বাংলাদেশের একেকটা ‘ক্লোজ ম্যাচ’ মানেই অনন্ত আক্ষেপের গল্প। মঙ্গলবার ওয়ার্মসলি ক্রিকেট মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত ঝুলে থাকা প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের ভাগ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়ার পরও তাই হল। অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের আফসোসের অনেকটা জুড়েই থাকলো শেষ ৫ ওভারের ব্যাটিং, “মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে দারুণ একটা ম্যাচ খেললাম আমরা। কিন্তু আমার মনে হয় শেষ ৫ ওভারে একদমই ভালো করিনি আমরা। ওই সময়ে এসেছে মাত্র ৩৩ রান। এমন নয় যে আমাদের হাতে উইকেট ছিল না। অথচ ১৫/২০ রান কম হয়ে গেছে।” রান একটু কম হয়ে গেলেও ম্যাচটাকে প্রায় জেতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতেও ভুলছেন না অধিনায়ক, “পরিকল্পনামতোই এগোচ্ছিল সব। এই যেমন তামিম দারুণ শুরু করেছিল। কিন' ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৪০ রান, এমন শুরুটা আমরা আর ধরে রাখতে পারিনি। ১৪৬ রান করে জেতা সহজ নয়, তবুও বোলাররা আমাদের ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। যে স্পিরিট দেখিয়ে আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়লাম, তাতে আমি খুশি। অবশ্য সব জায়গাতেই আমাদের উন্নতি করতে হবে। প্র্যাকটিস ম্যাচগুলো তো এজন্যই। তবে শুরুটা ভালোই হয়েছে বলবো। আমরা এখন ঠিক কোথায় আছি, সেটাও মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবো।” খবর বিডিনিউজের।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে যতো দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। সেখানে গিয়েও তাদের গতানুগতিক ইংলিশ আবহাওয়ার জাপটা কিছুটা পোহাতে হচ্ছে। ম্যাচের আগের রাতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আর হাঁড় কাপিয়ে দেওয়া বাতাস তো আছেই। মঙ্গলবার সূর্যের মুখ দেখা গেছে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর। সাকিব অবশ্য জানাচ্ছেন, “আমার তো মনে হয় আমরা বেশ ভালোই মানিয়ে নিচ্ছি। এখানে লম্বা ও কঠিন দুটো অনুশীলনের সেশন ছিল আমাদের। উইকেট আর কন্ডিশনও পরিচিত হয়ে উঠছে ক্রিকেটারদের কাছে। এজন্যই তো আমাদের আগেভাগেই ইংল্যান্ডে চলে আসা।”
প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ বলে হারলেও তা দলের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দেবে বলেই বিশ্বাস সাকিবের, “হারটা অবশ্যই হতাশার। কারণ এই ম্যাচটায় জেতারও খুব ভালো সুযোগ ছিল। অবশ্য এই ম্যাচের পর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও।” কুঁচকির ইনজুরির জন্য বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকা সাকিব নিজের অবস'া নিয়েও স্বস্তিতে, “দিনকে দিন অবস'ার উন্নতি হচ্ছে। প্রথম বলটা খেলার সময় একটু জড়তা ছিল, কিন' এরপর থেকেই সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। প্রথম ওভারের পর বোলিংটাও ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল।” প্রথম ওভারে ৭ রান দেওয়া টুয়েন্টি টুয়েন্টির বিবেচনায় বেশি নয়। আর পরের তিন ওভারে তো দুর্দান্ত বোলিংই করেছেন সাকিব। এই বাঁ হাতি স্পিনারের বোলিং ফিগারও তাই দেখার মতো: ৪-০-১৫-১!
অবশ্য দলের বোলিং নিয়ে খুব একটা সন'ষ্ট নন সহ-অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, “ ইনিংসের মাঝখানে ওরা (কিউইরা) সহজে রান করতে পারছিল না। আমরা আরো ভালো বোলিং করতে পারতাম বলে মনে হয় আমার। এদিন আমরা সঠিক লেনে' বল রাখতে পারিনি তেমন একটা। ফিল্ডিংয়েও কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। তাছাড়া শেষ ওভারে রাসেলের বলে ম্যাককালামের (নাথান) ব্যাটে টপ-এজ হয়ে যে ছক্কাটা হল, সেটা অন্য কোনোদিন হয়তো ক্যাচই হত। কিন' বাতাসের কারণে বল লংঅফ পেরিয়ে গেল।” শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল কিউইদের। প্রথম তিন বলে তিনটি সিঙ্গেল, চতুর্থ বলে ম্যাককালামের বাতাসের সহায়তায় পাওয়া ছক্কাটি। শেষ বলে লংঅফে ঠেলে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় ২ রান তুলে নেন ম্যাককালাম (১৫)।
আজ বৃহস্পতিবার টাইগাররা অক্সফোর্ডশায়ার থেকে কেন্টে যাবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে যতো দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। সেখানে গিয়েও তাদের গতানুগতিক ইংলিশ আবহাওয়ার জাপটা কিছুটা পোহাতে হচ্ছে। ম্যাচের আগের রাতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আর হাঁড় কাপিয়ে দেওয়া বাতাস তো আছেই। মঙ্গলবার সূর্যের মুখ দেখা গেছে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর। সাকিব অবশ্য জানাচ্ছেন, “আমার তো মনে হয় আমরা বেশ ভালোই মানিয়ে নিচ্ছি। এখানে লম্বা ও কঠিন দুটো অনুশীলনের সেশন ছিল আমাদের। উইকেট আর কন্ডিশনও পরিচিত হয়ে উঠছে ক্রিকেটারদের কাছে। এজন্যই তো আমাদের আগেভাগেই ইংল্যান্ডে চলে আসা।”
প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ বলে হারলেও তা দলের আত্মবিশ্বাসের পালে হাওয়া দেবে বলেই বিশ্বাস সাকিবের, “হারটা অবশ্যই হতাশার। কারণ এই ম্যাচটায় জেতারও খুব ভালো সুযোগ ছিল। অবশ্য এই ম্যাচের পর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও।” কুঁচকির ইনজুরির জন্য বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকা সাকিব নিজের অবস'া নিয়েও স্বস্তিতে, “দিনকে দিন অবস'ার উন্নতি হচ্ছে। প্রথম বলটা খেলার সময় একটু জড়তা ছিল, কিন' এরপর থেকেই সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। প্রথম ওভারের পর বোলিংটাও ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছিল।” প্রথম ওভারে ৭ রান দেওয়া টুয়েন্টি টুয়েন্টির বিবেচনায় বেশি নয়। আর পরের তিন ওভারে তো দুর্দান্ত বোলিংই করেছেন সাকিব। এই বাঁ হাতি স্পিনারের বোলিং ফিগারও তাই দেখার মতো: ৪-০-১৫-১!
অবশ্য দলের বোলিং নিয়ে খুব একটা সন'ষ্ট নন সহ-অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, “ ইনিংসের মাঝখানে ওরা (কিউইরা) সহজে রান করতে পারছিল না। আমরা আরো ভালো বোলিং করতে পারতাম বলে মনে হয় আমার। এদিন আমরা সঠিক লেনে' বল রাখতে পারিনি তেমন একটা। ফিল্ডিংয়েও কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। তাছাড়া শেষ ওভারে রাসেলের বলে ম্যাককালামের (নাথান) ব্যাটে টপ-এজ হয়ে যে ছক্কাটা হল, সেটা অন্য কোনোদিন হয়তো ক্যাচই হত। কিন' বাতাসের কারণে বল লংঅফ পেরিয়ে গেল।” শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল কিউইদের। প্রথম তিন বলে তিনটি সিঙ্গেল, চতুর্থ বলে ম্যাককালামের বাতাসের সহায়তায় পাওয়া ছক্কাটি। শেষ বলে লংঅফে ঠেলে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় ২ রান তুলে নেন ম্যাককালাম (১৫)।
আজ বৃহস্পতিবার টাইগাররা অক্সফোর্ডশায়ার থেকে কেন্টে যাবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন