খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) বিতরণ করা বিস্কুট খেয়ে অন্তত ৪২৮ জন স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুর্গম মহালছড়ি ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। ডব্লিউএফপি-র ‘ইমার্জেন্সি স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এসব বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছিল। অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. আবু তাহের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অসুস্থ শিক্ষার্থীরা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত। তাদের পাতলা পায়খানা হচ্ছে।” তিনি জানান, এ ঘটনায় পার্বত্য জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন, ইউএনডিপি ও ইউনিসেফ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিস্কুট বিতরণ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিডি নিউজের। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান রেম্রাচাই মারমা বলেন, উপজেলার মংহাপাড়া, যতীন্দ্রপাড়া, দেবলছড়ি ও জারুলছড়িতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান, লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যতীন্দ্র কার্বারী পাড়া, জারুলছড়ি, মংহ্লা পাড়া, ফুট্ট্যাছড়ি, মুক্তছড়ি, মগাইছড়ি ও ডিপি পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শ’ ছাত্র-ছাত্রী অসুস' হয়ে পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট খাওয়ানোর পর তাদের পেট ব্যথা ও মাথা ঘোরা শুরু হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, অসুস'দের মধ্যে ৪৪ জনকে লক্ষ্মীছড়ি এবং ১২০ জনকে পার্শ্ববর্তী মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সোনা রতন চাকমা জানান, তারা উপজেলার এপিবিএ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন, ক্যাঙ্ঘাট তবলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ জন ও মুড়াপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ জনের অসুস'তার খবর পাওয়া গেছে। অসুস'রা বমি ও পাতলা পায়খানা করছে বলেও তিনি খবর পেয়েছেন।
ঘটনা জানার পর জেলা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. খলিলুর রহমান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সুইথি কারবারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস'লে ছুটে যান।ডব্লিউএফপি পার্বত্য অঞ্চলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রীতা চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান জেলার ৬টি উপজেলায় সাড়ে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ‘ইমার্জেন্সি স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ২১ টি এবং মহালছড়ি উপজেলায় ৫৫টি বিদ্যালয়ে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়।তিনি জানান, দরপত্রের মাধ্যমে বিস্কুটগুলো কেনা হয়েছিল। কোম্পানিগুলোর নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে এসব বিস্কুট পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।রীতা চাকমা আরও জানান, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি ও দিঘীনালা উপজেলায় বিতরণকৃত বিস্কুট সরবরাহ করেছে নাবিস্কো বিস্কুট কোম্পানি। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে কাবিদাং নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বিতরণ করা বিস্কুট কেনা হয়েছে রেস্কো কোম্পানি থেকে। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে স্থানীয় এনজিও টংগ্যা। আর বান্দরবানের জন্য বিস্কুট কেনা হয়েছে সিএমসি কোম্পানি থেকে। সেখানেও একটি এনজিও বিস্কুট বিতরণের দায়িত্বে আছে। কাবিদাং এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা জানান, শুধুমাত্র বিস্কুট সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে তাদের সংস'া। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ২৮ মে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছিল। সোমবার প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট খাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে অসুস'তার ঘটনা ঘটায় অন্যান্য স্কুলে বিস্কুট বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।বিস্কুট খেয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খলিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আবু তাহের, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদ তালুকদার ও ডা. রাজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা লক্ষীছড়িতে যান।লক্ষ্মীছড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক সানুমং মারমা জানান, বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য জরুরিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কান্তি নাথ জানান, বিস্কুট খাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে আনা পানি পান করে। এর ২০ মিনিটের মধ্যে তাদের পেট ব্যথা ও বমি শুরু হয়। এ সময় চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে যায়। সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রধান শিক্ষক জানান, প্রথম দিকে রিকশা ভ্যান, ঠেলাগাড়িতে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনা জানার পর জেলা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. খলিলুর রহমান, পার্বত্য জেলা পরিষদ সুইথি কারবারীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস'লে ছুটে যান।ডব্লিউএফপি পার্বত্য অঞ্চলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রীতা চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান জেলার ৬টি উপজেলায় সাড়ে তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলক ‘ইমার্জেন্সি স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ২১ টি এবং মহালছড়ি উপজেলায় ৫৫টি বিদ্যালয়ে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়।তিনি জানান, দরপত্রের মাধ্যমে বিস্কুটগুলো কেনা হয়েছিল। কোম্পানিগুলোর নিজস্ব মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে এসব বিস্কুট পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।রীতা চাকমা আরও জানান, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি ও দিঘীনালা উপজেলায় বিতরণকৃত বিস্কুট সরবরাহ করেছে নাবিস্কো বিস্কুট কোম্পানি। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে কাবিদাং নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বিতরণ করা বিস্কুট কেনা হয়েছে রেস্কো কোম্পানি থেকে। এখানে বিতরণের দায়িত্বে আছে স্থানীয় এনজিও টংগ্যা। আর বান্দরবানের জন্য বিস্কুট কেনা হয়েছে সিএমসি কোম্পানি থেকে। সেখানেও একটি এনজিও বিস্কুট বিতরণের দায়িত্বে আছে। কাবিদাং এর নির্বাহী পরিচালক লালসা চাকমা জানান, শুধুমাত্র বিস্কুট সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে তাদের সংস'া। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ২৮ মে বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছিল। সোমবার প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট খাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে অসুস'তার ঘটনা ঘটায় অন্যান্য স্কুলে বিস্কুট বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।বিস্কুট খেয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুইথি কার্বারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খলিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আবু তাহের, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদ তালুকদার ও ডা. রাজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা লক্ষীছড়িতে যান।লক্ষ্মীছড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক সানুমং মারমা জানান, বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য জরুরিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কান্তি নাথ জানান, বিস্কুট খাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে আনা পানি পান করে। এর ২০ মিনিটের মধ্যে তাদের পেট ব্যথা ও বমি শুরু হয়। এ সময় চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে যায়। সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রধান শিক্ষক জানান, প্রথম দিকে রিকশা ভ্যান, ঠেলাগাড়িতে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস'দের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন