১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা টিএফআই সেলে রেজ্জাকুল ও লিয়াকতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু


ঢাকায় টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই) এনএসআইএর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবঃ) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও উপ-পরিচালক মেজর (অবঃ) লিয়াকত হোসেনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এই দুই আলোচিত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন টাস্কফোর্স বিশেষজ্ঞরা। ৬ দিনের রিমাণ্ডে থাকা এই দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিআইডি পুলিশ। এদিকে কারাগারে আটক এনএসআইএর পরিচালক (নিরাপত্তা) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহমেদের রিমাণ্ড শুনানী আজ বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত রোববার শাহাবুদ্দীনের ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে শাহাবুদ্দীনকে দুই দফা রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করে গত ১৫ মে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দীও গ্রহণ করা হয়েছে। জবানবন্দীর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রেজ্জাকুল হায়দার ও এনএসআইএর সাবেক আরেক ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবদুর রহিমকে। পরে দুইজনকে দুইদফা রিমাণ্ডে নেয়া হয় কিন' দ্বিতীয় দফায় আবদুর রহিমকে টিএফআই সেলে নিয়ে যাওয়া হলেও রেজ্জাকুলকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এ কারণে তাকে গতকাল ঢাকায় টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হল। এদিকে গত বুধবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মেজর (অবঃ) লিয়াকতকে প্রথম দফায় বৃহস্পতিবার থেকে ৪ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত সোমবার তাকে চট্টগ্রামের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত থেকে ৬ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয়। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- দশট্রাক অস্ত্র মামলার তদন্ত বর্তমানে এনএসআই এর উল্লেখিত কর্মকর্তাদের ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। একারণে প্রতিজনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখতে রেজ্জাকুল, রহিম ও লিয়াকতকে টিএফআই সেলে মুখোমুখি করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরীর আশাবাদ-এবার আলোচিত এই মামলার একটা কুলকিনারা হবে। প্রসঙ্গতঃ ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল আনোয়ারার সিইউএফএল জেটি ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল চালান আটক করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তৎকালীন ওসি আহাদুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আটক ও চোরাচালান সংক্রান্তে দুইটি মামলা দায়ের করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন