হালদা নদীর পাড়ে ডিম থেকে রেণু উৎপাদনে ব্যস্ত ডিম আহরণকারীরা। নদীর দুই পাড়ে কয়েক হাজার মানুষ রেণু উৎপাদন করছেন। অংকুরী ঘোনা থেকে মদুনা ঘাট পর্যন্ত নদীর সতের মাইল জুড়ে রেণু উৎপাদন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত ২৫ মে দিবাগত রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে নদীতে পাহাড়ি ঢল বেড়ে গেছে। ফলে নদীর দুই তীরে সনাতনী পদ্ধতিতে রেণু উৎপাদনের জন্য যেসব কুয়া স্থাপন করা হয়েছে যেখানে পানি ঢুকে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। যদি কুয়াতে নদীর পানি ঢুকে তাহলে আহরিত ডিম থেকে রেণু উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। আধুনিক পদ্ধতিতে হালদা নদী থেকে আহরিত ডিম থেকে রেণু পোনা উৎপাদনের জন্য সরকারি ভাবে যেসব হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এতে লোকবল কম। এছাড়া ডিম আহরণ করে হ্যাচারি পর্যন্ত নিতে সময় লাগার কারণে বেশির ভাগই সনাতনী পদ্ধতিতে রেণু উৎপাদন করছে। তাছাড়া সরকারি হ্যাচারি রেণু উৎপাদন করলে কিছু অর্থ পরিশোধ করতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। বিদ্যুৎ গোলযোগের জন্য সরকারি হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। গত দুই বছরের তুলনায় এবার হালদায় অধিক ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এদিকে একটি অসাধু চক্র অংকুরী ঘোনা, গড়ণ্ডয়ারা, সিপাহীর ঘাট, উত্তর মাদার্শা মাছুয়া ঘোনায় কৃত্রিম রেণু হালদার রেণু হিসাবে বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন