খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার নোটিশের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাড়িটি ছাড়ার নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাণ্ড আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য সরকারের প্রতি রুলনিশি জারি করেছে আদালত।
গতকাল দুপুরে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টার শুনানি গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সামরিক ভূ-সম্পত্তি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের পরিচালক, সেনা ভূমি প্রশাসক ও সেনা ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তাকে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের আগে শুনানিতে আদালত বলেছেন, রিটটিতে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি প্রশ্ন জড়িত। তাই বিষয়টি পরীক্ষা প্রয়োজন। খবর বিডিনিউজের।
শুনানিতে খালেদার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেন, “বাড়িটি বরাদ্দের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন সেনা কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান, সেনাবাহিনী প্রধান, এমনকি রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখনও এ বাড়িতে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হলেও বঙ্গভবনে ছিলেন না তিনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি দেওয়া হয়েছে। একবার কোনো ব্যক্তিকে ভুলভাবে দেওয়া হলেও সরকার সে সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারে না।
খালেদার প্রধান কৌঁসুলী টিএইচ খান শুনানিতে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন মামলার নজির উপস'াপন করে বলেন, কারও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতা, সাত বীর শ্রেষ্ঠ, ভাষা শহীদ ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এইসব শহীদদের পরিবারগুলোকে কী দেওয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রায় সোয়া আট বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে। এভাবে একজনের নামে এত বেশি জমি আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই কি দেওয়া যায়?
সামরিক ভূমি প্রশাসন আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাড়িটি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন। এই জমি আইন অনুযায়ী কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে দেওয়া যায় না। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ শুনানি শুরু হয়। এর আগে রিটটি নিয়ে শুনানি মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলার পর বুধবার দুপুর পর্যন্ত মুলতবি করেছিল এ বেঞ্চ।
বাড়ি ছাড়ার নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া গত ৩ মে হাইকোর্টে রিট করেন। পর পর চারটি বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করার পর গত ১২ মে পঞ্চম এ বেঞ্চ রিটটির শুনানিতে সম্মত হয়। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে সরকার গত ২০ এপ্রিল ১৫ দিনের সময় দিয়ে বাড়িটি ছেড়ে দিতে প্রথম নোটিশ দেয়। এরপর গত ৭ মে একটি সম্পূরক এবং ২৪ মে তৃতীয় আরেকটি নোটিশ পাঠানো হয় তাকে।
গতকাল দুপুরে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টার শুনানি গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সামরিক ভূ-সম্পত্তি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের পরিচালক, সেনা ভূমি প্রশাসক ও সেনা ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তাকে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের আগে শুনানিতে আদালত বলেছেন, রিটটিতে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি প্রশ্ন জড়িত। তাই বিষয়টি পরীক্ষা প্রয়োজন। খবর বিডিনিউজের।
শুনানিতে খালেদার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেন, “বাড়িটি বরাদ্দের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন সেনা কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান, সেনাবাহিনী প্রধান, এমনকি রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখনও এ বাড়িতে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হলেও বঙ্গভবনে ছিলেন না তিনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি দেওয়া হয়েছে। একবার কোনো ব্যক্তিকে ভুলভাবে দেওয়া হলেও সরকার সে সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারে না।
খালেদার প্রধান কৌঁসুলী টিএইচ খান শুনানিতে উচ্চ আদালতের বিভিন্ন মামলার নজির উপস'াপন করে বলেন, কারও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতা, সাত বীর শ্রেষ্ঠ, ভাষা শহীদ ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “এইসব শহীদদের পরিবারগুলোকে কী দেওয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রায় সোয়া আট বিঘা জমি দেওয়া হয়েছে। এভাবে একজনের নামে এত বেশি জমি আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই কি দেওয়া যায়?
সামরিক ভূমি প্রশাসন আইনের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাড়িটি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন। এই জমি আইন অনুযায়ী কোনো বেসামরিক ব্যক্তিকে দেওয়া যায় না। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ শুনানি শুরু হয়। এর আগে রিটটি নিয়ে শুনানি মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলার পর বুধবার দুপুর পর্যন্ত মুলতবি করেছিল এ বেঞ্চ।
বাড়ি ছাড়ার নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া গত ৩ মে হাইকোর্টে রিট করেন। পর পর চারটি বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করার পর গত ১২ মে পঞ্চম এ বেঞ্চ রিটটির শুনানিতে সম্মত হয়। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে সরকার গত ২০ এপ্রিল ১৫ দিনের সময় দিয়ে বাড়িটি ছেড়ে দিতে প্রথম নোটিশ দেয়। এরপর গত ৭ মে একটি সম্পূরক এবং ২৪ মে তৃতীয় আরেকটি নোটিশ পাঠানো হয় তাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন