সূর্যের আলো সাশ্রয়ে সরকার আগামী ১৯ জুন রাত ১২টা থেকে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আগামী ১৯ জুন রাত ১২টায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে সূর্যের আলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ ১৯ জুন রাত ১২টা থেকে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে হিসাব করা হবে।” বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আজাদ বলেন, “সূর্যের আলোর বেশি ব্যবহারের জন্য ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।” খবর বিডিনিউজের। উদাহরণ হিসেবে বিশ্বের ৭০টি দেশে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনার এ ব্যবস্থা আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে কয়মাস এ ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে তা জানাননি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “সরকার পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।” এর আগে গত ৫ মে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সাংবাদিকদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এ পদ্ধতি এ বছর চালু হলে তা ১৬ জুন থেকে কার্যকর হবে এবং ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আর আগামী বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে চালু হলে তা ১ এপ্রিল থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আজাদ জানান, “আর্থসামাজিক উন্নয়নের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সান্ধ্যকালীন পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা দেখা দেয়। পিক আওয়ারে আটশ’ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়। “মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিন বড় থাকে। এ সময় সূর্যের আলোও বেশি থাকে। সূর্যের আলো সংরক্ষণের মাধ্যমে ঘাটতি পুরণ সম্ভব।” প্রেস সচিব আরও জানান, বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আজ (সোমবার) থেকে কৃষিঋণ আদায় স'গিত থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আয়লা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য কয়েকটি জেলায় কয়েকজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রেস সচিব জানান, আয়লার কারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। আজাদ জানান, আয়লায় ১১ জেলার ৫১টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রিসভায় ইতোমধ্যে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সভায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলো সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে দ্রত পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।” তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ মে পর্যন্ত মন্ত্রিসভার ২৩টি বৈঠকে ১২৪টি সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৬৭টির পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ৫৭টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন