হ্যান্ডকাপসহ আদালত প্রাঙ্গন থেকে পালিয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর অবশেষে ধরা পড়লো একটি মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী আবু সৈয়দ। নিজের নাম পাল্টে এবং পাগলের বেশ ধরেও তার শেষ রক্ষা হলো না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠের পাশ থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, রাঙ্গুনিয়ার পোমরা এলাকার আবেদুর রহমান প্রকাশ আহমেদুর রহমানের পুত্র আবু সৈয়দ বিভিন্ন মামলার আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ১৩ নভেম্বর পরিবেশ আদালতের একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। হাবিলদার সিরাজুল হক তাকে আদালতে নিয়ে আসেন। আদালতের কাঠগড়ায় তাকে দাড় করালে সেখানে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করে সে মেঝেতে পড়ে যায়। এই সময় তাকে বাইরে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে সে সবার অলক্ষে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাবিলদার সিরাজুল হককে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ আবু সৈয়দকে হন্য হয়ে খুঁজলেও তার হদিশ মিলছিল না। গতকাল সকালে কোতোয়ালী থানার এসআই মহসীন তাকে গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তারের পর আবু সৈয়দ পুলিশকে জানায়, আদালত প্রাঙ্গনে তাকে যখন বসিয়ে রাখা হয়েছিল তখন সে দেখলো যে তার হাতে পরানো হাতকড়াটি নড়বড়ে। টান দিতেই এটি খুলে যায়। অবসস্থা বুঝে সে সেখান থেকে সটকে পড়ে। পরে বাসে চড়ে সীতাকুন্ডে চলে যায়। নিজের নাম বলে নাছির। এভাবে সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ইপিজেড এলাকায় চলে আসে। সেখানে সে একটি বিয়েও করে। পরবর্তীতে সে পাগলের বেশ ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে থাকে। রাত বিরাতে ঝাপটাবাজিও করতে থাকে। এভাবে তার দিন চলছিল। গতকাল সে ধরা পড়ে যায়। আবু সৈয়দের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলায় তার সাত বছরের সাজা হয়েছে। এছাড়া মাদক দ্রব্য আইনে একটি এবং পরিবেশ আইনে দুইটি মামলা রয়েছে। আদালত প্রাঙ্গন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন