দশট্রাক অস্ত্র মামলার সবচেয়ে আলোচিত আসামী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আবদুর রহিমের জবানবন্দীতে লুৎফুজ্জামান বাবরের নাম এসেছে। জোট সরকারের আলোচিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের নাম উল্লেখ করে গতকাল বুধবার বিকেলে ৮ পৃষ্ঠার জবানবন্দী দিয়েছেন আবদুর রহিম। মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গণি বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টাব্যাপী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে- ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বাবরের নাম আসলেও অস্ত্র চোরাচালানের ব্যাপারে তার সম্পৃক্ততার বিষয় আসেনি। যেটুকু এসেছে তা হচ্ছে চট্টগ্রামে অস্ত্র ধরা পড়ার পরদিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং এনএসআইএর তখনকার ডিজি আবদুর রহিমের মোবাইল আলাপের ঘটনা।
এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আবদুর রহিম বলেন, সিইউএফএল ঘাটে অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আমাকে ধমকের স্বরে ফোন করে বলেন চট্টগ্রামে অস্ত্র ধরা পড়েছে শুনছি আপনার গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত রয়েছে। এ সময় রহিম প্রতিমন্ত্রীর দাবি সত্য নয় বলে উত্তর দেন।
মোবাইলে কথা বলার সময় আবদুর রহিম দাউদকান্দি ব্রীজের উপর ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে এই আলাপ হয়েছিল বলে জানান তিনি। তবে অস্ত্র আনা নেয়া ও চোরাচালানের সাথে বাবরের সম্পৃক্ততার কথা তার জবানবন্দীতে আসেনি। আইন বিশেষজ্ঞদের ভাষায়- রহিম ‘এক্সকালভেটরী’ ধরনের জবানবন্দী দিয়েছে। অর্থাৎ নিজেকে বাঁচিয়ে জবানবন্দী দিয়েছেন তিনি।
জবানবন্দীতে অনেকের নাম, বিদেশী গ্রুপ, দূতাবাস ও দুবাইয়ের পাকিস্তান প্রবাসীদের সংগঠন এআরওয়াই (আগা রহমান ইউসুফ) এর নাম বলেছেন বলে জানা গেছে। এ আর ওয়াই এর সাথে দুবাই বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও দশট্রাক অস্ত্রের ব্যাপারে এই বৈঠক ছিল না বলে জানান রহিম। তবে এই বৈঠকে যোগ দিতে সস্ত্রীক দুবাই গেলে এআরওয়াই গ্রুপ তাদের যাবতীয় খরচ বহন করে। একইভাবে এআরওয়াই গ্রুপের লোকজন বাংলাদেশে এলে তাদের যাবতীয় খরচও আবদুর রহিম বহন করেন। ওই গ্রুপের লোকজনের এদেশে আসার ব্যাপারে আবদুর রহিম জবানবন্দীতে বলেন- একটা টিভি চ্যানেল করার ব্যাপারে সহায়তার বিষয়ে কথা বলতে তারা এখানে আসেন।
ব্যবসায়িক সম্পর্কের সূত্র ধরে এআরওয়াই গ্রুপের লোকাল ব্যবসায়িক এজেন্ট হিসেবে রহিমের সাথে এই গ্রুপের যোগাযোগ। সেতুবন্ধন করে দিয়েছে বিদেশী একটি গোয়েন্দা সংস'ার কর্তাব্যক্তি। জবানবন্দীতে মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারের (অব.) নাম আসেনি। আর সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের ব্যাপারে সরাসরি কোন কথা বলেননি। এদিকে জবানবন্দী উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় গতকাল দুপুর সোয়া ১২ টায় আদালতে নেয়া হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট তাকে চিন্তা করার জন্য তিন ঘন্টা সময় দেন। জবানবন্দী দেয়ার পর কপিটি আবদুর রহিমকে পড়ে শুনান ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর নিয়মানুযায়ী তাতে স্বাক্ষর করেন রহিম।
এদিকে গত পরশু রাতে ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া এনএসআইএর সাবেক উপ-পরিচালক (টেকনিক্যাল) মেজর লিয়াকত হোসেনকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এম আসাদুজ্জামানের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী এনএসআই কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকবর হোসেন ও মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহমেদের জামিন চেয়েছেন তার আইনজীবীরা। মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নাকচ করে দেন।
গ্রেপ্তারকৃত অপর ডিজি রেজ্জাকুল হায়দারের জামিন আবেদন দাখিল করেছে তার আইনজীবীরা। একই সাথে তার ৬ দিনের রিমান্ড মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাকে আদালতে হাজির না করাকে আইনবহির্ভূত বলে উল্লেখ করা হয় ওই আবেদনে। প্রসঙ্গতঃ রহিম ও রেজ্জাককে গত সপ্তাহে বুধবার ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। কিন' রেজ্জাককে এখনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিএফআই সেলে নেয়া হয়নি। এদিকে রেজ্জাকের জামিন শুনানীও আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে জবানবন্দী শেষে রহিমকে তৃতীয় তলায় কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুমে নেয়া হলে সেখানে অপেক্ষমাণ তার স্ত্রী, মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনরা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে- ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বাবরের নাম আসলেও অস্ত্র চোরাচালানের ব্যাপারে তার সম্পৃক্ততার বিষয় আসেনি। যেটুকু এসেছে তা হচ্ছে চট্টগ্রামে অস্ত্র ধরা পড়ার পরদিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং এনএসআইএর তখনকার ডিজি আবদুর রহিমের মোবাইল আলাপের ঘটনা।
এ ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আবদুর রহিম বলেন, সিইউএফএল ঘাটে অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আমাকে ধমকের স্বরে ফোন করে বলেন চট্টগ্রামে অস্ত্র ধরা পড়েছে শুনছি আপনার গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত রয়েছে। এ সময় রহিম প্রতিমন্ত্রীর দাবি সত্য নয় বলে উত্তর দেন।
মোবাইলে কথা বলার সময় আবদুর রহিম দাউদকান্দি ব্রীজের উপর ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে এই আলাপ হয়েছিল বলে জানান তিনি। তবে অস্ত্র আনা নেয়া ও চোরাচালানের সাথে বাবরের সম্পৃক্ততার কথা তার জবানবন্দীতে আসেনি। আইন বিশেষজ্ঞদের ভাষায়- রহিম ‘এক্সকালভেটরী’ ধরনের জবানবন্দী দিয়েছে। অর্থাৎ নিজেকে বাঁচিয়ে জবানবন্দী দিয়েছেন তিনি।
জবানবন্দীতে অনেকের নাম, বিদেশী গ্রুপ, দূতাবাস ও দুবাইয়ের পাকিস্তান প্রবাসীদের সংগঠন এআরওয়াই (আগা রহমান ইউসুফ) এর নাম বলেছেন বলে জানা গেছে। এ আর ওয়াই এর সাথে দুবাই বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও দশট্রাক অস্ত্রের ব্যাপারে এই বৈঠক ছিল না বলে জানান রহিম। তবে এই বৈঠকে যোগ দিতে সস্ত্রীক দুবাই গেলে এআরওয়াই গ্রুপ তাদের যাবতীয় খরচ বহন করে। একইভাবে এআরওয়াই গ্রুপের লোকজন বাংলাদেশে এলে তাদের যাবতীয় খরচও আবদুর রহিম বহন করেন। ওই গ্রুপের লোকজনের এদেশে আসার ব্যাপারে আবদুর রহিম জবানবন্দীতে বলেন- একটা টিভি চ্যানেল করার ব্যাপারে সহায়তার বিষয়ে কথা বলতে তারা এখানে আসেন।
ব্যবসায়িক সম্পর্কের সূত্র ধরে এআরওয়াই গ্রুপের লোকাল ব্যবসায়িক এজেন্ট হিসেবে রহিমের সাথে এই গ্রুপের যোগাযোগ। সেতুবন্ধন করে দিয়েছে বিদেশী একটি গোয়েন্দা সংস'ার কর্তাব্যক্তি। জবানবন্দীতে মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারের (অব.) নাম আসেনি। আর সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের ব্যাপারে সরাসরি কোন কথা বলেননি। এদিকে জবানবন্দী উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় গতকাল দুপুর সোয়া ১২ টায় আদালতে নেয়া হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট তাকে চিন্তা করার জন্য তিন ঘন্টা সময় দেন। জবানবন্দী দেয়ার পর কপিটি আবদুর রহিমকে পড়ে শুনান ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর নিয়মানুযায়ী তাতে স্বাক্ষর করেন রহিম।
এদিকে গত পরশু রাতে ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া এনএসআইএর সাবেক উপ-পরিচালক (টেকনিক্যাল) মেজর লিয়াকত হোসেনকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এম আসাদুজ্জামানের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী এনএসআই কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকবর হোসেন ও মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহমেদের জামিন চেয়েছেন তার আইনজীবীরা। মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নাকচ করে দেন।
গ্রেপ্তারকৃত অপর ডিজি রেজ্জাকুল হায়দারের জামিন আবেদন দাখিল করেছে তার আইনজীবীরা। একই সাথে তার ৬ দিনের রিমান্ড মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাকে আদালতে হাজির না করাকে আইনবহির্ভূত বলে উল্লেখ করা হয় ওই আবেদনে। প্রসঙ্গতঃ রহিম ও রেজ্জাককে গত সপ্তাহে বুধবার ৬ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। কিন' রেজ্জাককে এখনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টিএফআই সেলে নেয়া হয়নি। এদিকে রেজ্জাকের জামিন শুনানীও আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে জবানবন্দী শেষে রহিমকে তৃতীয় তলায় কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুমে নেয়া হলে সেখানে অপেক্ষমাণ তার স্ত্রী, মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনরা তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন