বিএনপির সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য চেয়ে সংসদ সচিবালয়কে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া জাতীয় পার্টির সাংসদ রুহুল আমিন হাওলাদারের দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ইসি। সোমবার নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই’ এবং রুহুল আমীন হাওলাদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে বিএ (সম্মান) পাস বলে উল্লেখ করেন এবং কেউই কোন সনদ জমা দেননি। খবর বিডিনিউজের। মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, “সাকা চৌধুরী বিগত সরকারের আমলেও সাংসদ ছিলেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ে তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। নির্বাচন কমিশনে তিনি সনদ জমা না দেওয়ায় প্রয়োজনীয় তথ্য আমরা সংসদ সচিবালয়ের সচিবের কাছ থেকে সংগ্রহ করছি।” এদিকে নির্বাচন কমিশনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জমা দেওয়ার যে নিয়ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “ জেনেছি এই সাংসদ মামলা করেছেন, আমরা এর বিরুদ্ধে লড়ব।” নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ১০ ডিসেম্বর ইসির শুনানিতে এই দুই প্রার্থী যত শিগগির সম্ভব সনদ জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৩ এপ্রিল ইসি এজন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময় দিলেও এর মধ্যে তারা তা করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছহুল হোসাইন বলেন, “মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কেউ হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তিনি সংসদ সদস্য থাকবার ও হবার অযোগ্য হবেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে এবং এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বরিশাল-৬ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন