টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস'তি একতরফা ম্যাচে পাকিস্তানের হার

অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হল দিল্লির তাজ হোটেল। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে তাদের সাথে সব ধরনের ক্রিকেটিয় সম্পর্ক বর্জন করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর বিশ্বের অগণিত ক্রিকেটপ্র্রেমী বঞ্চিত হলেন রোমাঞ্চকর পাক-ভারত ক্রিকেট দ্বৈরথ উপভোগের। না এখনো, টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল লড়াই মাঠেই গড়ায়নি। চলছে দলগুলোর শেষ মুহূর্তের ঘষামাজা। আর এই ঘষামাজার অংশ হিসেবে প্রস'তি ম্যাচ খেলতে গতকাল মাঠে নেমেছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। অবশ্য মহৎ একটা উদ্দেশ্যও ছিল এই প্রস'তি ম্যাচের পেছনে। শ্রীলংকা ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের সময় সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে মারা যায় অনেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আর তাদের পরিবারের সাহায্যার্থে ব্যয় হবে এই ম্যাচ থেকে পাওয়া টিকেটের সব অর্থ। গত টুয়েন্টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দু’দল। সেই ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল পাকিস্তান। গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগও এসেছিল পাকিস্তানের সামনে। কিন্তু পরিশোধ নেওয়া দুরে থাক, ম্যাচে একতরফা প্রাধান্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে টুয়েন্টি টুয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। পাকিস্তানকে তারা হারিয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। মূলত রোহিত শর্মার ৫৩ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে সহজ জয় পেয়ে যায় ভারত। গতকাল অবশ্য টস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পাক দলনেতা ইউনিস খান। আর প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান। শুরুতে শাহজাইব হাসানকে কোন রান করার আগেই ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় শিবিরকে উল্লাসে মাতান প্রবীন কুমার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে নিয়ে কামরান আকমল ৪.৩ ওভারে দলকে পৌঁছে দেন ৪৫ রানে। এসময় সুরেশ রায়না ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে মাত্র ৯ বলে আকমলের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। দলের ঠিক একই স্কোরে ইশান্ত শর্মা ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে ফিরিয়ে দেন ২৫ রানে। শেহজাদ আউট হওয়ার পরের বলে আফ্রিদীকে (০) উইকেটের পেছনে মহেন্দ্র ধোনির হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ইরফান পাঠান। ১ উইকেটে ৪৫ থেকে ৪ উইকেটে ৪৫-এ পরিণত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। এ অবস'ায় বিপর্যয় থেকে উদ্ধারকর্তা হিসেবে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক ইউনিস, শোয়েব মালিক, মিসবাহ এবং ইয়াসির আরাফাত। ৩২ বলে ২ চারের সাহায্যে ৩২ রান করে ইউনিস হরভজনের বলে এবং ১১ বলে ২ চারের মার দিয়ে ১৪ রান করে শোয়েব মালিক আউট হয়ে যায় প্রজ্ঞান ওঝার বলে। তবে ৩০ বলে ৪টি চারের মারসহ ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন মিসবাহ এবং আরাফাত অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। তার ইনিংসেও ছিল ৩ চার। জয়ের জন্য ব্যাট করতে নামা ভারতের শুরুটাই ছিল দুর্দান্ত। সেওয়াগের অনুপসি'তিতে গম্ভীরের সাথে ইনিংস ওপেন করতে নামেন রোহিত শর্মা। আর এ দু’জনই ব্যাটিংয়েই নিশ্চিত হয়ে যায় দলের জয়। দলীয় ১৪০ রানে প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রোহিত যখন আউট হন তখন জয় থেকে মাত্র ১৯ রান দূরে ভারত। ৩৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা রোহিত শর্মাকে শেষ পর্যন্ত থামান আমির। এরপর গম্ভীর ৪৭ বলে ৫২ রানে এবং অধিনায়ক ধোনি ৪ বল খেলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন