হুমকির মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের স্বয়ংক্রিয় শুল্কায়ন পদ্ধতি। সম্প্রতি কাস্টমসে গিয়ে আগের মতো আইজিএম এবং ইজিএমের কাগজ জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করেছেন, এ অবস্থায় কাস্টমস আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাবে। চট্টগ্রাম চেম্বার এর প্রতিবাদ করেছে।
শুল্ক ফাঁকি রোধ, রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসে স্বয়ংক্রিয় শুল্কায়ন পদ্ধতি (অটোমেশন) চালু করা হয়েছিল গত বছরের আগস্টে। এতে ঘরে বসে শুল্কায়ন সম্পন্ন করা যেত এবং কাস্টমসের কাজে গতিও এসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সরকার যখন নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই ধরনের নির্দেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বড় অন্তরায় হবে। চেম্বারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, চট্টগ্রাম কাস্টমসকে আবারো দুর্নীতির আখড়া বানানোর জন্যই এই ধরনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দরের মাধ্যমে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ষাট হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়। বিপুল এই কর্মযজ্ঞ দেশের রাজস্ব আয়ের বড় অংশের জোগান দেয়। ২০০২ সাল থেকে এসাইকোডা প্লাস প্লাস সিস্টেমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টমসে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই সিস্টেম চালু রাখার পেছনে প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হতো। এসাইকোডা প্লাস প্লাস সিস্টেমে শুল্কায়ন করা হলেও এতে নানা ধরনের ফাঁক ফোকর থেকে যায়। কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনাও ঘটতে থাকে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের চালানের ব্যাপারে কাস্টমস কী করছে তা সিএন্ডএফ এজেন্ট জানে না। আবার সিএন্ডএফ কী করছে তা আমদানিকারক জানেন না। ফলে নানা ধরনের অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনায় সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছিল সাধারণ ভোক্তাদেরকেও নানাভাবে চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হতো।
এসব অব্যবস'া ঠেকানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর উদ্যোগে অটোমেশন পদ্ধতি চালু (৮ আগস্ট, ২০০৮) করা হয়। এই পদ্ধতির ফলে ঘরে বসে আইজিএম ইজিএম দাখিল করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতির ফলে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার সাথে সাথে পুরো তথ্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে চলে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট সকলেই যখন ইচ্ছে তখনি চালানটির ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেন। কত টাকা ট্যাক্স আসলো বা কত টাকা পরিশোধ করা হলো সেই সব তথ্য নিমিষেই জানা যায়। ১৯৯৩ সাল থেকে এই পদ্ধতি চালুর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। যৌথবাহিনী এবং চট্টগ্রাম চেম্বার মাত্র তিন কোটি টাকা খরচ করে এই পদ্ধতি চালু করে। প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা সৃষ্টি হলেও গত দশ মাস ধরে অটোমেশন পদ্ধতিতে শুল্কায়ন কার্যক্রম চলে আসছিল। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অনেক বেশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছিল। কিন' সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আইজিএম দাখিল করার পাশাপাশি দুই কপি হার্ড কপি কাস্টমস অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অনলাইনে আইজিএম দাখিলের সুবিধার জন্য বহুল প্রত্যাশিত অটোমেশন চালু করা হয়েছে। যদি কাস্টমস অফিসে গিয়ে কাগজ জমা দিতে হয় তাহলে আর অটোমেশনের দরকার কি ছিল। এই প্রশ্ন করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এম এ লতিফ এমপি। চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত একটি পত্রে সংঘবদ্ধ একটি চক্র কাস্টমসকে আবারো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করার জন্যই এমন নির্দেশ জারি করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পত্রের কপি অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃক জারি করা এই নির্দেশকে নৈরাজ্য আর দুর্নীতির পূর্বাবস'ায় ফিরে যাওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে জিম্মি করার জন্য এমনটি করা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সরকার যেখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমলাতান্ত্রিক ধাপ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাতে স্টেকহোল্ডারেরা শংকিত বলেও পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়।
শুল্ক ফাঁকি রোধ, রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসে স্বয়ংক্রিয় শুল্কায়ন পদ্ধতি (অটোমেশন) চালু করা হয়েছিল গত বছরের আগস্টে। এতে ঘরে বসে শুল্কায়ন সম্পন্ন করা যেত এবং কাস্টমসের কাজে গতিও এসেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সরকার যখন নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এই ধরনের নির্দেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বড় অন্তরায় হবে। চেম্বারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, চট্টগ্রাম কাস্টমসকে আবারো দুর্নীতির আখড়া বানানোর জন্যই এই ধরনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। এই বন্দরের মাধ্যমে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ষাট হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়। বিপুল এই কর্মযজ্ঞ দেশের রাজস্ব আয়ের বড় অংশের জোগান দেয়। ২০০২ সাল থেকে এসাইকোডা প্লাস প্লাস সিস্টেমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টমসে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই সিস্টেম চালু রাখার পেছনে প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হতো। এসাইকোডা প্লাস প্লাস সিস্টেমে শুল্কায়ন করা হলেও এতে নানা ধরনের ফাঁক ফোকর থেকে যায়। কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনাও ঘটতে থাকে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের চালানের ব্যাপারে কাস্টমস কী করছে তা সিএন্ডএফ এজেন্ট জানে না। আবার সিএন্ডএফ কী করছে তা আমদানিকারক জানেন না। ফলে নানা ধরনের অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনায় সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছিল সাধারণ ভোক্তাদেরকেও নানাভাবে চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হতো।
এসব অব্যবস'া ঠেকানোর পাশাপাশি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর উদ্যোগে অটোমেশন পদ্ধতি চালু (৮ আগস্ট, ২০০৮) করা হয়। এই পদ্ধতির ফলে ঘরে বসে আইজিএম ইজিএম দাখিল করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতির ফলে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার সাথে সাথে পুরো তথ্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে চলে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট সকলেই যখন ইচ্ছে তখনি চালানটির ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেন। কত টাকা ট্যাক্স আসলো বা কত টাকা পরিশোধ করা হলো সেই সব তথ্য নিমিষেই জানা যায়। ১৯৯৩ সাল থেকে এই পদ্ধতি চালুর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। যৌথবাহিনী এবং চট্টগ্রাম চেম্বার মাত্র তিন কোটি টাকা খরচ করে এই পদ্ধতি চালু করে। প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা সৃষ্টি হলেও গত দশ মাস ধরে অটোমেশন পদ্ধতিতে শুল্কায়ন কার্যক্রম চলে আসছিল। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অনেক বেশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়েছিল। কিন' সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আইজিএম দাখিল করার পাশাপাশি দুই কপি হার্ড কপি কাস্টমস অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অনলাইনে আইজিএম দাখিলের সুবিধার জন্য বহুল প্রত্যাশিত অটোমেশন চালু করা হয়েছে। যদি কাস্টমস অফিসে গিয়ে কাগজ জমা দিতে হয় তাহলে আর অটোমেশনের দরকার কি ছিল। এই প্রশ্ন করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট এম এ লতিফ এমপি। চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের কাছে লিখিত একটি পত্রে সংঘবদ্ধ একটি চক্র কাস্টমসকে আবারো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করার জন্যই এমন নির্দেশ জারি করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। পত্রের কপি অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃক জারি করা এই নির্দেশকে নৈরাজ্য আর দুর্নীতির পূর্বাবস'ায় ফিরে যাওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে জিম্মি করার জন্য এমনটি করা হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সরকার যেখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমলাতান্ত্রিক ধাপ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাতে স্টেকহোল্ডারেরা শংকিত বলেও পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন