অস্ত্রের চালান ধরিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শাহাবুদ্দীন : সিআইডি ।। আজ জবানবন্দী দেবেন লিয়াকত হোসেন


আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আজ আদালতিক জবানবন্দী দেবেন এনএসআই এর সাবেক উপ-পরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন। আজ সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে। একই সাথে মামলার আরেক আলোচিত আসামী এনএসআই এর সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীকেও আদালতে তোলা হবে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রেজ্জাকুল হায়দারকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দানে সিআইডি রাজি করাতে পারেনি বলে জানা গেছে।সিআইডি জানায় ৬ দিনের রিমান্ডে ঢাকায় টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উল্লেখিত দুই কর্মকর্তাকে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় দামপাড়াস' সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।এদিকে টিএফআই সেলে গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে রেজ্জাকুল অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য না দিলেও লিয়াকত হোসেন দুষেছেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশেষ করে আবদুর রহিম ও এনএসআইএর পরিচালক (নিরাপত্তা) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন আহাম্মদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন তিনি।সিআইডির নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী অস্ত্রের চালান ধরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা এই শাহাবুদ্দীন আহাম্মদের। রহিমের কারণে এই ঘটনা ঘটায় শাহাবুদ্দীন।জানা গেছে দুবাইভিত্তিক পাকিস্তান প্রবাসীদের একটি গ্রুপ (এআরওয়াই) আবদুর রহিমকে মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম নামে একটি ডিভাইস দিয়েছিলেন। ব্রিফকেইস সাইজের এই যন্ত্রটির দাম আড়াই কোটি টাকা। এআরওয়াই গ্রুপ (আগা রহমান ইউসুফ) এটি বিনামূল্যে সরবরাহ করলেও আবদুর রহিম এটার জন্য এনএসআই এর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ নেয়। পরবর্তীতে এই টাকা তিনি নিজেই সরিয়ে নেন বলে জানা যায়।এই ঘটনায় নিজের অংশ না পাওয়াতে ক্ষুব্ধ শাহাবুদ্দীন অস্ত্র ধরিয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। প্রসঙ্গতঃ গত ২ জুন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় দ্বিতীয় দফায় দুই কর্মকর্তা রেজ্জাকুল ও লিয়াকতকে ৬ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে আনোয়ারার সিইউএফএল ঘাট থেকে দশ ট্রাক অস্ত্রের বিশাল চালান আটক করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন