ব্যবসায়ীদের বেসুমার মুনাফা রোধে সরকার তৎপর। রমজানের আগেই টিসিবিকে বাজারে নামানো হচ্ছে


প্রতিবছর রমজান মাস শুরু হলেই নানা অজুহাতে দেশে জিনিষপত্রের দাম বাড়ানো শুরু হয়। সেদিক থেকে রমজান সংযমের মাস হলেও সার্বিকভাবে ব্যবসায়ীদের কাছে এ মাসটি হয়ে যায় বেসুমার মুনাফার মাস। এসব কারণে নানা সংকট মাথায় নিয়ে রমজানের আগেই ব্যবসায়ীর ভূমিকায় নামছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি ও দাম বাড়িয়ে কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের মুনাফা করার পথ বন্ধ করতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে সিন্ডিকেটের একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধে এই কৌশল নেয়া হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে টিসিবি। রমজানে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা হবে ব্যবসায়ীর মতো। বাজারে সরবরাহ ও পণ্যের দাম ঠিক রাখতে সরকার এসব পণ্য বিক্রি করবে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতো। ইতিমধ্যে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্য সরাসরি টিসিবির মাধ্যমে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও কী পরিমাণ পণ্য আনা হচ্ছে, কবে এলসি খোলা হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও টিসিবির রয়েছে নানামুখী সমস্যা। টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকারকে পুরোনো ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দ্রুত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে টিসিবির কাজে গতি আসবে না। টিসিবির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, রমজানে কী পরিমাণ পণ্য আনা হবে তার কোনো দিকনির্দেশনা সরকারের কাছ থেকে এখনো আমরা পাইনি। এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস'তি। আশা করা হচ্ছে, দু-একদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। ৩১ মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব ব্যাপারে আলোচনার কথা ছিল। সংসদীয় কমিটির বৈঠক পিছিয়ে গেছে। খবর এনএনবির।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিসিবিকে আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে টিসিবিকে কোম্পানি করা হবে নাকি সরকারের একটি বিভাগে পরিণত করা হবেণ্ড তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে সরকার। টিসিবিকে শক্তিশালী করার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হলেও কোন প্রক্রিয়ায় সেটি করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, টিসিবিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের প্রস্তাবই উঠেছে জোরেশোরে। টিসিবি পুনর্গঠন সংক্রান্ত কমিটি প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন