আজ বাজেট অধিবেশন শুরু বিরোধীদলের যোগদান অনিশ্চিত


আজ বৃহস্পতিবার বসছে নবম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন। এ অধিবেশনে পেশ হবে ২০০৯-১০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের এটাই প্রথম বাজেট পেশ। ১১ জুন পেশ হবে এ বাজেট। পাস হবে ৩০ জুন। সংসদ চলবে ৯ জুলাই পর্যন্ত। গতকাল বুধবার সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে স্পিকার অ্যাড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপসি'ত ছিলেন। এদিকে সংসদের এ বাজেট অধিবেশনে যোগ দেয়া না দেয়ার বিষয়ে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি গতকাল পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে সংসদে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে। তবে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নানা দাবি দাওয়া রয়েছে বিএনপির। তারপরও তারা বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবে শেষ পর্যন্ত। খবর এনএনবির। বিএনপি নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেয়ার পর সামনের সারির আসন বিন্যাস নিয়ে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে রয়েছে। এ জন্য তারা কয়েক দিন সংসদ অধিবেশন থেকে ওয়াক আউটও করে। সর্বশেষ সংসদের প্রথম অধিবেশনের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপি সংসদে উপসি'ত ছিলো। সামাপ্তি দিনে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ বক্তব্যও রাখেন। কিন্তু বিএনপি এ অধিবেশনে তাদের দাবি না মানার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় তারা সংসদ বর্জন অব্যাহত রাখবে। জানা গেছে, বিএনপি সামনের সারিতে অন্তত ৬টি আসন পেতে চায়। বর্তমানে রয়েছে ৪টি আসন। এছাড়া বিএনপি খালেদা জিয়ার বাড়ির লিজ বাতিল, বিএনপির সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, সাবেক চিফ হুইপ খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাহার, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত তারা সংসদে যোগ দেবে না। বিরোধীদলের এসব দাবি দাওয়া নিয়ে স্পিকার অ্যাড. আব্দুল হামিদ সংসদের প্রধান হুইপ ও বিরোধী দলীয় হুইপদের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ও বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা যায় নি। গতকাল কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সরকারি দলের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেছেন, আমরা আশা করি বিরোধীদল সংসদে যোগ দেবে। তিনি বলেন, বিরোধীদল অনেক দাবি জানাবে। তারাও সরকারে ছিলো। তারা জানেন বিরোধী দলের কি কি দাবি মানা যায় আর কি কি দাবি মানা যায় না। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় নি। তারপরও আমরা সংসদে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সংসদীয় দলের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, আমরা সংসদে যোগ দিলে আমাদের নেত্রীর রেজিস্ট্রি করা বাড়ির লিজ বাতিল, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে কথা বলবো। সরকারি দলের একটি সূত্র বলেছে, বিরোধীদলকে বাজেট অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ অধিবেশন শুরুর আগ পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে। সরকারি দলের নেতারা আশা করছেন বিরোধীদল অব্যশ্যই যোগ দেবে। কারণ যোগ না দেয়ার মত কোন ঘটনা ঘটে নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন