চমেকে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ ।। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর, গ্রেপ্তার ১৪

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০ টায় কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বহিরাগত একজনসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ১৪ জন ডাক্তার ও ছাত্রকে আটক করেছে। আহতরা হলেন- ডা. ধীমান বড়ণ্ডয়া, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান, চমেক এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল, ইরফান এবং সানি। এদের মধ্যে দুজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। জানা যায়, কমিটিতে প্রাধান্য বিস্তারের জন্য গতকাল সন্ধ্যা থেকে ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ শক্তি বৃদ্ধি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হকিস্টিক, রামদা ও লাঠি দিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা চালায়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে এই সংঘর্ষ চলে। একটি সূত্রে বলা হয়, সংঘর্ষের শুরুতে পুলিশ ঐ এলাকায় অবস'ান করলেও তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যােব সদস্য সেখানে মোতায়েন করা হয়। রাত দেড়টায় সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, পুলিশ ছাত্রাবাসে তল্লাশি শুরু করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিসি'তি বিরাজ করছিল। এ ব্যাপারে রাত সোয়া একটায় চমেক অধ্যক্ষ ড. গোফরানুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে আমি এখনই জরুরি বৈঠকে বসছি। এ ব্যাপারে বৈঠকে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঘটনার কারণ সম্পর্কে তখনো তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু জানেন না বলে জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন