ঘূর্ণিঝড় আয়লা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করার পর এর প্রভাবে গতকাল চট্টগ্রামে দিনভর বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে সন্ধ্যার দিকে এক ঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে মহানগরীর অনেক নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। পরে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার পর পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়ে আসে। বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি দুই দফা জোয়ারের কারণেও নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে নগরবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়ে।
আয়লা উপকূল অতিক্রম করলেও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে আজকেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আয়লা দেশের উপকূল দিয়ে অতিক্রম করার পর আবহাওয়া এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আরো দু একদিন সময় লাগবে পরিসি'তি স্বাভাবিক হতে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর এক ঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টি নগরীতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। সবগুলো নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে নিম্নাঞ্চলের দোকান, বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়। বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর অবশ্য জলাবদ্ধতা কমে আসে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে অফিস ফেরত নগরবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়ে, যানবাহন চলাচল কমে যায়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারেও দুপুরে নগরীর অনেক নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। রাতে ও দিনে দু দফায় জোয়ারের ফলে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, শান্তিবাগ, ঘাট ফরহাদবেগ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকার অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে রাস্তায় প্রচুর কাদা ও পলি জমে যাওয়ায় সকাল থেকে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। দুপুরে আরেক দফা জোয়ারের কারণে ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে সবাই।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া দপ্তর জানায়, গতকাল চট্টগ্রামে ৩৫ মিঃমিঃ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাগর এখনো উত্তাল থাকায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সব মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে। আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে বাতাসের যে-চাপ রয়েছে তা স্বাভাবিক হতে আরো দু-একদিন সময় লাগবে। ফলে এক দুদিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, এতে তাপমাত্রাও কমে আসবে।
আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, গতকাল চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতরাতে ভাটা হয় রাত ২টা ২৯ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাটা হবে আজ দুপুর ২টা ৪১ মিঃ।
জোয়ার ও ভারী বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ।। জন দুর্ভোগ নালা ভরাট থাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন