হৃদয় হত্যা ঘটনা দোষ স্বীকার করে আদালতে শুভ ও ফরহাদের জবানবন্দী

কিশোর হৃদয় হত্যার লোমহর্ষক ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আদালতিক জবানবন্দী দিয়েছে অপর দুই কিশোর ফরহাদ ও শুভ। হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক কিশোর পারভেজের জবানবন্দী নেয়া হয় নি। গতকাল সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির সামনে দুইজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে এই জবানবন্দী দেয়। সকাল ১০ টায় তাদেরকে আদালতে নেয়া হলেও জবানবন্দী শেষ হয় বিকেল ৪টায়। জবানবন্দী শুরুর আগে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ম অনুযায়ী দুইজনকে তিনঘণ্টা চিন্তা করার সুযোগ দেন। আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, শুভ চার পৃষ্ঠার এবং ফরহাদ তিন পৃষ্ঠার জবানবন্দী দিয়েছে। মোস্তফা হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হৃদয়কে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিতে দুই সহপাঠী ফরহাদ ও শুভ বলেছেন, হত্যার আগে ফরহাদ, পারভেজ ও শুভ ঘটনাটি ঘটানোর নিখুঁত পরিকল্পনা আঁটে। হৃদয়কে হত্যার পর লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তদাতা পারভেজ। তাদের ধারণা পানিতে লাশ ভেসে গেলে কোন দিন এই ঘটনা প্রকাশ হবে না। আর তারাও হত্যার দায় থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। হত্যাকাণ্ডের আগে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ঘটনা তিনজনের কারো মুখ থেকে কোনভাবেই প্রকাশ না করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তিনজন। এই কারণে গত ৯ মে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও এর ২৬ দিন পর্যন্ত এ ঘটনা চেপে রাখতে সক্ষম হয় তারা। অথচ গত ১০ মে ঘটনার একদিন পরই কাট্টলীস' সমুদ্রের পাড় এলাকা থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার ওই সময় মামলাও দায়ের করে। এদিকে মূল অভিযুক্ত পারভেজকে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর বাইরে রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাহাড়তলী থানার এসআই বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনার নায়ক হিসেবে পারভেজ অতিমাত্রায় ধূর্ত। তা ছাড়া ফরহাদ ও শুভ এর জবানবন্দীই যথেষ্ট। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার হৃদয় হত্যার নায়ক তারই সহপাঠী পারভেজ, ফরহাদ ও শুভর কথা প্রকাশ হলে চাঞ্চল্য ছড়ায় সর্বত্র।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন