সাবেক উপদেষ্টা মতিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যোগাযোগ ও নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম এ মতিনের বিরুদ্ধে অভিজ্ঞতাহীন নতুন একটি কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে নৌ-পরিবহন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি সর্বদলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কমিটির বৈঠকে কন্টেনার ব্যবস্থাপনায় পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সাবেক এই উপদেষ্টা বিদায়ের দিন ‘ইসহাক ব্রাদাসর্’ নামের একটি নতুন কোম্পানিকে কাজ দেন বলে অভিযোগ তোলেন সদস্যরা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকার দলীয় সাংসদ মো. শাহ আলমের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি উপ কমিটি করা হয়। এক মাসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের শামসুল হক চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম এবং বিএনপি’র মোস্তফা কামাল পাশা। খবর বিডিনিউজের।
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক ফখরুদ্দীন সরকারের বিদায়ের পর এই প্রথম কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে কোনো কমিটি গঠন হলো। কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, “কমিটির সদস্যরা মনে করেন সাবেক এই উপদেষ্টা অনভিজ্ঞ একটি কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রভাবিত করেছেন। তাই আমরা একটি সর্বদলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।”
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাইফ পাওয়ারটেক নামে এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কন্টেনার ব্যবস্থাপনায় চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে আসায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথম দফায় একবার দরপত্র আহ্বান করে। ওই দরপত্রে প্রতি কন্টেনার ব্যবস্থাপনায় ৪৪০ টাকা হেঁকে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজ। পরে কর্তৃপক্ষ সে দরপত্র বাতিল করে আবার দরপত্র আহ্বান করে।
দ্বিতীয় দফায় দরপত্রে একই দর হেঁকে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় ইসহাক এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগ উঠেছে, এ দফায় দরপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হয় তড়িঘড়ি করে। নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রশ্ন- এই উপদেষ্টা দরপত্র বাতিল করে পরবর্তীতে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কেন আরেকটি কোম্পানিকে কাজটি দিলেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী আফসারুল আমীন ও কমিটির অন্য সদস্যরা বৈঠকে উপসি'ত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন