চট্টগ্রাম মহানগরীর ন্যাড়া পাহাড়গুলোতে এখনও অবৈধভাবে বসবাস করে ত্রিশ হাজার পরিবার। ২০০৬ সালের ১১ জুন পাহাড় ধসে ১২৬ ব্যক্তি নিহত হওয়ার পরও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে পরিবারগুলোকে সরানো সম্ভব হয়নি। নগরীর উত্তর খুলশী ফয়’স লেক সংলগ্ন রেলওয়ে পাহাড় থেকে ৫ হাজার পরিবারকে সরিয়ে নিতে তিন সপ্তাহ আগে রেলওয়েকে চিঠি প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর। অথচ এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জি এম নুর মোহাম্মদ বলেছেন, ২০০৬ সালে গঠিত ‘শক্তিশালী পাহাড় শাসন কমিটি’ প্রদত্ত সুপারিশ অনুযায়ী পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরানোর পাশাপাশি পাহাড় রক্ষায় গত দেড় বছর আগে করা ৩৩টি সুপারিশের একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে চট্টগ্রামের পাহাড় রক্ষায় গত দুইমাস ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে উক্ত সমীক্ষা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ পাহাড়ের মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও বন বিভাগ। রেলওয়ের মালিকানাধীন উত্তর খুলশী এলাকার পাহাড় এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ট্যাঙ্কির পাহাড়ে ১০ হাজারের অধিক পরিবার চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। এছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন লেবু বাগান, কাচিয়া ঘোনা ও ডেবার পাড় এলাকার কুসুমবাগ এলাকায় দশ হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে। প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড় ধসে শত শত লোক নিহত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এখন থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, পুরোদমে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই পাহাড়গুলো ঝুঁকিমুক্ত করা জরুরি। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াসাসহ অন্যান্য পাহাড়মালিকদের লিখিতভাবে জানানো হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জেনারেল ম্যানেজার বলেছেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে উক্ত কমিটির অন্যতম সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শক্তিশালী পাহাড় শাসন কমিটি পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে এক বছর পূর্বে ৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রদান করে। এইসব সুপারিশমালার অন্যতম হচ্ছে, প্রত্যেকটি পাহাড়ের জিওলজিক্যাল ও জিও মর্ফোলজিক্যাল সার্ভে করে পাহাড়ের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হওয়া। দ্বিতীয়ত, সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদের বিষয়টি তদারকি করার পাশাপাশি এ বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা, ন্যাড়া পাহাড়ে বনায়ন, সরকারি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে সেখানে উপযুক্ত বনায়ন করা। ব্যক্তিমালিকানাধীন ও সরকারি পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। তিনি বলেন, কমিটি প্রদত্ত সুপারিশ যথাযথ বাস্তবায়িত হলে মহানগরীর পাহাড় ঝুঁকিমুক্ত হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ের গঠন ও এর অবস্থান নির্ণয় করতে গত দুইমাস থেকে ‘ল্যান্ড াইড রিকস এসিসমেন্ট অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সিটি’ শীর্ষক সার্ভে শুরু করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে উক্ত সার্ভে কমিটির প্রধান হচ্ছেন, চুয়েট পরিচালিত ভূমিকম্প প্রকৌশল ও গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. জাহাঙ্গীর আলম। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলতান মোহাম্মদ ফারুক ও প্রভাষক দিপুল চন্দ্র মন্ডল। কমিটি আগামী ডিসেম্বরে সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রদান করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ পাহাড়ের মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও বন বিভাগ। রেলওয়ের মালিকানাধীন উত্তর খুলশী এলাকার পাহাড় এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার মালিকানাধীন মতিঝর্ণা ট্যাঙ্কির পাহাড়ে ১০ হাজারের অধিক পরিবার চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। এছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন লেবু বাগান, কাচিয়া ঘোনা ও ডেবার পাড় এলাকার কুসুমবাগ এলাকায় দশ হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে। প্রতিবছর বর্ষাকালে পাহাড় ধসে শত শত লোক নিহত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের ব্যাপারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এখন থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালক আবদুস সোবহান বলেন, পুরোদমে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই পাহাড়গুলো ঝুঁকিমুক্ত করা জরুরি। এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াসাসহ অন্যান্য পাহাড়মালিকদের লিখিতভাবে জানানো হবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল জেনারেল ম্যানেজার বলেছেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে উক্ত কমিটির অন্যতম সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শক্তিশালী পাহাড় শাসন কমিটি পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে এক বছর পূর্বে ৩৩টি সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রদান করে। এইসব সুপারিশমালার অন্যতম হচ্ছে, প্রত্যেকটি পাহাড়ের জিওলজিক্যাল ও জিও মর্ফোলজিক্যাল সার্ভে করে পাহাড়ের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হওয়া। দ্বিতীয়ত, সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদের বিষয়টি তদারকি করার পাশাপাশি এ বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা, ন্যাড়া পাহাড়ে বনায়ন, সরকারি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে সেখানে উপযুক্ত বনায়ন করা। ব্যক্তিমালিকানাধীন ও সরকারি পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি। তিনি বলেন, কমিটি প্রদত্ত সুপারিশ যথাযথ বাস্তবায়িত হলে মহানগরীর পাহাড় ঝুঁকিমুক্ত হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ের গঠন ও এর অবস্থান নির্ণয় করতে গত দুইমাস থেকে ‘ল্যান্ড াইড রিকস এসিসমেন্ট অব চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সিটি’ শীর্ষক সার্ভে শুরু করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে উক্ত সার্ভে কমিটির প্রধান হচ্ছেন, চুয়েট পরিচালিত ভূমিকম্প প্রকৌশল ও গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. জাহাঙ্গীর আলম। কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলতান মোহাম্মদ ফারুক ও প্রভাষক দিপুল চন্দ্র মন্ডল। কমিটি আগামী ডিসেম্বরে সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রদান করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন