এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচনী পরীক্ষা পাসের বাধ্যবাধকতা ছিল গত কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কয়েকটি স্কুলের কিছু শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও হাইকোর্টের আদেশে পরীক্ষার অনুমতি পায়। তাদের দেখাদেখি মফস্বলের অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষই অনেককে ফরম পূরণের সুযোগ দেয়। পরীক্ষার দু দিন আগেও তাদের ফরম পূরণ করতে দেখা যায়। ওসব শিক্ষার্থীই পাসের হার কমাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। মফস্বল হতে গড়ে শতকরা ৫ ভাগ পরীক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবোর্ডের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এছাড়া মফস্বলের অনেক স্কুলেই শিক্ষকসহ জনবল সংকটের পাশাপাশি অবকাঠামোগত অপ্রতুলতায় ফলাফল তুলনামূলক খারাপ হয়েছে বলে মনে করে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবদুল আজিজ দৈনিক আজাদীকে বলেন, নগরীতে এবার ফলাফল গতবারের চেয়ে একটু ভালো। কিন' মফস্বল এলাকার ফলাফল বিপর্যয়ের কারণেই চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার এবার কমেছে। তিনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছিল। এ সুযোগে কৌশলে গ্রামের অনেক স্কুলই টেস্টে অনুত্তীর্ণদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয়। এরাও পাসের হার কমাতে ভূমিকা রেখেছে। আজিজ বলেন, মফস্বলে শিক্ষক সংকট তীব্র। সরকারি স্কুলেও শিক্ষক সংকট রয়েছে। গ্রামের স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা যেতে চান না। অনেক বিদ্যালয়েই পরিচালনা পরিষদ নেই দীর্ঘদিন ধরে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় পাসের হার কমেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, মহানগরী ছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের প্রায় সব এলাকার স্কুলেই পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে। কেবল খাগড়াছড়ি জেলায়ই পাসের হার কমেছে শতকরা ২৭ দশমিক ৮২ ভাগ। নগরী বাদে চট্টগ্রাম জেলার অন্যান্য এলাকাসহ রাঙ্গামাটি এবং কক্সবাজারেও পাসের হার কমেছে। এসব কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৩ দশমিক শূন্য এক ভাগ কমে গেছে। এ বছর গণিত বিষয়ে পাসের হার শতকরা ৭৮ ভাগ। গতবার তা ছিল ৮২ ভাগ। এ বিষয়টিও পাসের হার কমাতে ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পাসের হার গতবার ছিল ৭২ দশমিক ৬২ ভাগ। এবার তা কমে ৬৯ দশমিক ৬১ ভাগে নেমে আসে।
জানা যায়, মহানগর এলাকায় গতবার পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৭৮ ভাগ। এবার তা দশমিক ১৪ ভাগ বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ দশমিক ৯২ ভাগ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার এবার ২ দশমিক ৬৬ ভাগ কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬২ ভাগ। এবার তা কমে দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৯৬ ভাগে। কক্সবাজার জেলায় গতবার পাসের হার ৭১ দশমিক ৩৪ ভাগ থাকলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ দশমিক ৫৬ ভাগে। রাঙ্গামাটি জেলায় গতবার পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৮৪। এবার তা শতকরা ১ দশমিক ৪৮ ভাগ কমে ৬২ দশমিক ৩৬-তে নেমে এসেছে। খাগড়াছড়ি জেলায় এবার ফল বিপর্যয় ঘটেছে। গতবার ওই জেলায় যেখানে শতকরা ৬৭ দশমিক ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল এবার সেখানে পাস করেছে মাত্র ৪০ দশমিক ১৭ ভাগ শিক্ষার্থী। মফস্বলে এভাবে পাসের হার কমায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার এবার গতবারের চেয়ে কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মফস্বলের মধ্যে কেবল বান্দরবানে পাসের হার গতবারের চেয়ে মাত্র দশমিক ৮৭ ভাগ বেড়েছে। গতবার সেখানে পাসের হার ছিল ৫৫ দশমিক শূন্য ৩ আর এবার তা ৫৫ দশমিক ৯০ ভাগ।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ক্রমবর্ধমান ছিল। ২০০৪ সালে পাসের হার ছিল মাত্র ৪৬ দশমিক ৫৫ ভাগ। ২০০৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ দশমিক ৯২-তে। ২০০৬ সালে তা আরও বেড়ে ৬৩ দশমিক ৮৭ ভাগে দাঁড়ায়। তবে ২০০৭ সালে তা কিছুটা কমে ৫৭ দশমিক ৯৪ ভাগে এলেও পাসের হার গতবার অনেক বেড়ে যায়। ২০০৮ সালে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৬২ ভাগ।
জানা গেছে, মহানগরী ছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের প্রায় সব এলাকার স্কুলেই পাসের হার গতবারের চেয়ে কমেছে। কেবল খাগড়াছড়ি জেলায়ই পাসের হার কমেছে শতকরা ২৭ দশমিক ৮২ ভাগ। নগরী বাদে চট্টগ্রাম জেলার অন্যান্য এলাকাসহ রাঙ্গামাটি এবং কক্সবাজারেও পাসের হার কমেছে। এসব কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৩ দশমিক শূন্য এক ভাগ কমে গেছে। এ বছর গণিত বিষয়ে পাসের হার শতকরা ৭৮ ভাগ। গতবার তা ছিল ৮২ ভাগ। এ বিষয়টিও পাসের হার কমাতে ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পাসের হার গতবার ছিল ৭২ দশমিক ৬২ ভাগ। এবার তা কমে ৬৯ দশমিক ৬১ ভাগে নেমে আসে।
জানা যায়, মহানগর এলাকায় গতবার পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৭৮ ভাগ। এবার তা দশমিক ১৪ ভাগ বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ দশমিক ৯২ ভাগ। মহানগর বাদে চট্টগ্রাম জেলার পাসের হার এবার ২ দশমিক ৬৬ ভাগ কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬২ ভাগ। এবার তা কমে দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৯৬ ভাগে। কক্সবাজার জেলায় গতবার পাসের হার ৭১ দশমিক ৩৪ ভাগ থাকলেও এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯ দশমিক ৫৬ ভাগে। রাঙ্গামাটি জেলায় গতবার পাসের হার ছিল ৬৩ দশমিক ৮৪। এবার তা শতকরা ১ দশমিক ৪৮ ভাগ কমে ৬২ দশমিক ৩৬-তে নেমে এসেছে। খাগড়াছড়ি জেলায় এবার ফল বিপর্যয় ঘটেছে। গতবার ওই জেলায় যেখানে শতকরা ৬৭ দশমিক ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল এবার সেখানে পাস করেছে মাত্র ৪০ দশমিক ১৭ ভাগ শিক্ষার্থী। মফস্বলে এভাবে পাসের হার কমায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার এবার গতবারের চেয়ে কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মফস্বলের মধ্যে কেবল বান্দরবানে পাসের হার গতবারের চেয়ে মাত্র দশমিক ৮৭ ভাগ বেড়েছে। গতবার সেখানে পাসের হার ছিল ৫৫ দশমিক শূন্য ৩ আর এবার তা ৫৫ দশমিক ৯০ ভাগ।
শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ক্রমবর্ধমান ছিল। ২০০৪ সালে পাসের হার ছিল মাত্র ৪৬ দশমিক ৫৫ ভাগ। ২০০৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ দশমিক ৯২-তে। ২০০৬ সালে তা আরও বেড়ে ৬৩ দশমিক ৮৭ ভাগে দাঁড়ায়। তবে ২০০৭ সালে তা কিছুটা কমে ৫৭ দশমিক ৯৪ ভাগে এলেও পাসের হার গতবার অনেক বেড়ে যায়। ২০০৮ সালে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৬২ ভাগ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন