সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে পাঁচ গরু চোর নিহত ।। এলজি, গুলি ও চোরাই গরুর মাংস উদ্ধার

সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চাঁদর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় জনতার গণপিটুনিতে ৫ গরু চোর নিহত হয়েছে। ঘটনাস'লের পার্শ্ববর্তী বিল থেকে দুটি এল জি ও ৪ রাউন্ড কার্তুজের গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকাল ৬টায় উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চাঁদরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৩০মে শনিবার রাতে উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মৈশামুড়া এলাকার জনৈক নুরুল আলমের দুটি ও আব্দুস ছবুরের একটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। ঘটনাস'ল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাঠানিপুল এলাকায় গরুগুলো নিয়ে আসে। সংঘবদ্ধ চোরের দল গরু ৩টিকে রাস্তার পূর্ব পাশে জবাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাঙ্গর খালে মাছ ধরতে আসা কালিয়াইশ ইউনিয়নের রিক্সা চালক বশির আহম্মদ দেখে ফেলে। এসময় চোরের দল বশিরকে তাড়া করলে সে কালিয়াইশের মাষ্টার হাটের দিকে চোর চোর চিৎকার করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কালিয়াইশ থেকে জনতার ধাওয়া খেয়ে চোরের দল ধর্মপুর ইউনিয়নের চাঁদরপাড়া এলাকায় পৌঁছলে স'ানীয় জনগণ ৫ চোরকে ধরে পশ্চিম ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে এসে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস'লে ৫ গরু চোর নিহত হয়। নিহতরা হল বরিশালের রিপন (৩৫) প্রকাশ (বড় মিয়া), তার আপন সহোদর বশির আহমদ (৩২), কক্সবাজার চকরিয়া এলাকার সুমন (৩০), একই জেলার চকরিয়ার ছনখোলার জোবাইর (৩০), ও একই জেলার চকরিয়া খুরুলিয়া গ্রামের সৈয়দ আলম (৩০)। এদিকে গনপিটুনিতে মারা যাওয়ার আধ ঘন্টা পূর্বে গরু চোর চকরিয়ার সুমন এ প্রতিবেদককে জানায় গত দেড় মাস আগে থেকে আমরা এ কাজে নেমেছি। কক্সবাজার জেলার মাংস বিক্রেতা জলিল সওদাগরের কাছে জবাইকৃত গরুর মাংস আমরা বিক্রি করি। আমাদের মত আরো ৪/৫টি সংঘবদ্ধ গরু চোরের দল জলিল সওদাগরের রয়েছে। সে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল ও বড় বাজারে মাংস বিক্রি করে। চোরাই মাংস নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত পিকআপ (চট্ট-মেট্রো-ট-১১-২৬২৭) সঙ্গীয় চোর কাইছার (৩০) ও ড্রাইভার জসিম উদ্দীন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে সুমন জানায়। উল্লেখ্য গত ২ মাসে সাতকানিয়া খাগরিয়ার মৈশামুড়া, কালিয়াইশের হিন্দু পাড়া, কেঁওচিয়ার নয়া পাড়া, মাদার বাড়ী, তেমুহনী এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ চোরের দল এ তিনটি গরু সহ ১৪টি গরু জবাই করে মাংস নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে সাতকানিয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, এরা সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত দেড় মাস আগে থেকেই সাতকানিয়ায় এ সংঘবদ্ধ চোরের দলই এরকম কান্ড ঘটাচ্ছে। এ ব্যাপারে হত্যা ও অস্ত্র আইনে সাতকানিয়া থানায় দুইটি পৃথক মামলা হয়েছে। ঘটনাস'লের পাশ থেকে দুটি এলজি, ৪ রাউন্ড কার্তুজের গুলি ও ৩টি গরুর জবাইকৃত মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন