পরীক্ষায় গ্রেডিং-বিভাগ সমতার নতুন মাপকাঠি

পরীক্ষায় গ্রেডিং ও বিভাগ পদ্ধতির সমতা বিধানে নতুন মাপকাঠি নির্ধারণ করেছে সরকার। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালের এসএসসি ও সমমান ও ২০০৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের এবং ২০০৪ থেকে এর পরের শিক্ষার্থীদের জন্য আরেক রকম মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব ধারায় আগের প্রথম বিভাগকে বর্তমানের জিপিএ-৪ বা তদূর্ধ্ব জিপিএ’র সমমান করা হয়েছে। অর্থাৎ জিপিএ-৫ পর্যন্ত এই বিভাগ ধরা হবে। দ্বিতীয় বিভাগকে করা হয়েছে জিপিএ-৩ বা তদূর্ধ্ব কিন' জিপিএ-৪’র কম এবং তৃতীয় বিভাগকে করা হয়েছে জিপিএ এক বা তদূর্ধ্ব কিন' জিপিএ তিন এর কম। ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ এর এসএসসি ও সমমান এবং ২০০৩ সালের এইচএইসি ও সমমানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম বিভাগকে বর্তমান জিপিএ ৩ দশমিক ৫০ বা তদূর্ধ্ব জিপিএ-এর সমমান করা হয়। দ্বিতীয় বিভাগকে করা হয়েছে জিপিএ ২ দশমিক ৫০ বা তদূর্ধ্ব কিন' তিন দশমিক ৫০-এর কম জিপিএ এবং তৃতীয় বিভাগকে জিপিএ এক বা তদূর্ধ্ব কিন' দুই দশমিক ৫০ এর কম জিপিএ’র সমতুল্য করা হয়েছে। সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ২০০১ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ নাজমুল হোসেন গতকাল বলেন,“ সরকারের এ সিদ্ধান্তে দাবি পূরণ হলো। তবে সরকারের কাছে দাবি সরকারি ও বেসরকারি সব চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান যেন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাকরির যোগ্যতা নির্ধারণ করে তার ব্যবস্থা করা।”
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ’র ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বা তদূর্ধ্ব নম্বর প্রথম বিভাগ, ৪৫ বা তদূর্ধ্ব কিন' ৬০ শতাংশের কম নম্বর দ্বিতীয় বিভাগ এবং ৩৩ বা ততোধিক কিন' ৪৫ শতাংশের কম নম্বর তৃতীয় বিভাগের সমমান হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় যে স্কেলে (৪ থেকে ৫) সিজিপিএ প্রদান করে তাকে ৮০ শতাংশ এর সমান নম্বর ধরতে হবে। অর্থাৎ কোনো শিক্ষার্থী ৪ স্কেলে জিপিএ ৩ পেলে সেটি হবে প্রথম বিভাগের সমান এবং ৫ স্কেলে এই জিপিএ পেলে সেটা হবে দ্বিতীয় বিভাগের সমান। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১ এপ্রিল প্রথমবার আগের শ্রেণী বা বিভাগ পদ্ধতির সঙ্গে গ্রেডিং পদ্ধতির মধ্যে সমতা বিধানের উদ্যোগ নেয়। তখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব ধারায় আগের প্রথম বিভাগকে বর্তমানে জিপিএ ৪ (প্রাপ্ত নম্বর ৭০-৭৯) থেকে ৫ (৮০-১০০) এর সমমান করা হয়। দ্বিতীয় বিভাগকে করা হয় জিপিএ ৩ (৫০-৫৯) থেকে ৩ দশমিক ৫ (৬০-৬৯) পর্যন্ত এবং তৃতীয় বিভাগকে করা হয় জিপিএ এক (৩৩-৩৯) থেকে দুই (৪০-৪৯) এর সমতুল্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও ফলের সমতা আনা হয়। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে মাধ্যমিক ও ২০০৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা সরকারের ওই মান প্রমিতকরণ না মেনে এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এর ভিত্তিতে সরকার গত ১৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কলেজ) মাইনুদ্দীন খন্দকারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন