বিডিআরের ঘটনায় সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টু গ্রেপ্তার



বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ০৮ মিনিটের দিকে হাইকোর্ট মাজারের ফটকের সামনে থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন। পিন্টুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) নূর মোহাম্মদ। খবর বিডিনিউজের। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক জানান, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার সময় বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করার অভিযোগে পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে মহানগর ডিবি সদরদপ্তরে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটির তদন্ত করছে, তাই পিন্টুকে কিছুক্ষণের মধ্যে সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করা হবে। পিন্টু গতকাল বিকেল ৩টায় বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি আজিজুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিটের শুনানি উপলক্ষে হাজির হন। পিলখানার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে তার নাম আসায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ চেয়ে তিনি এই রিট আবেদন করেছিলেন।বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ওই বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত কোনো আদেশ দিতে না চাইলে পিন্টুর আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন রিটটি ওই আদালত থেকে ফেরত নিয়ে আসেন। এরপর বিকেল সোয় ৪টায় হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে যান পিন্টু।
বিএনপির নিন্দা সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। সেই সাথে বিএনপি অবিলম্বে পিন্টুর মুক্তি দাবি করেছে। গতকাল বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে খন্দকার দেলোয়ার বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পিলখানা ঘটনায় নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে জড়ানো হয়েছে। এটা বিরোধীদের দমনের সরকারি নীতি। তিনি অবিলম্বে পিন্টুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিরোধী দলের উপর আক্রমণ দমন নিপীড়ন আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্য। তারা তাদের পুরোনো চেহারা ফিরে এসেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন