একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে বাংলাদেশ সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সতর্ক করে বলেছে, এ প্রক্রিয়া ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক শীতল করতে পারে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। গত শনিবার ইসলামাবাদে সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাকিস্তানের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মাসুদ খালিদ এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে পাকিস্তানের মতামত জানতে চাইলে খালিদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। আমরা আশা করছি, আমাদের সম্পর্ক শীতল করে দেওয়ার মতো কিছু করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার বিষয়টিকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ’ বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংস ঘটনাকে খালিদ ‘দুখজনক অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেন। দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ে খালিদ বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক দুটি অন্তরায় হলো দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল না থাকা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা। এক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও সহায়তার ওপর জোর দেন তিনি।আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে খালিদ বলেন, সামনে এগোতে হলে পাকিস্তানের জন্য শান্তি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রে পড়ে। এর ফলে দেশটি একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন সুবিধার মধ্যেও রয়েছে।এ অঞ্চল এখন ক্ষমতার ব্যবহারের জন্য উত্তপ্ত এলাকা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।খালেদ আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সি'তিশীলতা পাকিস্তানের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, পারস্পরিক সমতার ভিত্তিতে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি আমরা। গত এক বছরে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে জানিয়ে পাকিস্তানি এ কর্মকর্র্তা বলেন, অবকাঠামো বিষয়ক বিনিয়োগের জন্য আমরা একটি চুক্তি করেছি।
খালিদ বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ প্রসারের কারণ আফগান যুদ্ধ। আল কায়দা, তালেবানসহ এ ধরনের সংগঠনগুলোর বিপজ্জনকহারে উত্থান পাকিস্তানের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোয়াতে সামরিক অভিযানের বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সন্ত্রাস দমনে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে খালিদ বলেন, ২০০৫ সালে প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে পাকিস্তানের মতামত জানতে চাইলে খালিদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। আমরা আশা করছি, আমাদের সম্পর্ক শীতল করে দেওয়ার মতো কিছু করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার বিষয়টিকে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ’ বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংস ঘটনাকে খালিদ ‘দুখজনক অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেন। দুই দেশের বাণিজ্য বিষয়ে খালিদ বলেন, বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক দুটি অন্তরায় হলো দুই দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল না থাকা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের জটিলতা। এক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও সহায়তার ওপর জোর দেন তিনি।আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে খালিদ বলেন, সামনে এগোতে হলে পাকিস্তানের জন্য শান্তি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রে পড়ে। এর ফলে দেশটি একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন সুবিধার মধ্যেও রয়েছে।এ অঞ্চল এখন ক্ষমতার ব্যবহারের জন্য উত্তপ্ত এলাকা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।খালেদ আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সি'তিশীলতা পাকিস্তানের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, পারস্পরিক সমতার ভিত্তিতে সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি আমরা। গত এক বছরে প্রতিবেশী আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে জানিয়ে পাকিস্তানি এ কর্মকর্র্তা বলেন, অবকাঠামো বিষয়ক বিনিয়োগের জন্য আমরা একটি চুক্তি করেছি।
খালিদ বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ প্রসারের কারণ আফগান যুদ্ধ। আল কায়দা, তালেবানসহ এ ধরনের সংগঠনগুলোর বিপজ্জনকহারে উত্থান পাকিস্তানের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোয়াতে সামরিক অভিযানের বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সন্ত্রাস দমনে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে খালিদ বলেন, ২০০৫ সালে প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তির বিষয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন