ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ভর্তি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী এ বছর কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে কেবলমাত্র শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমবে এবং ভর্তির ক্ষেত্রে বিরাজমান দুর্নীতি হ্রাস পাবে বলে মনে করে মন্ত্রনালয়। ভর্তির এ নিয়মে বিভাগীয় সদর ও জেলা সদরের কলেজগুলোতে শতকরা ৮৮ ভাগ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ১২ ভাগ আসন বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তাছাড়াও ঘোষিত নীতিমালায় যাই থাকনা কেন, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। এইচএসসি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে আগামী ১২ জুলাই থেকে। খবর এনএনবির। গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৩ পয়েন্ট ধরে ক্রমান্বয়ে ৪০ পয়েন্ট প্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ দিতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে ৪০ পয়েন্টপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে সমান পয়েন্ট অর্জনের বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে ০৫ পয়েন্টপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এত করে সমস্যার সমাধান না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে। তাতেও সমস্যার সমাধান না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার কেন্দ্রের সভাপতির কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের পারস্পরিক মেধাক্রম সংগ্রহপূর্বক প্রার্থী বাছাই করা হবে। সমমেধাসম্পন্ন প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/পোষ্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে আরো বলা হয়েছে, ২০০৭, ’০৮ ও ’০৯ সালে দেশের যে কোন শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির যোগ্য হবে। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়, মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার যে কোন একটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখা নির্বাচন করতে পারবেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তিচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র ফরমের মূল্য বাবদ ১০ টাকা এবং ভর্তি ব্যবস'াপনা ব্যয় নির্বাহের জন্য ৫০ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৬০ টাকা রশিদ প্রদানসহ গ্রহণ করবে। এ ছাড়া ভর্তির সময় বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য ফিসহ রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি ২৫ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১০ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, শাখা /বিষয় পরিবর্তন ফি ২৫ টাকা, পাঠ বিরতি ফি ১০০ টাকা, বিলম্ব ভর্তি ফি ৫০ টাকা গ্রহণ করা যাবে। কলেজসমূহ তাদের ভৌত অবকাঠামো ও শিক্ষক সংখ্যা অনুসারে স্ব স্ব কলেজের আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তির আগেই শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবে এবং বোর্ডগুলো স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অবসি'ত কলেজগুলো এ বিধানের ব্যত্যয় রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস'া গ্রহণ করবে। বোর্ড নির্ধারিত ফিসহ সব ফি, আসন সংখ্যা, ভর্তির যোগ্যতা ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের নোটিশ বোর্ডসহ যথাযথ প্রচারের ব্যবস'া করবে। আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর কোন কলেজ এ নীতিমালা অনুযায়ী আসন সংখ্যার সমানসংখ্যক ভর্তিযোগ্য প্রার্থীদের একটি মেধাক্রম তালিকা এবং মোট আসন সংখ্যার নূন্যতম ২৫ শতাংশ অপেক্ষমাণ মেধাক্রম প্রকাশ করবে। ভর্তির সময় প্রার্থীকে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্র দাখিল করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যে বলা হয়েছে, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ৭ জুলাই। ক্লাস শুরু হবে ১২ জুলাই। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি ও মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট বোর্ডে জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ জুলাই। বিলম্ব ফিসহ রেজিস্ট্রেশন ফি ও মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বোর্ডে জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুলাই। ব্যবহারিক ক্লাস শুরু করতে হবে ৩ আগস্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক শিক্ষার্থীর শাখা/বিষয় পরিবর্তনের ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ১১ আগস্ট। শাখা/বিষয় পরিবর্তনকারী শিক্ষার্থীর ব্যাংক ড্রাফটসহ তালিকা বোর্ডে প্রেরণের শেষ তারিখ ১৭ আগস্ট ও পূরণকৃত এসআইএফ শিক্ষা বোর্ডে জমা দানের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন