্নীত করতে পারেন। ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এরূপ একটি আশঙ্কা থেকে এখন বাজারে গাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে। শরিফ জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত তার ৮০টি গাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। বারভিডা নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীর কাছ থেকে আমদানিকৃত গাড়ির শুল্ক কমানোর আশ্বাস আদায় করতে না পারায় সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্বের ‘দুর্বলতা ও অদক্ষতা’-কে দায়ী করেন শরিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বারভিডার নতুন নেতৃত্ব দুর্বল ও অদক্ষ। তারা গাড়ির বাজার পরিসি'তি সম্পর্কে প্রথমে গণমাধ্যমের কাছে না গিয়ে সরাসরি সরকারের কাছে চলে যান এবং এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে ব্যর্থ হন। এতে বর্তমানে গাড়ির বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে।”
চট্টগ্রামের শাহরিয়ার শিপিং এজেন্সির মালিক মোশাররফ হোসেন বাহার জানান, প্রচুর গাড়ি বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিদিনই দেড় থেকে দুই হাজার লোক গেট পাশ নিয়ে বন্দরে গাড়ি দেখতে যাচ্ছে। গাড়ি খালাসও হচ্ছে প্রচুর। এসবই বাজেটে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।গাড়ির মূল্য প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০০৩ সালে জাপানে তৈরি একটি ১৫শ সিসি’র করোলা এক্স রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সাড়ে ৯ লাখ এবং ২০০৪ সালে সাড়ে দশ লাখ টাকায় বিক্রি হত। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরণের গাড়ির দাম বেড়ে গেছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এ ব্যবসায়ীর ধারণা, বাজেটে সম্পূরক কর বাড়লেও প্রাইভেট কারের দাম এখনকার চাইতে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হবে না। সম্পূরক শুল্ক বর্তমানের চাইতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন। এ প্রসঙ্গে বারভিডার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর এর সঙ্গে আলাপকালে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কোন বিলাসী দ্রব্যের বিবেচনায় পড়ে না বলে দাবি করেন। তার মতে, এজন্য ট্যাক্স বাড়ানোরও কোন সুযোগ নেই। তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বারভিডার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অর্থমন্ত্রীও সরাসরি গাড়িকে বিলাসী দ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত করেন নি এবং গাড়ির ওপর অধিক শুল্ক আরোপের কথা বলেন নি। গাড়ির দাম এখনই বাড়িয়ে দেওয়ার সমালোচনা করে মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, এমনটি হলে বাজেটের পরবর্তী তিনমাস গাড়ি বিক্রেতারা কোন ক্রেতা খুঁজে পাবে না।
বারভিডা সম্পাদক অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ১৫শ’ সিসি ও ২ হাজার সিসি’র গাড়ির সমন্বয় করার কথা বলেছি। এটি করা হলে সরকারের কমপক্ষে ৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বাড়বে। তাছাড়া গাড়ির জন্য শুল্কায়ন বিধিমালা স্থির ও দীর্ঘমেয়াদী করার দাবি জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বারভিডার এ প্রস্তাবে সায় দিয়ে আগামীতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। বারভিডার বর্তমান নেতৃত্বের অদক্ষতার সমালোচনা প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, এ কমিটি প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণও হয় কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে যা আগে কখনো ছিল না। এদিকে, বাজেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ির ঢল নেমেছে। কাস্টম সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি বিভিন্ন শেডে রয়েছে। আরও দুইটি জাহাজ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় দুই হাজার গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভিড়বে। গত শুক্রবার এমভি স্টেট ভেঞ্চার নামে একটি গাড়ির জাহাজ (রো রো ভেসেল) সাড়ে নয়শ’ গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভেড়ে। জাহাজটি থেকে এখন গাড়ি খালাস করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার ফজলুল হক শনিবার বলেন, প্রতিটি বাজেটের আগে আগে গাড়ি আমদানি বেড়ে যায়। এখনো তাই হচ্ছে।নতুন যে দুটি জাহাজ গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভিড়ছে তার প্রতিটিতে এক হাজার ইউনিট বা তার বেশি গাড়ি রয়েছে বলে সহকারী কমিশনার জানান। তিনি জানান, এ মুহূর্তে বন্দর থেকে গাড়ি খালাসের জন্য অন্য সময়ের চাইতে অনেক বেশি হারে ডকুমেন্ট দাখিল ও গাড়ি খালাস হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিসংখ্যান দিতে পারেননি ফজলুল হক ।
বারভিডার সদ্য প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও গাড়ি ব্যবসায়ী এস এম শরিফ বলেন, বাজেট ঘোষণার পর প্রতিটি রিকন্ডিশন্ড প্রাইভেট কারের দাম মডেল ও সিসিভেদে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এতে আগামীতে গাড়ির ব্যবসা মার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরিফ বলেন, গ্যাট চুক্তির কারণে সরকার সরাসরি গাড়ির ট্যাক্স বাড়াতে পারবেন না। তবে সম্পূরক শুল্ক বর্তমান ২০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যবর্তী যেকোন স্তরে উন্নীত করতে পারেন। ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এরূপ একটি আশঙ্কা থেকে এখন বাজারে গাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে। শরিফ জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত তার ৮০টি গাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে। বারভিডা নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীর কাছ থেকে আমদানিকৃত গাড়ির শুল্ক কমানোর আশ্বাস আদায় করতে না পারায় সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্বের ‘দুর্বলতা ও অদক্ষতা’-কে দায়ী করেন শরিফ। এ প্রসঙ্গে তিনি শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বারভিডার নতুন নেতৃত্ব দুর্বল ও অদক্ষ। তারা গাড়ির বাজার পরিসি'তি সম্পর্কে প্রথমে গণমাধ্যমের কাছে না গিয়ে সরাসরি সরকারের কাছে চলে যান এবং এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে ব্যর্থ হন। এতে বর্তমানে গাড়ির বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে।”
চট্টগ্রামের শাহরিয়ার শিপিং এজেন্সির মালিক মোশাররফ হোসেন বাহার জানান, প্রচুর গাড়ি বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিদিনই দেড় থেকে দুই হাজার লোক গেট পাশ নিয়ে বন্দরে গাড়ি দেখতে যাচ্ছে। গাড়ি খালাসও হচ্ছে প্রচুর। এসবই বাজেটে গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে ঘটছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।গাড়ির মূল্য প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০০৩ সালে জাপানে তৈরি একটি ১৫শ সিসি’র করোলা এক্স রিকন্ডিশন্ড গাড়ি সাড়ে ৯ লাখ এবং ২০০৪ সালে সাড়ে দশ লাখ টাকায় বিক্রি হত। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ ধরণের গাড়ির দাম বেড়ে গেছে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এ ব্যবসায়ীর ধারণা, বাজেটে সম্পূরক কর বাড়লেও প্রাইভেট কারের দাম এখনকার চাইতে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হবে না। সম্পূরক শুল্ক বর্তমানের চাইতে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন। এ প্রসঙ্গে বারভিডার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর এর সঙ্গে আলাপকালে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কোন বিলাসী দ্রব্যের বিবেচনায় পড়ে না বলে দাবি করেন। তার মতে, এজন্য ট্যাক্স বাড়ানোরও কোন সুযোগ নেই। তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বারভিডার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, অর্থমন্ত্রীও সরাসরি গাড়িকে বিলাসী দ্রব্য হিসেবে চিহ্নিত করেন নি এবং গাড়ির ওপর অধিক শুল্ক আরোপের কথা বলেন নি। গাড়ির দাম এখনই বাড়িয়ে দেওয়ার সমালোচনা করে মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, এমনটি হলে বাজেটের পরবর্তী তিনমাস গাড়ি বিক্রেতারা কোন ক্রেতা খুঁজে পাবে না।
বারভিডা সম্পাদক অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ১৫শ’ সিসি ও ২ হাজার সিসি’র গাড়ির সমন্বয় করার কথা বলেছি। এটি করা হলে সরকারের কমপক্ষে ৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বাড়বে। তাছাড়া গাড়ির জন্য শুল্কায়ন বিধিমালা স্থির ও দীর্ঘমেয়াদী করার দাবি জানানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বারভিডার এ প্রস্তাবে সায় দিয়ে আগামীতে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। বারভিডার বর্তমান নেতৃত্বের অদক্ষতার সমালোচনা প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, এ কমিটি প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণও হয় কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে যা আগে কখনো ছিল না। এদিকে, বাজেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ির ঢল নেমেছে। কাস্টম সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার গাড়ি বিভিন্ন শেডে রয়েছে। আরও দুইটি জাহাজ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় দুই হাজার গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভিড়বে। গত শুক্রবার এমভি স্টেট ভেঞ্চার নামে একটি গাড়ির জাহাজ (রো রো ভেসেল) সাড়ে নয়শ’ গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভেড়ে। জাহাজটি থেকে এখন গাড়ি খালাস করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার ফজলুল হক শনিবার বলেন, প্রতিটি বাজেটের আগে আগে গাড়ি আমদানি বেড়ে যায়। এখনো তাই হচ্ছে।নতুন যে দুটি জাহাজ গাড়ি নিয়ে বন্দরে ভিড়ছে তার প্রতিটিতে এক হাজার ইউনিট বা তার বেশি গাড়ি রয়েছে বলে সহকারী কমিশনার জানান। তিনি জানান, এ মুহূর্তে বন্দর থেকে গাড়ি খালাসের জন্য অন্য সময়ের চাইতে অনেক বেশি হারে ডকুমেন্ট দাখিল ও গাড়ি খালাস হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরিসংখ্যান দিতে পারেননি ফজলুল হক ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন