দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস'ার (এনএসআই) গ্রেপ্তারকৃত সাবেক উপ পরিচালক (টেকনিক্যাল) মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেনকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিআইডি পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এম আসাদুজ্জামান খানের আদালতে শুনানি শেষে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। বিকেলে দামপাড়াস' সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে লিয়াকতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিআইডি।
এদিকে চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা এই মামলার অপর আসামি মেজর জেনারেল (অবঃ) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে আগামী রোববার টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নেয়া হবে। রেজ্জাকুল হায়দার বর্তমানে ৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আদালত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গতপরশু বুধবার বিকেলে লিয়াকতের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী।
জবাবে আদালতের বিচারক তাকে চারদিনের রিমান্ডে দিয়ে সতর্কতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এর আগে রিমান্ড আবেদনের উপর বিস্তারিত শুনানিতে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ আদালতকে বলেন, অস্ত্র ধরা পড়ার কয়েক ঘণ্টাপর মেজর লিয়াকত তার ঊর্ধ্বতন অফিসার এনএসআইএর পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহমেদকে (গ্রেপ্তারকৃত) জানান।
তিনি আরো বলেন, অস্ত্র ধরা পড়ার আগের দিন লিয়াকত শাহাবুদ্দীনের মোবাইল নিয়ে শাহাবুদ্দীনের নাম্বারগুলো নিজের নাম্বারে ডাইভার্ট করেছেন বলে তথ্য রয়েছে। আর শাহাবুদ্দীনের জবানবন্দীতেও এই লিয়াকতের নাম এসেছে। সুতরাং অস্ত্র চোরাচালানের বিষয়টি লিয়াকত ভালভাবেই জানেন। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে অস্ত্র চোরাচালানের বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা এদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি।
এসময় মেজর লিয়াকতের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আবুল হাসান আদালতে যুক্তি উপস'াপন করে বলেন, শাহাবুদ্দীনের চেয়ে জুনিয়র অফিসার হয়েও লিয়াকত কিভাবে তার মোবাইল নাম্বার ডাইভার্ট করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাছাড়া দুজনের কাজের ক্ষেত্রও ভিন্ন। অতএব নির্যাতন ও সম্মানহানি করতেই তাকে রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। তিনি রিমাণ্ড আবেদন বাতিল করার আবেদন জানান। কিন্তু আদালত তার আবেদন অগ্রাহ্য করেন। কারাগারে ডিভিশন ও চিকিৎসা চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস'া নেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
এসময় মেজর লিয়াকতের জামিনের আবেদন জানিয়ে এডভোকেট হাসান বলেন, এই মামলায় ৩৬ জন আসামী বর্তমানে জামিনে আছেন। সুতরাং আমার মক্কেলকেও জামিন দেয়া হোক। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন না। জবাবে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন। এদিকে একইভাবে রেজ্জাকুল হায়দারেরও জামিন এবং ডিভিশন চাওয়া হয়েছে। বিচারক জামিন না মঞ্জুর এবং কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এসময় তার আইনজীবী এডভোকেট তারিক আহমেদ আদালতকে জানান, গত ২০ মে রেজ্জাকুল হায়দারকে আবদুর রহিমের সাথে ৬ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয়। কিন' তাকে আজও জিজ্ঞাসাবাদ না করে কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা নিয়মনীতির লংঘন। অথচ মামলার এজাহার ও আসামীদের জবানবন্দীর কোথাও রেজ্জাকুলের নাম আসেনি।
বিচারক এম আসাদুজ্জামান তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিচারককে জানান, রেজ্জাকুলকে আগামী রোববার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে রিয়াকতের আইনজীবী এডভোকেট হাসান কোর্ট ইন্সপেক্টরের কামরায় তার সাথে আধঘন্টা কথা বলেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অস্ত্র আটকের সময় লিয়াকত লন্ডনস' বাংলাদেশ দূতাবাসে ছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা এই মামলার অপর আসামি মেজর জেনারেল (অবঃ) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকে আগামী রোববার টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নেয়া হবে। রেজ্জাকুল হায়দার বর্তমানে ৬ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। আদালত থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গতপরশু বুধবার বিকেলে লিয়াকতের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চৌধুরী।
জবাবে আদালতের বিচারক তাকে চারদিনের রিমান্ডে দিয়ে সতর্কতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এর আগে রিমান্ড আবেদনের উপর বিস্তারিত শুনানিতে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ আদালতকে বলেন, অস্ত্র ধরা পড়ার কয়েক ঘণ্টাপর মেজর লিয়াকত তার ঊর্ধ্বতন অফিসার এনএসআইএর পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহমেদকে (গ্রেপ্তারকৃত) জানান।
তিনি আরো বলেন, অস্ত্র ধরা পড়ার আগের দিন লিয়াকত শাহাবুদ্দীনের মোবাইল নিয়ে শাহাবুদ্দীনের নাম্বারগুলো নিজের নাম্বারে ডাইভার্ট করেছেন বলে তথ্য রয়েছে। আর শাহাবুদ্দীনের জবানবন্দীতেও এই লিয়াকতের নাম এসেছে। সুতরাং অস্ত্র চোরাচালানের বিষয়টি লিয়াকত ভালভাবেই জানেন। তাই তাকে রিমান্ডে নিয়ে অস্ত্র চোরাচালানের বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা এদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি।
এসময় মেজর লিয়াকতের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আবুল হাসান আদালতে যুক্তি উপস'াপন করে বলেন, শাহাবুদ্দীনের চেয়ে জুনিয়র অফিসার হয়েও লিয়াকত কিভাবে তার মোবাইল নাম্বার ডাইভার্ট করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাছাড়া দুজনের কাজের ক্ষেত্রও ভিন্ন। অতএব নির্যাতন ও সম্মানহানি করতেই তাকে রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। তিনি রিমাণ্ড আবেদন বাতিল করার আবেদন জানান। কিন্তু আদালত তার আবেদন অগ্রাহ্য করেন। কারাগারে ডিভিশন ও চিকিৎসা চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস'া নেয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
এসময় মেজর লিয়াকতের জামিনের আবেদন জানিয়ে এডভোকেট হাসান বলেন, এই মামলায় ৩৬ জন আসামী বর্তমানে জামিনে আছেন। সুতরাং আমার মক্কেলকেও জামিন দেয়া হোক। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন না। জবাবে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন। এদিকে একইভাবে রেজ্জাকুল হায়দারেরও জামিন এবং ডিভিশন চাওয়া হয়েছে। বিচারক জামিন না মঞ্জুর এবং কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এসময় তার আইনজীবী এডভোকেট তারিক আহমেদ আদালতকে জানান, গত ২০ মে রেজ্জাকুল হায়দারকে আবদুর রহিমের সাথে ৬ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয়। কিন' তাকে আজও জিজ্ঞাসাবাদ না করে কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা নিয়মনীতির লংঘন। অথচ মামলার এজাহার ও আসামীদের জবানবন্দীর কোথাও রেজ্জাকুলের নাম আসেনি।
বিচারক এম আসাদুজ্জামান তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিচারককে জানান, রেজ্জাকুলকে আগামী রোববার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিকে আদালতের অনুমতি নিয়ে রিয়াকতের আইনজীবী এডভোকেট হাসান কোর্ট ইন্সপেক্টরের কামরায় তার সাথে আধঘন্টা কথা বলেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অস্ত্র আটকের সময় লিয়াকত লন্ডনস' বাংলাদেশ দূতাবাসে ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন