পৌর জহুর হকার মার্কেট থেকে সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর কর্তৃত্ব হটাতে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন সাধারণ দোকান মালিকরা। নিজের কর্তৃত্ব হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি শতাধিক দোকানের মালিকানাও চলে যাওয়ার আশঙ্কায় দীর্ঘ ত্রিশ বছর এই মার্কেটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমান সিটি মেয়র। ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৯৮১ সালে নিহত হয়েছেন অজি উল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ী।
পৌর জহুর ব্যবসায়ী কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালে উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসন করতে হকার মার্কেট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হকারদের মানবিক দিক বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের খাস সম্পত্তির উপর মার্কেটটি নির্মিত হয়। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন নির্বাচিত কমিটি সমাজ সেবা থেকে চট্টগ্রাম উচ্ছেদকৃত হকার সমিতি নামের সংগঠনটি নিবন্ধন করেন। ১৯৮৮ সালে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী পৌর জহুর হকার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি নামে নতুন একটি সমিতি নিবন্ধন করেন। তখন আমি উচ্ছেদকৃত হকার সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। হকার মার্কেটের নতুন সমিতির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, অথচ আমি সে সম্পর্কে কিছুই জানি না। তখন আমি সমাজ সেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৬৪ জন সাধারণ দোকান মালিক সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে সমিতি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। উক্ত রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। ভুয়া রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে ১৯৮৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ বছর লড়াই করেছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের একাধিক ঊর্ধ্বতন তদন্ত টিম তদন্তের মাধ্যমে ২০০২ সালে উক্ত সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে। মেয়র মহিউদ্দিনের সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হকার মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যকরী কমিটির ৪৬৪ সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদন সমাজ সেবা কার্যালয়ে প্রদান করা হয়। ২০০২ সালে সিটি মেয়র মহিউদ্দিনের সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে উচ্ছেদকৃত হকার সমিতির নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দেয় সমাজ সেবা অধিদপ্তর। সমাজ সেবার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন বাতিলকৃত হকার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস। উক্ত রিটের ভিত্তিতে সমাজ সেবার আদেশ স্থগিত করা হয়। উক্ত পিটিশনের পরিপেক্ষিতে একই সময়ে উচ্ছেদকৃত হকার সমিতির সভাপতি এম এ হাশেম হাইকোর্টে আরেকটি রিট আবেদন দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন।
হকার মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সিটি মেয়র আজীবন সভাপতি থাকতে ১৯৮৮ সালে সমিতি রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পরও আজীবন সভাপতি রয়ে গেছেন মহিউদ্দীন চৌধুরী। হকার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির অধিকাংশ সদস্য কার্যকরী কমিটির নির্বাচন দাবি করলেও বিগত ২১ বছরে এ মার্কেটে কোন নির্বাচন হতে দেয় নি মেয়র।
জানা যায়, হকার মার্কেটের পশ্চিম পাশে খালিস্থানে ১৯৮৭ সালে দোকান তৈরির চেষ্টা করেন এ বি এম মহিউদ্দিন। চলাচলের রাস্তায় দোকান নির্মাণের বিরোধিতা করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা উক্ত স্থানে দোকান নির্মাণের চেষ্টা করলে হকার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন নির্বাচিত কমিটির অধিকাংশ সদস্য বাধা প্রদান করেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় তৎকালীন সহ-সভাপতি অজি উল্লাহ নিহত হয়। অজি উল্লাহর জীবনের বিনিময়েও উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি হকার মার্কেটের মুখে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৭১টি দোকান। এদিকে সিটি মেয়রের নামে দাবিকৃত ভাড়া পরিশোধ না করায় ৩৪ ব্যবসায়ীকে হুমকি প্রদান করে চলেছেন ভাড়া দাবিকারী ব্যক্তিরা। গতকাল বিকেলে হকার মার্কেটের পশ্চিম পাশে ৭১ দোকানে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানের ব্যবসায়ীরা অনুপসি'ত। কর্মচারীরা জানান, ভাড়া নিয়ে মেয়রের লোকের সাথে গন্ডগোল চলছে তাই মালিকরা গতকাল থেকে দোকানে অনুপস্থিত। উল্লেখ্য, উক্ত ৭১টি দোকান সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত না থাকায় এগুলো থেকে কোন রাজস্ব সরকার পায় না।ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানায়, হকার মার্কেটে নিচের সারিতে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর আটটি দোকান, উপরে জমজম হোটেল এবং লীজভুক্ত ১০টি দোকানসহ মোট ২০টি দোকান রয়েছে। যে সব দোকান থেকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।
পৌর জহুর ব্যবসায়ী কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালে উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসন করতে হকার মার্কেট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হকারদের মানবিক দিক বিবেচনায় জেলা প্রশাসনের খাস সম্পত্তির উপর মার্কেটটি নির্মিত হয়। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন নির্বাচিত কমিটি সমাজ সেবা থেকে চট্টগ্রাম উচ্ছেদকৃত হকার সমিতি নামের সংগঠনটি নিবন্ধন করেন। ১৯৮৮ সালে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী পৌর জহুর হকার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি নামে নতুন একটি সমিতি নিবন্ধন করেন। তখন আমি উচ্ছেদকৃত হকার সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। হকার মার্কেটের নতুন সমিতির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, অথচ আমি সে সম্পর্কে কিছুই জানি না। তখন আমি সমাজ সেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৬৪ জন সাধারণ দোকান মালিক সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে সমিতি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। উক্ত রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। ভুয়া রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে ১৯৮৯ থেকে ২০০২ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৩ বছর লড়াই করেছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের একাধিক ঊর্ধ্বতন তদন্ত টিম তদন্তের মাধ্যমে ২০০২ সালে উক্ত সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে। মেয়র মহিউদ্দিনের সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হকার মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যকরী কমিটির ৪৬৪ সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদন সমাজ সেবা কার্যালয়ে প্রদান করা হয়। ২০০২ সালে সিটি মেয়র মহিউদ্দিনের সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে উচ্ছেদকৃত হকার সমিতির নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দেয় সমাজ সেবা অধিদপ্তর। সমাজ সেবার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন বাতিলকৃত হকার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস। উক্ত রিটের ভিত্তিতে সমাজ সেবার আদেশ স্থগিত করা হয়। উক্ত পিটিশনের পরিপেক্ষিতে একই সময়ে উচ্ছেদকৃত হকার সমিতির সভাপতি এম এ হাশেম হাইকোর্টে আরেকটি রিট আবেদন দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন।
হকার মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সিটি মেয়র আজীবন সভাপতি থাকতে ১৯৮৮ সালে সমিতি রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পরও আজীবন সভাপতি রয়ে গেছেন মহিউদ্দীন চৌধুরী। হকার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির অধিকাংশ সদস্য কার্যকরী কমিটির নির্বাচন দাবি করলেও বিগত ২১ বছরে এ মার্কেটে কোন নির্বাচন হতে দেয় নি মেয়র।
জানা যায়, হকার মার্কেটের পশ্চিম পাশে খালিস্থানে ১৯৮৭ সালে দোকান তৈরির চেষ্টা করেন এ বি এম মহিউদ্দিন। চলাচলের রাস্তায় দোকান নির্মাণের বিরোধিতা করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। বহিরাগত সন্ত্রাসীরা উক্ত স্থানে দোকান নির্মাণের চেষ্টা করলে হকার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন নির্বাচিত কমিটির অধিকাংশ সদস্য বাধা প্রদান করেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় তৎকালীন সহ-সভাপতি অজি উল্লাহ নিহত হয়। অজি উল্লাহর জীবনের বিনিময়েও উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি হকার মার্কেটের মুখে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৭১টি দোকান। এদিকে সিটি মেয়রের নামে দাবিকৃত ভাড়া পরিশোধ না করায় ৩৪ ব্যবসায়ীকে হুমকি প্রদান করে চলেছেন ভাড়া দাবিকারী ব্যক্তিরা। গতকাল বিকেলে হকার মার্কেটের পশ্চিম পাশে ৭১ দোকানে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানের ব্যবসায়ীরা অনুপসি'ত। কর্মচারীরা জানান, ভাড়া নিয়ে মেয়রের লোকের সাথে গন্ডগোল চলছে তাই মালিকরা গতকাল থেকে দোকানে অনুপস্থিত। উল্লেখ্য, উক্ত ৭১টি দোকান সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত না থাকায় এগুলো থেকে কোন রাজস্ব সরকার পায় না।ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানায়, হকার মার্কেটে নিচের সারিতে মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর আটটি দোকান, উপরে জমজম হোটেল এবং লীজভুক্ত ১০টি দোকানসহ মোট ২০টি দোকান রয়েছে। যে সব দোকান থেকে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা ভাড়া আদায় করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন